Retinol-এর উৎস কোনটি?
A
প্রাণীজ যকৃত
B
গাঁজর
C
মিষ্টি কুমড়া
D
পাঁকা পেপে
উত্তরের বিবরণ
Retinol হলো Vitamin A-এর সক্রিয় প্রাণীজ রূপ, যা শরীরে সরাসরি ব্যবহৃত হতে পারে এবং দৃষ্টিশক্তি, বৃদ্ধি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি মূলত প্রাণীজ খাদ্যে উপস্থিত থাকে, যেখানে এটি পূর্বনির্মিত (preformed) আকারে থাকে।
-
প্রাণীজ উৎস: রেটিনল পাওয়া যায় প্রধানত
১. যকৃত (Liver) – ভিটামিন A-এর সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস
২. দুধ ও দুধজাত পণ্য – যেমন দই, পনির ইত্যাদি
৩. মাখন
৪. ডিমের কুসুম -
উদ্ভিদজাত বিকল্প: উদ্ভিদজাত খাবারে সরাসরি রেটিনল থাকে না; বরং থাকে প্রো-ভিটামিন A (β-Carotene), যা শরীরে রেটিনলে রূপান্তরিত হয়। এর প্রধান উৎস হলো গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, টমেটো ও সবুজ শাকসবজি।
-
জৈবিক ভূমিকা: রেটিনল দৃষ্টিশক্তিতে রোডপসিন (Rhodopsin) গঠনে সহায়তা করে, যা অল্প আলোতেও দেখার ক্ষমতা প্রদান করে। এছাড়া এটি ত্বক, হাড় ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য।
-
অতিরিক্ত তথ্য: শরীরে অতিরিক্ত রেটিনল জমলে হাইপারভিটামিনোসিস A ঘটতে পারে, তাই এটি সুষম মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত; অন্যদিকে β-Carotene তুলনামূলকভাবে নিরাপদ কারণ দেহ প্রয়োজন অনুযায়ীই এটিকে রেটিনলে রূপান্তরিত করে।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ Assessment পদ্ধতি দিয়ে হিডেন হাঙ্গার সবচেয়ে নির্ভুলভাবে ধরা যায়?
Created: 1 day ago
A
Anthropometry
B
ডায়েটরী সার্ভে
C
Biochemical পরীক্ষা
D
ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা
Hidden hunger বলতে বোঝায় এমন একটি পুষ্টিহীনতা অবস্থা, যেখানে দেহে ভিটামিন বা খনিজের ঘাটতি থাকে, কিন্তু এর দৃশ্যমান বা স্পষ্ট উপসর্গ দেখা যায় না। এটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য, বৃদ্ধি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অবনতি ঘটায়।
-
Anthropometry: ওজন, উচ্চতা ও BMI দ্বারা সাধারণত শক্তি বা প্রোটিন অপুষ্টি নির্ণয় করা যায়, কিন্তু micronutrient ঘাটতি শনাক্ত করা কঠিন।
-
Dietary survey: ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্যগ্রহণের ধরণ বোঝায়, তবে এটি শরীরে পুষ্টির শোষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করে না।
-
Clinical exam: কিছু ক্ষেত্রে ত্বক, চোখ বা চুলের পরিবর্তন দেখে পুষ্টির ঘাটতির ধারণা পাওয়া যায়, কিন্তু তা সবসময় নির্ভুল নয়।
-
Biochemical test: রক্ত, প্রস্রাব বা অন্যান্য জৈব নমুনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভিটামিন ও খনিজের প্রকৃত মাত্রা নির্ধারণ করা যায়। এটি hidden hunger শনাক্তের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
-
অতিরিক্ত তথ্য: Hidden hunger সাধারণত ভিটামিন A, আয়রন, আয়োডিন, জিঙ্ক ও ফলেট ঘাটতির কারণে হয় এবং এটি দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, রক্তাল্পতা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
Transamination-এ কোন্ Co-enzyme প্রয়োজন হয়?
