গ্লুকোজ Absorption-এর জন্য কোন মিনারেলের প্রয়োজন হয়?
A
পটাসিয়াম
B
জিংক
C
সোডিয়াম
D
আয়রন
উত্তরের বিবরণ
গ্লুকোজের শোষণ মূলত small intestine-এ ঘটে, যেখানে এটি Sodium-Glucose Co-Transporter (SGLT1)-এর মাধ্যমে সোডিয়ামের সাথে একত্রে কোষের ভিতরে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়ায় সোডিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি গ্লুকোজ পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে। সোডিয়ামের অনুপস্থিতিতে গ্লুকোজের সক্রিয় শোষণ বাধাগ্রস্ত হয়।
-
সোডিয়াম (Na⁺): গ্লুকোজের সাথে কো-ট্রান্সপোর্টে অংশগ্রহণ করে এবং কোষে প্রবেশ প্রক্রিয়া সচল রাখে।
-
পটাসিয়াম (K⁺): কোষের মেমব্রেন পোটেনশিয়াল বজায় রাখতে ও পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
জিংক (Zn²⁺): শরীরের অনেক এনজাইমের কার্যক্রম ও প্রোটিন সংশ্লেষণে অংশগ্রহণ করে।
-
আয়রন (Fe): হিমোগ্লোবিন ও রক্তে অক্সিজেন পরিবহন প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য ভূমিকা রাখে।
-
গ্লুকোজ পরিবহন পরবর্তী ধাপ: কোষে প্রবেশের পর গ্লুকোজ GLUT2 transporter-এর মাধ্যমে রক্তে স্থানান্তরিত হয়, যা শোষণ সম্পূর্ণ করে।

0
Updated: 1 day ago
Retinol-এর উৎস কোনটি?
Created: 1 day ago
A
প্রাণীজ যকৃত
B
গাঁজর
C
মিষ্টি কুমড়া
D
পাঁকা পেপে
Retinol হলো Vitamin A-এর সক্রিয় প্রাণীজ রূপ, যা শরীরে সরাসরি ব্যবহৃত হতে পারে এবং দৃষ্টিশক্তি, বৃদ্ধি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি মূলত প্রাণীজ খাদ্যে উপস্থিত থাকে, যেখানে এটি পূর্বনির্মিত (preformed) আকারে থাকে।
-
প্রাণীজ উৎস: রেটিনল পাওয়া যায় প্রধানত
১. যকৃত (Liver) – ভিটামিন A-এর সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস
২. দুধ ও দুধজাত পণ্য – যেমন দই, পনির ইত্যাদি
৩. মাখন
৪. ডিমের কুসুম -
উদ্ভিদজাত বিকল্প: উদ্ভিদজাত খাবারে সরাসরি রেটিনল থাকে না; বরং থাকে প্রো-ভিটামিন A (β-Carotene), যা শরীরে রেটিনলে রূপান্তরিত হয়। এর প্রধান উৎস হলো গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, টমেটো ও সবুজ শাকসবজি।
-
জৈবিক ভূমিকা: রেটিনল দৃষ্টিশক্তিতে রোডপসিন (Rhodopsin) গঠনে সহায়তা করে, যা অল্প আলোতেও দেখার ক্ষমতা প্রদান করে। এছাড়া এটি ত্বক, হাড় ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য।
-
অতিরিক্ত তথ্য: শরীরে অতিরিক্ত রেটিনল জমলে হাইপারভিটামিনোসিস A ঘটতে পারে, তাই এটি সুষম মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত; অন্যদিকে β-Carotene তুলনামূলকভাবে নিরাপদ কারণ দেহ প্রয়োজন অনুযায়ীই এটিকে রেটিনলে রূপান্তরিত করে।

0
Updated: 1 day ago
Anti-oxidant কোন খাবারে বেশী পাওয়া যায়?
Created: 1 day ago
A
ফলমূল ও শাক সবজি
B
মাংস
C
দুধ
D
শর্করা
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হলো এমন যৌগ যা শরীরে উৎপন্ন ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল (Free Radicals) ধ্বংস করে কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং ক্যানসার, হৃদরোগ ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এগুলো মূলত ফলমূল, শাকসবজি ও রঙিন উদ্ভিজ্জ খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
-
ভিটামিন C: লেবু, কমলা, টমেটো ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং কোষের অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
-
ভিটামিন E: বাদাম, বীজ ও উদ্ভিজ্জ তেলে উপস্থিত। এটি কোষের ঝিল্লিকে রক্ষা করে এবং ত্বকের বার্ধক্য রোধে ভূমিকা রাখে।
-
বেটা-ক্যারোটিন: গাজর, কুমড়া ও পালং শাকে পাওয়া যায়। এটি শরীরে ভিটামিন A-তে রূপান্তরিত হয়ে চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে।
-
পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েডস: আঙুর, বেরি, চা ও আপেলে বিদ্যমান। এগুলো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও হৃদরোগ প্রতিরোধী গুণাবলি প্রদর্শন করে।
-
অতিরিক্ত উপকারিতা: নিয়মিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী, কোষের পুনর্জন্মে সহায়তা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

0
Updated: 1 day ago
ফলের গায়ে কালচে বা সবুজ দাগ পড়ার কারন কী?
Created: 1 day ago
A
ব্যাকটেরিয়া
B
ভাইরাস
C
ছত্রাক
D
খনিজের ঘাটতি
ফলের গায়ে কালচে বা সবুজ দাগ সাধারণত ছত্রাক (Fungus) বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এটি ফলের পচন ও গুণমান নষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ এবং সংরক্ষণ বা পরিবহনের সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
-
কারণ: বাতাসে থাকা ফাঙ্গাল স্পোর ফলের আর্দ্র পৃষ্ঠে বসে বৃদ্ধি পায়, বিশেষত যদি ফলের খোসায় কোনো ক্ষত বা ফাটল থাকে।
-
সাধারণ ফাঙ্গাস: Aspergillus, Penicillium, Alternaria ইত্যাদি ছত্রাক প্রজাতি এসব দাগ সৃষ্টি করে।
-
পরিবেশগত প্রভাব: অতিরিক্ত আর্দ্রতা, তাপমাত্রার অস্থিরতা এবং অনুপযুক্ত সংরক্ষণ ফাঙ্গাস বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
-
ক্ষতি: ফলের স্বাদ, রং ও পুষ্টিমান নষ্ট হয়, কখনও কখনও মাইকোটক্সিন (Mycotoxin) নামক ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থও তৈরি হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
-
প্রতিরোধ: পরিষ্কার ও শুকনো স্থানে ফল সংরক্ষণ, সঠিক বায়ুচলাচল ব্যবস্থা বজায় রাখা, এবং সংক্রমিত ফল আলাদা করে ফেলা ফলের গুণমান রক্ষায় সহায়ক।

0
Updated: 1 day ago