মাইকেল মধুসূদন দত্ত হেক্টরবধ কাকে উৎসর্গ করেন?
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
রাজনারায়ণ বসু
D
ভূদেব মুখোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত “হেক্টরবধ” একটি অসমাপ্ত গদ্যকাব্য, যেখানে প্রাচীন গ্রীক কবি হোমার রচিত “ইলিয়ড” মহাকাব্যের কাহিনী সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি অনুবাদধর্মী রচনা হলেও একে আক্ষরিক অনুবাদ বলা যায় না, কারণ কবি এতে নিজস্ব কাব্যরীতি ও ভাষাশৈলী ব্যবহার করেছেন। গ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেছেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়কে, যিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যসমালোচক।
• গ্রন্থের নাম: হেক্টরবধ
• রচনাশৈলী: অসমাপ্ত গদ্যকাব্য
• কাহিনির উৎস: হোমারের ইলিয়ড
• ধরন: অনুবাদধর্মী কিন্তু আক্ষরিক নয়
• উৎসর্গপ্রাপক: ভূদেব মুখোপাধ্যায়

0
Updated: 1 day ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
Created: 2 weeks ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন অগ্রণী কবি এবং নাট্যকার, যিনি বাংলা কাব্যে নতুন ধারা ও ছন্দের প্রবর্তন ঘটিয়েছেন। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদীর তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদ্ভাবক, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন সুর এবং ছন্দশৈলী নিয়ে এসেছে।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন মহাকবি এবং নাট্যকার।
-
তিনি বাংলা সনেট প্রবর্তন করেন, যা বাংলা কবিতায় পশ্চিমা প্রভাবের সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করে।
-
মাইকেল দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, যা বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে নবজীবন প্রদান করে।
-
তার সাহিত্যকর্মে বাংলা কাব্যকে সুরমুক্তি এবং ছন্দসমৃদ্ধি প্রদান করা হয়েছে।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যা অন্য ছন্দের তুলনায় উচ্চারণে স্বাভাবিক এবং গদ্য উচ্চারণভঙ্গির অনুসারী। উনিশ শতকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মাধ্যমে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন এই ছন্দকে আরও সমৃদ্ধ এবং আধুনিক আকারে পরিণত করে।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ শ্বাসাঘাতপ্রধান নয়, বরং তানপ্রধান। তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রায় রচিত হয়, যা ছন্দের দীর্ঘতা নির্ধারণ করে।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দ আসলে বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ, যা সাহিত্যে নতুন ছন্দের ধারা প্রতিষ্ঠা করে।
-
মহাপয়ার হলো পয়ার ছন্দের একটি বিস্তৃত রূপ, যেখানে সাধারণ পয়ারের ৬ মাত্রার পরিবর্তে ১০ মাত্রা ব্যবহৃত হয়।
-
এভাবে, বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত এবং তার নবীন রূপ চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়িত করেছে।

0
Updated: 2 weeks ago
মধুসূদন দত্ত রচিত 'মেঘনাদবধ কাব্য' এর উৎস গ্রন্থ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
রামায়ণ
B
মহাভারত
C
ভাগবত
D
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত। এটি রচিত হয় ১৮৬১ সালের জুন মাসে এবং মূলত সংস্কৃত মহাকাব্য ‘রামায়ণ’ এর ক্ষুদ্র অংশের ওপর ভিত্তি করে।
কাব্যটি নয়টি সর্গে বিভক্ত এবং এতে মোট তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
প্রধান চরিত্রগুলো:
-
রাবণ
-
মেঘনাদ
-
লক্ষ্মণ
-
রাম
-
প্রমীলা
-
বিভীষণ
-
সীতা
-
সরমা ইত্যাদি
কাব্যের সর্গসমূহ:
-
অভিষেক
-
অস্ত্রলাভ
-
সমাগম
-
অশোক বন
-
উদ্যোগ
-
বধ
-
শক্তিনির্ভেদ
-
প্রেতপুরী
-
সংস্ক্রিয়া
মেঘনাদবধ কাব্য অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
উৎস:

0
Updated: 4 weeks ago
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ছদ্মনাম-
Created: 1 week ago
A
দৃষ্টিহীন
B
পরশুরাম
C
কালকূট
D
এ নেটিভ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক নবযুগের প্রবর্তক, যিনি কবি ও নাট্যকার হিসেবে অসামান্য খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর জন্ম ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে, কপোতাক্ষ নদের তীরে। তিনি ছিলেন বাংলা সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক। প্রথমবার অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন তাঁর ‘পদ্মাবতী’ নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে। বাংলা ভাষায় অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’, যা সম্পূর্ণভাবে এই ছন্দে লেখা। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ইংরেজিতে রচিত ‘The Captive Lady’।
ছদ্মনাম ও অনুবাদ কাজ:
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ছদ্মনাম ছিল “A Native”।
-
তিনি এই নামেই ‘নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন, যার নাম দেন ‘Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror’ (1861)।
-
অনুবাদটি ইংরেজ পাঠকদের কাছে বাংলার নীলচাষীদের দুঃসহ বাস্তবতা তুলে ধরে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যসমূহ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য)
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-
তাঁর সাহিত্যকর্মে বীরত্ব, মানবিকতা, প্রেম, ট্র্যাজেডি ও ব্যক্তিস্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা প্রবলভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
-
তিনি বাংলা সাহিত্যে ইউরোপীয় ভাবধারা ও কাব্যরীতি প্রবর্তনের মাধ্যমে এক আধুনিক যুগের সূচনা করেন।
-
তাঁর ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য, যা রামায়ণের কাহিনিকে এক নতুন মানবিক ও আধুনিক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করে।
অন্য সাহিত্যিকদের ছদ্মনাম:
-
মধুসূদন মজুমদার – দৃষ্টিহীন
-
রাজশেখর বসু – পরশুরাম
-
সমরেশ বসু – কালকূট

0
Updated: 1 week ago