খাদ্যে উপস্থিত ẞ-Carotene-এর কত অংশ মানবদেহে রেটিনলে পরিবর্তিত হয়?
A
১/২ অংশ
B
১/৬ অংশ
C
১/১২ অংশ
D
১/১০ অংশ
উত্তরের বিবরণ
β-Carotene হচ্ছে একধরনের provitamin A, যা উদ্ভিদজাত খাদ্যে উপস্থিত থাকে এবং মানবদেহে ভিটামিন A তৈরির মূল উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি অন্ত্রের এপিথিলিয়াল কোষে পরিবর্তিত হয়ে Retinol (Vitamin A) উৎপন্ন করে।
-
β-Carotene হলো ভিটামিন A-এর প্রি-কিউসর, অর্থাৎ এটি শরীরে ভিটামিন A তৈরির পূর্বধাপ।
-
এটি প্রধানত গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, পেঁপে, আম, টমেটো প্রভৃতি উদ্ভিজ্জ খাদ্যে পাওয়া যায়।
-
মানবদেহে ইনটেস্টাইনাল এপিথিলিয়াল কোষে β-Carotene রূপান্তরিত হয়ে Retinol (Vitamin A) তৈরি করে।
-
সাধারণত ৬ অংশ β-Carotene থেকে ১ অংশ Retinol উৎপন্ন হয়।
-
এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় অক্সিডেটিভ এনজাইম (β-carotene 15,15'-dioxygenase) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
উৎপন্ন ভিটামিন A দেহে দৃষ্টিশক্তি, কোষ বৃদ্ধি, ইমিউন ফাংশন এবং ত্বকের স্বাস্থ্যে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago
লিভার (যকৃত) নিজের ওজনের তুলনায় সর্বোচ্চ কত শতাংশ গ্লাইকোজেন জমা রাখতে পারে?
Created: 1 day ago
A
১-২%
B
৪-৫%
C
৮-১০%
D
১৫-২০%
লিভার (যকৃত) শরীরের প্রধান গ্লাইকোজেন সংরক্ষণাগার (Glycogen storehouse) হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষত উপবাস বা খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
-
সংরক্ষণ ক্ষমতা: লিভার তার মোট ওজনের প্রায় ৪–৫% পর্যন্ত গ্লাইকোজেন জমা রাখতে পারে, যা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রায় ৭৫–১০০ গ্রাম গ্লাইকোজেনের সমান।
-
গ্লাইকোজেনের ভূমিকা: এই গ্লাইকোজেন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস পেলে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে রক্তপ্রবাহে ছেড়ে দেয়, যাতে শরীরের কোষ শক্তি পায়।
-
তুলনামূলক তথ্য: পেশীতেও কিছু পরিমাণ গ্লাইকোজেন থাকে, তবে তা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত, রক্তে গ্লুকোজ সরবরাহের জন্য নয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: লিভারের গ্লাইকোজেন সঞ্চয় ইনসুলিন ও গ্লুকাগন হরমোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। ইনসুলিন গ্লাইকোজেন গঠন (Glycogenesis)促 করে, আর গ্লুকাগন গ্লাইকোজেন ভাঙন (Glycogenolysis) বৃদ্ধি করে, ফলে রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় থাকে।

0
Updated: 1 day ago
মানবদেহের প্রয়োজনীয় ক্যালরীর শতকরা কত অংশ শর্করা (Carbohydrate) অংশ থেকে আসা উচিৎ?
Created: 1 day ago
A
৫০-৬০ শতাংশ
B
৭০-৮০ শতাংশ
C
২৫-৩০ শতাংশ
D
৮০ শতাংশের বেশী
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ক্যালরির প্রধান উৎস তিনটি পুষ্টিগুণের ওপর নির্ভর করে—শর্করা, প্রোটিন ও চর্বি। সঠিক অনুপাতে এই উপাদানগুলো গ্রহণ করলে দেহে শক্তি উৎপাদন, কোষ গঠন ও বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
১. শর্করা (Carbohydrate): দৈনিক ক্যালরির প্রায় ৫০–৬০% শর্করা থেকে আসা উচিত। এটি দেহের প্রধান শক্তির উৎস এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম সচল রাখতে সাহায্য করে।
২. প্রোটিন (Protein): মোট ক্যালরির ১০–১৫% প্রোটিন থেকে পাওয়া উচিত। এটি দেহের কোষ গঠন, ক্ষত নিরাময় ও এনজাইম ও হরমোন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. চর্বি (Fat): দৈনিক ক্যালরির ২০–৩০% চর্বি থেকে আসা উচিত। এটি শক্তির সংরক্ষণ, ভিটামিন A, D, E, K শোষণে সহায়তা করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪. সার্বিকভাবে: এই ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যগ্রহণ দেহের শক্তি উৎপাদন, বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
মানবদেহের Enzyme-গুলি কত তাপমাত্রায় সর্বাধিক কার্যকর থাকে?
Created: 1 day ago
A
৩৫-৪০° সেঃ
B
২৫-৩০° সেঃ
C
৪০-৪২° সেঃ
D
২৮-৩২° সেঃ
মানবদেহের এনজাইমগুলো একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সবচেয়ে কার্যকরভাবে কাজ করে, যা সাধারণত ৩৭° সেলসিয়াস, অর্থাৎ স্বাভাবিক দেহের তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রায় দেহের সব ধরনের বিপাকীয় প্রক্রিয়া (metabolic processes) দ্রুত ও কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়।
১. সর্বোত্তম তাপমাত্রা: প্রায় ৩৫°–৪০°C তাপমাত্রার মধ্যে এনজাইম সবচেয়ে সক্রিয় থাকে, এবং এই সময়ে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়াগুলো সর্বাধিক গতিতে ঘটে।
২. তাপমাত্রা কমে গেলে: নিম্ন তাপমাত্রায় এনজাইমের গতি কমে যায়, ফলে বিপাকীয় ক্রিয়াগুলো ধীরগতিতে সম্পন্ন হয়।
৩. তাপমাত্রা বেড়ে গেলে: অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এনজাইমের গঠন নষ্ট হয়ে যায়, একে বলে ডিন্যাচারেশন (Denaturation)। এতে এনজাইম তার কার্যক্ষমতা হারায় এবং রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না।
৪. জীববিজ্ঞানের গুরুত্ব: এনজাইমের কার্যকারিতা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, তাই শরীরের স্থিতিশীল তাপমাত্রা রক্ষা করা জীবনের জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago