দুধ সংরক্ষনে সর্বাধিক ব্যবহৃত পদ্ধতির নাম?
A
ক্যানিং
B
বিশুদ্ধকরণ
C
ফ্রিজিং
D
পাস্তুরাইজেশন
উত্তরের বিবরণ
পাস্তুরাইজেশন হলো দুধ সংরক্ষণের একটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি, যেখানে দুধকে স্বল্প সময়ের জন্য উচ্চ তাপে গরম করে ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করা হয়, তবে পুষ্টিগুণ প্রায় অপরিবর্তিত থাকে।
-
এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত দুধকে ৭২°C তাপমাত্রায় ১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত গরম করা হয়, যা High Temperature Short Time (HTST) পদ্ধতি নামে পরিচিত।
-
এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া যেমন সালমোনেলা, লিস্টেরিয়া, টিউবারকিউলোসিস ব্যাসিলাস প্রভৃতি ধ্বংস হয়।
-
পাস্তুরাইজেশনের পর দুধকে দ্রুত ৪°C তাপমাত্রায় ঠান্ডা করা হয় যাতে নতুন জীবাণু বৃদ্ধি না পায়।
-
এটি দুধের স্বাদ, গঠন ও পুষ্টিগুণ সংরক্ষণে সহায়তা করে।
-
পাস্তুরাইজেশন দুধকে নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষণযোগ্য করে তোলে, তাই এটি বাণিজ্যিক দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাধিক ব্যবহৃত পদ্ধতি।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি ডাইস্যাকারাইড?
Created: 1 day ago
A
C12H22O11
B
C2H4O2
C
C4Hg8O4
D
C5H1005
ডাইস্যাকারাইড (Disaccharide) হলো এমন এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা দুটি মনোস্যাকারাইড অণুর সংযোগে গঠিত হয়। এ সংযোগটি গ্লাইকোসিডিক বন্ধনের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং এটি একধরনের সংযোজিত চিনি হিসেবে পরিচিত।
-
ডাইস্যাকারাইডের সাধারণ রাসায়নিক সংকেত C₁₂H₂₂O₁₁।
-
এই গঠনটি তৈরি হয় যখন দুটি মনোস্যাকারাইড অণু যুক্ত হওয়ার সময় একটি জল অণু (H₂O) অপসারিত হয়, যা সংযোজন বিক্রিয়া (condensation reaction) নামে পরিচিত।
-
প্রধান ডাইস্যাকারাইডের উদাহরণগুলো হলো:
-
সুক্রোজ (Sucrose) → গ্লুকোজ + ফ্রুক্টোজ
-
ল্যাক্টোজ (Lactose) → গ্লুকোজ + গ্যালাক্টোজ
-
ম্যাল্টোজ (Maltose) → গ্লুকোজ + গ্লুকোজ
-
-
ডাইস্যাকারাইড শরীরে ভেঙে মনোস্যাকারাইডে পরিণত হয়, যা পরে শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রাকৃতিকভাবে এই চিনিগুলো আখ, দুধ, ফল ও শস্যজাত খাবারে পাওয়া যায়।

0
Updated: 1 day ago
LDL-Cholesterol দেহের কোথায় তৈরী হয়?
Created: 1 day ago
A
Intestinal Cells
B
Liver
C
Circulation
D
Kidney
LDL-Cholesterol (Low-Density Lipoprotein Cholesterol) মূলত লিভারে উৎপন্ন হয় এবং এটি শরীরে কোলেস্টেরল পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন টিস্যু ও অঙ্গের কোষে কোলেস্টেরল সরবরাহ করে, যা কোষের গঠন ও হরমোন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
উৎপাদন প্রক্রিয়া: লিভার প্রথমে VLDL (Very Low-Density Lipoprotein) তৈরি করে এবং তা রক্তে নিঃসৃত হয়।
-
রূপান্তর ধাপ: রক্তে উপস্থিত এনজাইমের সাহায্যে VLDL থেকে triglyceride অপসারণ হলে তা ধীরে ধীরে LDL-এ রূপান্তরিত হয়।
-
LDL-এর ভূমিকা: এটি কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন কোষে পরিবহন করে, যা কোষঝিল্লি (cell membrane) গঠন, স্টেরয়েড হরমোন ও ভিটামিন D তৈরিতে প্রয়োজন।
-
স্বাস্থ্যগত প্রভাব: রক্তে অতিরিক্ত LDL মাত্রা থাকলে এটি ধমনীর প্রাচীরে জমে atherosclerosis বা ধমনী সংকোচন ঘটাতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
-
নিয়ন্ত্রণের উপায়: সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ও উচ্চ-ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে LDL মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
Retinol-এর উৎস কোনটি?
Created: 1 day ago
A
প্রাণীজ যকৃত
B
গাঁজর
C
মিষ্টি কুমড়া
D
পাঁকা পেপে
Retinol হলো Vitamin A-এর সক্রিয় প্রাণীজ রূপ, যা শরীরে সরাসরি ব্যবহৃত হতে পারে এবং দৃষ্টিশক্তি, বৃদ্ধি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি মূলত প্রাণীজ খাদ্যে উপস্থিত থাকে, যেখানে এটি পূর্বনির্মিত (preformed) আকারে থাকে।
-
প্রাণীজ উৎস: রেটিনল পাওয়া যায় প্রধানত
১. যকৃত (Liver) – ভিটামিন A-এর সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস
২. দুধ ও দুধজাত পণ্য – যেমন দই, পনির ইত্যাদি
৩. মাখন
৪. ডিমের কুসুম -
উদ্ভিদজাত বিকল্প: উদ্ভিদজাত খাবারে সরাসরি রেটিনল থাকে না; বরং থাকে প্রো-ভিটামিন A (β-Carotene), যা শরীরে রেটিনলে রূপান্তরিত হয়। এর প্রধান উৎস হলো গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, টমেটো ও সবুজ শাকসবজি।
-
জৈবিক ভূমিকা: রেটিনল দৃষ্টিশক্তিতে রোডপসিন (Rhodopsin) গঠনে সহায়তা করে, যা অল্প আলোতেও দেখার ক্ষমতা প্রদান করে। এছাড়া এটি ত্বক, হাড় ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য।
-
অতিরিক্ত তথ্য: শরীরে অতিরিক্ত রেটিনল জমলে হাইপারভিটামিনোসিস A ঘটতে পারে, তাই এটি সুষম মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত; অন্যদিকে β-Carotene তুলনামূলকভাবে নিরাপদ কারণ দেহ প্রয়োজন অনুযায়ীই এটিকে রেটিনলে রূপান্তরিত করে।

0
Updated: 1 day ago