Glycemic Index (GI) কি পরিমাপ করে?
A
ভিটামিন শোষণ
B
প্রোটিন হজম যোগ্যতা
C
কার্বোহাইড্রেড যুক্ত খাবারে রক্তে শর্করার প্রতিক্রিয়া
D
খনিজের শোষণ যোগ্যতা
উত্তরের বিবরণ
Glycemic Index বা GI হলো এমন একটি মান যা নির্ধারণ করে কোনো খাবার খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কত দ্রুত ও কতটা পরিমাণে বাড়ে। এটি মূলত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের প্রভাব মূল্যায়নের একটি উপায়।
-
উচ্চ GI খাবার রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বৃদ্ধি করে। উদাহরণ: সাদা রুটি, চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার।
-
নিম্ন GI খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। উদাহরণ: দানাদার শস্য, শাকসবজি ও ডাল জাতীয় খাবার।
-
GI মানের উপর ভিত্তি করে ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
-
নিম্ন GI খাবার শরীরে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
-
GI মান সাধারণত ০ থেকে ১০০ স্কেলে পরিমাপ করা হয়, যেখানে ৫৫ বা তার নিচে নিম্ন GI এবং ৭০ বা তার উপরে উচ্চ GI ধরা হয়।

0
Updated: 1 day ago
Severe galactosemia কেন হয়?
Created: 1 day ago
A
Galactokinase defective
B
Glucokinase defective
C
Galactose-I-PO4 uridyl transferase defective
D
কোনটিই সঠিক নয়
Severe galactosemia একটি জেনেটিক বিপাকীয় রোগ, যা দেহে গ্যালাক্টোজ ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এই অবস্থাটি ঘটে Galactose-1-phosphate uridyl transferase (GALT) এনজাইমের ঘাটতির কারণে, ফলে গ্যালাক্টোজ ও এর উপজাত শরীরে জমা হতে থাকে এবং বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে।
-
এনজাইম ঘাটতি: GALT এনজাইমের অভাবে Galactose-1-phosphate লিভার, কিডনি ও মস্তিষ্কে জমে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
উপসর্গ: নবজাতকের ক্ষেত্রে বমি, জন্ডিস, লিভার ফেইলিওর, মানসিক বিকাশে বিলম্ব ও ছানির সমস্যা দেখা দেয়।
-
বংশগত ধরণ: এটি autosomal recessive disorder, অর্থাৎ উভয় পিতামাতার থেকে ত্রুটিপূর্ণ জিন উত্তরাধিকার সূত্রে পেলে রোগটি প্রকাশ পায়।
-
চিকিৎসা: গ্যালাক্টোজ ও ল্যাক্টোজমুক্ত খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতি, যা দুগ্ধজাত খাবার সম্পূর্ণ পরিহার করে করা হয়।
-
পরিণাম: চিকিৎসা না করলে এটি লিভার ক্ষতি, মস্তিষ্কের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা ও মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি Antioxidant-হিসেবে কাজ করে?
Created: 1 day ago
A
Thiamin
B
ẞ-Carotene
C
Pyridoxal Phate
D
Phylloquinone
β-Carotene (বেটা-ক্যারোটিন) হলো একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) যা শরীরে উৎপন্ন ফ্রি র্যাডিক্যাল (Free Radicals) নিরপেক্ষ করে কোষকে ক্ষয় ও অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি শরীরে ভিটামিন A-এর প্রিকার্সর হিসেবেও কাজ করে, অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী β-Carotene থেকে ভিটামিন A (Retinol) তৈরি হয়।
-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভূমিকা: β-Carotene কোষের ঝিল্লিকে ফ্রি র্যাডিক্যালের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে, ফলে ক্যানসার, হৃদরোগ ও বার্ধক্যজনিত ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
-
ভিটামিন A রূপান্তর: এটি শরীরে ভিটামিন A-তে রূপান্তরিত হয়ে দৃষ্টি, ত্বক ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
-
Thiamin (Vitamin B1): এটি একটি কো-এনজাইম, যা শক্তি উৎপাদনে ভূমিকা রাখে, কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নয়।
-
Pyridoxal Phosphate (Vitamin B6): এটি অ্যামিনো অ্যাসিডের বিপাকে (Amino Acid Metabolism) কো-ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
-
Phylloquinone (Vitamin K1): এটি রক্ত জমাট বাঁধা (Blood Clotting) প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে, তবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে না।

0
Updated: 1 day ago
আপেলে কোন্ উপাদানটি কম থাকে?
Created: 1 day ago
A
ভিটামিন সি
B
পটাসিয়াম
C
আঁশ
D
আমিষ
আপেল একটি জনপ্রিয় ফল, যা মূলত পানি, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও খনিজ দ্বারা গঠিত। এটি পুষ্টিকর হলেও প্রোটিনের পরিমাণ অত্যন্ত কম, ফলে এটি আমিষের উল্লেখযোগ্য উৎস নয়।
-
গঠন উপাদান: আপেলে প্রায় ৮৫–৯০% পানি থাকে, যা শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং হজমে সহায়তা করে।
-
শক্তির উৎস: এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট (মূলত প্রাকৃতিক চিনি যেমন ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ) শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে।
-
পুষ্টিগুণ: আপেলে ভিটামিন C, পটাসিয়াম ও আঁশ (Fiber) প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক।
-
প্রোটিনের পরিমাণ: প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে মাত্র ০.৩–০.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা খুবই কম।
-
ফলাফল: তাই আপেলে আমিষ (Protein) কম থাকে এবং এটি শর্করা ও ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল হিসেবে বিবেচিত।
-
অতিরিক্ত তথ্য: আপেলের আঁশ বিশেষত পেকটিন (Pectin), রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং এটি একটি লো-ফ্যাট, লো-ক্যালোরি ফল হিসেবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago