Basal Metabolic Rate (BMR) কোন্ ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয়না?
A
লিঙ্গ
B
উচ্চতা ও ওজন
C
তাপমাত্রা
D
পেশা
উত্তরের বিবরণ
Basal Metabolic Rate (BMR) হলো শরীরের এমন শক্তি ব্যয়ের হার, যা বিশ্রামে থেকেও শরীরের মৌলিক কাজ যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তসঞ্চালন ও কোষের কার্যক্রম বজায় রাখতে প্রয়োজন হয়। এটি বিভিন্ন উপাদানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
লিঙ্গ (Gender): পুরুষদের BMR সাধারণত মহিলাদের তুলনায় বেশি, কারণ পুরুষদের পেশী ভর (muscle mass) বেশি থাকে এবং পেশী টিস্যু চর্বির তুলনায় বেশি শক্তি খরচ করে।
-
উচ্চতা ও ওজন (Height & Weight): উচ্চতা ও ওজন যত বেশি, শরীরের টিস্যুর পরিমাণও তত বেশি হয়, ফলে বেসাল মেটাবলিক রেটও বাড়ে।
-
তাপমাত্রা (Temperature): শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে ঠান্ডা বা গরম পরিবেশে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহৃত হয়, যা BMR বৃদ্ধি করে।
-
বয়স (Age): বয়স বাড়ার সাথে সাথে পেশী ভর কমে যায়, ফলে BMR ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
-
হরমোন (Hormones): থাইরয়েড হরমোন, অ্যাড্রেনালিন ইত্যাদি BMR বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
শরীরের গঠন (Body Composition): পেশী ভর বেশি থাকা ব্যক্তিদের BMR তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।
-
স্বাস্থ্য অবস্থা (Health Condition): জ্বর বা রোগ থাকলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বেড়ে যায়, ফলে BMR বৃদ্ধি পায়।
পেশা (Occupation) সরাসরি BMR প্রভাবিত করে না, তবে এটি Physical Activity Level (PAL) কে প্রভাবিত করে, যার মাধ্যমে মোট দৈনিক শক্তি খরচ বা Total Energy Expenditure (TEE) নির্ধারিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
গ্লুকোজের প্রতি কোন্ এনজাইমের Km-Value বেশী?
Created: 1 day ago
A
Hexokinase
B
Glucokinase
C
উভয়ের সমান
D
কোনটিই নয়
Glucokinase এবং Hexokinase উভয়ই গ্লুকোজকে গ্লুকোজ-৬-ফসফেটে রূপান্তর করে, তবে তাদের কার্যকারিতা ও শারীরবৃত্তীয় ভূমিকা ভিন্ন। এদের মধ্যে পার্থক্যের মূল কারণ হলো Km মানের (Michaelis constant) পার্থক্য, যা গ্লুকোজের প্রতি এনজাইমের আফিনিটি (affinity) নির্দেশ করে।
-
Glucokinase:
-
এর Km মান বেশি, অর্থাৎ গ্লুকোজের প্রতি আফিনিটি কম।
-
এটি উচ্চ গ্লুকোজ ঘনত্বে সক্রিয় থাকে, যেমন খাবার গ্রহণের পর যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
-
মূলত লিভারে (Liver) অবস্থান করে এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন আকারে সংরক্ষণে সহায়তা করে।
-
এটি রক্তের গ্লুকোজমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ কম গ্লুকোজ অবস্থায় এটি নিষ্ক্রিয় থাকে।
-
-
Hexokinase:
-
এর Km মান কম, অর্থাৎ গ্লুকোজের প্রতি আফিনিটি বেশি।
-
এটি কম গ্লুকোজ ঘনত্বেও কার্যকরভাবে কাজ করে।
-
মস্তিষ্ক ও পেশীসহ অন্যান্য টিস্যুতে থাকে এবং কোষকে অবিরাম শক্তি সরবরাহ করে।
-
এটি রক্তের গ্লুকোজমাত্রা নির্বিশেষে গ্লুকোজ ব্যবহার নিশ্চিত করে, বিশেষ করে মস্তিষ্কের মতো অঙ্গের জন্য অত্যাবশ্যক।
-
সারসংক্ষেপে, Glucokinase উচ্চ গ্লুকোজমাত্রায় গ্লাইকোজেন সংরক্ষণে সহায়তা করে, আর Hexokinase সবসময় গ্লুকোজ ব্যবহার নিশ্চিত করে — এই পার্থক্যই শরীরে শক্তির সুষম বণ্টন বজায় রাখে।

