কোনটি ডাইস্যাকারাইড?
A
C12H22O11
B
C2H4O2
C
C4Hg8O4
D
C5H1005
উত্তরের বিবরণ
ডাইস্যাকারাইড (Disaccharide) হলো এমন এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা দুটি মনোস্যাকারাইড অণুর সংযোগে গঠিত হয়। এ সংযোগটি গ্লাইকোসিডিক বন্ধনের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং এটি একধরনের সংযোজিত চিনি হিসেবে পরিচিত।
-
ডাইস্যাকারাইডের সাধারণ রাসায়নিক সংকেত C₁₂H₂₂O₁₁।
-
এই গঠনটি তৈরি হয় যখন দুটি মনোস্যাকারাইড অণু যুক্ত হওয়ার সময় একটি জল অণু (H₂O) অপসারিত হয়, যা সংযোজন বিক্রিয়া (condensation reaction) নামে পরিচিত।
-
প্রধান ডাইস্যাকারাইডের উদাহরণগুলো হলো:
-
সুক্রোজ (Sucrose) → গ্লুকোজ + ফ্রুক্টোজ
-
ল্যাক্টোজ (Lactose) → গ্লুকোজ + গ্যালাক্টোজ
-
ম্যাল্টোজ (Maltose) → গ্লুকোজ + গ্লুকোজ
-
-
ডাইস্যাকারাইড শরীরে ভেঙে মনোস্যাকারাইডে পরিণত হয়, যা পরে শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রাকৃতিকভাবে এই চিনিগুলো আখ, দুধ, ফল ও শস্যজাত খাবারে পাওয়া যায়।

0
Updated: 1 day ago
Severe galactosemia কেন হয়?
Created: 1 day ago
A
Galactokinase defective
B
Glucokinase defective
C
Galactose-I-PO4 uridyl transferase defective
D
কোনটিই সঠিক নয়
Severe galactosemia একটি জেনেটিক বিপাকীয় রোগ, যা দেহে গ্যালাক্টোজ ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এই অবস্থাটি ঘটে Galactose-1-phosphate uridyl transferase (GALT) এনজাইমের ঘাটতির কারণে, ফলে গ্যালাক্টোজ ও এর উপজাত শরীরে জমা হতে থাকে এবং বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে।
-
এনজাইম ঘাটতি: GALT এনজাইমের অভাবে Galactose-1-phosphate লিভার, কিডনি ও মস্তিষ্কে জমে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
উপসর্গ: নবজাতকের ক্ষেত্রে বমি, জন্ডিস, লিভার ফেইলিওর, মানসিক বিকাশে বিলম্ব ও ছানির সমস্যা দেখা দেয়।
-
বংশগত ধরণ: এটি autosomal recessive disorder, অর্থাৎ উভয় পিতামাতার থেকে ত্রুটিপূর্ণ জিন উত্তরাধিকার সূত্রে পেলে রোগটি প্রকাশ পায়।
-
চিকিৎসা: গ্যালাক্টোজ ও ল্যাক্টোজমুক্ত খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতি, যা দুগ্ধজাত খাবার সম্পূর্ণ পরিহার করে করা হয়।
-
পরিণাম: চিকিৎসা না করলে এটি লিভার ক্ষতি, মস্তিষ্কের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা ও মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
গ্লুকোজ Absorption-এর জন্য কোন মিনারেলের প্রয়োজন হয়?
Created: 1 day ago
A
পটাসিয়াম
B
জিংক
C
সোডিয়াম
D
আয়রন
গ্লুকোজের শোষণ মূলত small intestine-এ ঘটে, যেখানে এটি Sodium-Glucose Co-Transporter (SGLT1)-এর মাধ্যমে সোডিয়ামের সাথে একত্রে কোষের ভিতরে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়ায় সোডিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি গ্লুকোজ পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে। সোডিয়ামের অনুপস্থিতিতে গ্লুকোজের সক্রিয় শোষণ বাধাগ্রস্ত হয়।
-
সোডিয়াম (Na⁺): গ্লুকোজের সাথে কো-ট্রান্সপোর্টে অংশগ্রহণ করে এবং কোষে প্রবেশ প্রক্রিয়া সচল রাখে।
-
পটাসিয়াম (K⁺): কোষের মেমব্রেন পোটেনশিয়াল বজায় রাখতে ও পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
জিংক (Zn²⁺): শরীরের অনেক এনজাইমের কার্যক্রম ও প্রোটিন সংশ্লেষণে অংশগ্রহণ করে।
-
আয়রন (Fe): হিমোগ্লোবিন ও রক্তে অক্সিজেন পরিবহন প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য ভূমিকা রাখে।
-
গ্লুকোজ পরিবহন পরবর্তী ধাপ: কোষে প্রবেশের পর গ্লুকোজ GLUT2 transporter-এর মাধ্যমে রক্তে স্থানান্তরিত হয়, যা শোষণ সম্পূর্ণ করে।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে Vitamin A Supplementation Program মুলতঃ কোন্ লক্ষ্য করে করা হয়?
Created: 1 day ago
A
প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ
B
গর্ভবতী নারী
C
৬-৫৯ মাস বয়সী শিশু
D
কিশোর-কিশোরী
বাংলাদেশে Vitamin A Supplementation (VAS) Program মূলত ৬–৫৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য পরিচালিত একটি জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি, যার উদ্দেশ্য হলো ভিটামিন এ ঘাটিজনিত রোগ ও মৃত্যুহার কমানো। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত ভিটামিন এ ক্যাপসুল সরবরাহ করা হয়, যা শিশুদের দৃষ্টিশক্তি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
-
মূল উদ্দেশ্য: রাতকানা, অন্ধত্ব ও সংক্রমণজনিত শিশু মৃত্যুহার হ্রাস করা।
-
লক্ষ্যগোষ্ঠী: ৬–৫৯ মাস বয়সী শিশুদের প্রতি ছয় মাস অন্তর ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
-
মাত্রা: ৬–১১ মাস বয়সী শিশুদের ১,০০,০০০ IU, আর ১২–৫৯ মাস বয়সীদের ২,০০,০০০ IU ডোজ প্রদান করা হয়।
-
বাস্তবায়ন: কর্মসূচিটি পরিচালনা করে পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে।
-
গুরুত্ব: ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা, ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago