ভিটামিন-এ এর কোন্ রূপটি ফরটিফিকেশন বা খাদ্য সমৃদ্ধকরণের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়?
A
রেটিনল এসিটেট (Retinol acetate)
B
রেটিনল পামিটেট (Palmitate)
C
রেটিনালডিহাইড (Retinaldehyde)
D
বিটা-ক্যারোটিন (ẞ-Carotene)
উত্তরের বিবরণ
Vitamin A fortification বা খাদ্য সমৃদ্ধকরণের ক্ষেত্রে Retinol palmitate সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি একটি স্থিতিশীল (stable) যৌগ, যা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের সময় সহজে নষ্ট হয় না এবং শরীরে প্রবেশের পর দ্রুত সক্রিয় ভিটামিন A (Retinol)-এ রূপান্তরিত হয়।
-
Retinol palmitate: এটি ভিটামিন A-এর একটি ইস্টার রূপ, যা অক্সিডেশন ও আলোতে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও রান্নার সময়েও এটি কার্যকারিতা বজায় রাখে।
-
Retinol acetate: এটিও খাদ্য সমৃদ্ধকরণে ব্যবহৃত হয়, তবে Retinol palmitate-এর তুলনায় কিছুটা কম স্থিতিশীল।
-
Retinaldehyde: এটি মূলত চোখের রেটিনায় দৃষ্টিশক্তি প্রক্রিয়ায় (visual cycle) অংশগ্রহণ করে, তাই খাদ্য fortification-এ এর ব্যবহার সীমিত।
-
β-Carotene: এটি একটি provitamin A carotenoid, অর্থাৎ এটি শরীরে প্রবেশের পর ভিটামিন A-তে রূপান্তরিত হয়। তবে সরাসরি fortification-এর ক্ষেত্রে এটি Retinol-এর মতো কার্যকর নয়, কারণ রূপান্তর প্রক্রিয়া ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হয়।
-
শরীরে শোষণ (Absorption): Retinol palmitate সহজে অন্ত্রে শোষিত হয়ে লিভারে সঞ্চিত হয় এবং প্রয়োজনে সক্রিয় Retinol হিসেবে কাজ করে।
-
ব্যবহারিক প্রয়োগ: এটি দুধ, মার্জারিন, তেল, ময়দা ও শিশু খাদ্য fortification-এ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি স্বাদ, রং বা গন্ধে প্রভাব ফেলে না।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি Vitamin D Toxicity-এর সাথে জড়িত?
Created: 1 day ago
A
হাইপোক্যালসিমিয়া
B
অস্টিওপোরোসিস
C
হাইপারক্যালসিমিয়া
D
হাইপোফসফেটেমিয়া
Vitamin D toxicity (Hypervitaminosis D) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন D জমা হয়, ফলে ক্যালসিয়ামের শোষণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় (Hypercalcemia)। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
-
প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা: ভিটামিন D অন্ত্রে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ বৃদ্ধি করে। অতিরিক্ত ভিটামিন D গ্রহণ করলে এই শোষণ অতিরিক্ত পরিমাণে ঘটে, ফলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক সীমা অতিক্রম করে।
-
Hypercalcemia-এর ফলাফল: রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গেলে তা কিডনি, হৃদপিণ্ড ও রক্তনালীতে ক্যালসিয়াম জমা (Calcification) ঘটাতে পারে। এতে কিডনি স্টোন, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
লক্ষণসমূহ: ক্লান্তি, বমি, পেশির দুর্বলতা, অতিরিক্ত তৃষ্ণা, প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিভ্রান্তি—এসব Hypervitaminosis D-এর সাধারণ উপসর্গ।
-
অতিরিক্ত তথ্য: এই অবস্থার প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ, প্রাকৃতিক খাদ্য বা সূর্যালোক থেকে নয়। চিকিৎসায় সাধারণত ভিটামিন D গ্রহণ বন্ধ, ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

0
Updated: 1 day ago
ভিটামিন ডি-কী ধরণের রিসেপ্টরের সাথে bind করে?
Created: 1 day ago
A
Membrane Receptors
B
Cytosolic Receptors
C
Tyrosine Kinase Receptors
D
Nuclear Receptors
ভিটামিন D বিশেষত এর সক্রিয় রূপ 1,25-dihydroxyvitamin D (Calcitriol) দেহে একটি nuclear receptor–এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে। এটি একটি steroid hormone–এর মতো আচরণ করে এবং সরাসরি gene expression নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়।
১. Vitamin D Receptor (VDR): ক্যালসিট্রিয়ল দেহে Vitamin D Receptor (VDR)–এর সাথে যুক্ত হয়। এই রিসেপ্টর কোষের নিউক্লিয়াসে (nucleus) অবস্থান করে।
২. VDREs–এর ভূমিকা: VDR যখন ভিটামিন D–এর সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন এটি DNA–এর Vitamin D Response Elements (VDREs)–এর সাথে বন্ধন গঠন করে এবং নির্দিষ্ট জিন সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করে।
৩. জৈবিক কার্যাবলি:
-
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ বৃদ্ধি করে, যা হাড়ের শক্তি ও বৃদ্ধি বজায় রাখে।
-
হাড়ের গঠন ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
-
ইমিউন সিস্টেমের কার্যক্রম, কোষ বৃদ্ধি ও বিভাজনেও ভূমিকা রাখে।
৪. ফলাফল: এই জিন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিটামিন D শুধু হাড়ের স্বাস্থ্যই নয়, বরং শরীরের ক্যালসিয়াম হোমিওস্টেসিস এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কাজও নিয়ন্ত্রণ করে।

0
Updated: 1 day ago
FAV/FADH2-এর মৌলিক উপাদান কোনটি?
Created: 1 day ago
A
ভিটামিন বি-১
B
ভিটামিন বি-২
C
ভিটামিন সি
D
ভিটামিন কে
Riboflavin (Vitamin B₂) থেকে গঠিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ coenzyme হলো FAD (Flavin Adenine Dinucleotide) ও FMN (Flavin Mononucleotide)। এগুলো দেহের oxidation-reduction (redox) বিক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১. FMN: Riboflavin প্রথমে ফসফরাইলেশন প্রক্রিয়ায় FMN এ রূপান্তরিত হয়।
২. FAD: পরে FMN, ATP-এর সাথে যুক্ত হয়ে FAD গঠন করে।
৩. জৈবিক ভূমিকা: FAD ও FMN দুটোই ইলেকট্রন পরিবাহক (electron carrier) হিসেবে কাজ করে, বিশেষত শক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়া (যেমন electron transport chain)-এ।
৪. অভাবের প্রভাব: Riboflavin-এর ঘাটতি হলে ত্বক ও চোখের প্রদাহ, ঠোঁট ফাটা, এবং শরীরের শক্তি উৎপাদনে ব্যাঘাত দেখা দিতে পারে।

0
Updated: 1 day ago