0
Updated: 1 day ago
Anti-oxidant কোন খাবারে বেশী পাওয়া যায়?
Created: 1 day ago
A
ফলমূল ও শাক সবজি
B
মাংস
C
দুধ
D
শর্করা
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হলো এমন যৌগ যা শরীরে উৎপন্ন ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল (Free Radicals) ধ্বংস করে কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং ক্যানসার, হৃদরোগ ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এগুলো মূলত ফলমূল, শাকসবজি ও রঙিন উদ্ভিজ্জ খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
-
ভিটামিন C: লেবু, কমলা, টমেটো ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং কোষের অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
-
ভিটামিন E: বাদাম, বীজ ও উদ্ভিজ্জ তেলে উপস্থিত। এটি কোষের ঝিল্লিকে রক্ষা করে এবং ত্বকের বার্ধক্য রোধে ভূমিকা রাখে।
-
বেটা-ক্যারোটিন: গাজর, কুমড়া ও পালং শাকে পাওয়া যায়। এটি শরীরে ভিটামিন A-তে রূপান্তরিত হয়ে চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে।
-
পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েডস: আঙুর, বেরি, চা ও আপেলে বিদ্যমান। এগুলো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও হৃদরোগ প্রতিরোধী গুণাবলি প্রদর্শন করে।
-
অতিরিক্ত উপকারিতা: নিয়মিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী, কোষের পুনর্জন্মে সহায়তা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

0
Updated: 1 day ago
Cryogenic Freezer-এ ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 day ago
A
Liquid Nitrogen Spray
B
Liquid Oxygen Spray
C
Liquid Helium Spray
D
কোনটিই নয়
Cryogenic freezer বা অতিতাপমাত্রার ফ্রিজ এমন এক ধরনের সংরক্ষণ যন্ত্র যা অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা (-150°C থেকে -196°C) পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম। এই ফ্রিজ জীববৈজ্ঞানিক উপাদান, কোষ, টিস্যু, ভ্যাকসিন বা জেনেটিক স্যাম্পল সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যাতে তাদের জৈবিক ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে।
-
তাপমাত্রার পরিসর: ক্রায়োজেনিক ফ্রিজে সাধারণ ফ্রিজ বা ডিপ ফ্রিজারের তুলনায় অনেক কম তাপমাত্রা থাকে, যা জৈবিক পদার্থ দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল রাখে।
-
ব্যবহৃত পদার্থ: এতে সাধারণত Liquid Nitrogen (LN₂) ব্যবহার করা হয়, যার বয়েলিং পয়েন্ট প্রায় −196°C, ফলে এটি অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা বজায় রাখতে সক্ষম।
-
সংরক্ষণের নিরাপত্তা: লিকুইড নাইট্রোজেন রাসায়নিকভাবে অপ্রতিক্রিয়াশীল (inert) হওয়ায় এটি নিরাপদে জীববস্তু সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় এবং নমুনার গুণগত মান বজায় রাখে।
-
অতিরিক্ত তথ্য: ক্রায়োজেনিক সংরক্ষণ সাধারণত ক্রায়োপ্রিজারভেশন (Cryopreservation) প্রক্রিয়ার অংশ, যেখানে স্পার্ম, ডিম্বাণু, ভ্রূণ, রক্তকণিকা বা টিস্যু নমুনা দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষিত হয়। এই নিম্ন তাপমাত্রায় জৈব রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়, ফলে কোষের গঠন অক্ষুণ্ণ থাকে।

0
Updated: 1 day ago