Created: 1 day ago
A
NAD+
B
FAD
C
PLP
D
Co-enzyme A
Transamination হলো এমন একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া যেখানে একটি অ্যামিনো অ্যাসিডের α-অ্যামিনো গ্রুপ অন্য একটি কিটো অ্যাসিডে স্থানান্তরিত হয়, যার ফলে নতুন অ্যামিনো অ্যাসিড ও কিটো অ্যাসিড তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়ায় PLP (Pyridoxal Phosphate) একটি অপরিহার্য কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে।
-
PLP-এর উৎস: এটি ভিটামিন B6-এর (Pyridoxine) সক্রিয় রূপ বা ডেরিভেটিভ, যা অ্যামিনো অ্যাসিড বিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
কাজের প্রক্রিয়া: PLP ট্রান্সঅ্যামিনেশন বিক্রিয়ায় অ্যামিনো গ্রুপের বাহক হিসেবে কাজ করে—প্রথমে এটি দাতা অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে গ্রুপটি গ্রহণ করে, পরে তা গ্রহীতা কিটো অ্যাসিডে স্থানান্তর করে।
-
এনজাইম সম্পৃক্ততা: এই প্রক্রিয়া ট্রান্সঅ্যামিনেজ বা অ্যামিনোট্রান্সফারেজ নামক এনজাইমের সাহায্যে সম্পন্ন হয়।
-
জৈবিক গুরুত্ব: ট্রান্সঅ্যামিনেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামিনো অ্যাসিডের সংশ্লেষণ ও বিপাক ঘটে, যা প্রোটিন গঠন এবং শক্তি উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
-
অতিরিক্ত তথ্য: PLP কেবল ট্রান্সঅ্যামিনেশনে নয়, বরং ডিকার্বক্সিলেশন ও ডিএমিনেশন প্রক্রিয়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে বিভিন্ন জীবরাসায়নিক যৌগ (যেমন নিউরোট্রান্সমিটার) তৈরিতে সহায়তা করে।

0
Updated: 1 day ago
গ্লুকোজের প্রতি কোন্ এনজাইমের Km-Value বেশী?
Created: 1 day ago
A
Hexokinase
B
Glucokinase
C
উভয়ের সমান
D
কোনটিই নয়
Glucokinase এবং Hexokinase উভয়ই গ্লুকোজকে গ্লুকোজ-৬-ফসফেটে রূপান্তর করে, তবে তাদের কার্যকারিতা ও শারীরবৃত্তীয় ভূমিকা ভিন্ন। এদের মধ্যে পার্থক্যের মূল কারণ হলো Km মানের (Michaelis constant) পার্থক্য, যা গ্লুকোজের প্রতি এনজাইমের আফিনিটি (affinity) নির্দেশ করে।
-
Glucokinase:
-
এর Km মান বেশি, অর্থাৎ গ্লুকোজের প্রতি আফিনিটি কম।
-
এটি উচ্চ গ্লুকোজ ঘনত্বে সক্রিয় থাকে, যেমন খাবার গ্রহণের পর যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
-
মূলত লিভারে (Liver) অবস্থান করে এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন আকারে সংরক্ষণে সহায়তা করে।
-
এটি রক্তের গ্লুকোজমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ কম গ্লুকোজ অবস্থায় এটি নিষ্ক্রিয় থাকে।
-
-
Hexokinase:
-
এর Km মান কম, অর্থাৎ গ্লুকোজের প্রতি আফিনিটি বেশি।
-
এটি কম গ্লুকোজ ঘনত্বেও কার্যকরভাবে কাজ করে।
-
মস্তিষ্ক ও পেশীসহ অন্যান্য টিস্যুতে থাকে এবং কোষকে অবিরাম শক্তি সরবরাহ করে।
-
এটি রক্তের গ্লুকোজমাত্রা নির্বিশেষে গ্লুকোজ ব্যবহার নিশ্চিত করে, বিশেষ করে মস্তিষ্কের মতো অঙ্গের জন্য অত্যাবশ্যক।
-
সারসংক্ষেপে, Glucokinase উচ্চ গ্লুকোজমাত্রায় গ্লাইকোজেন সংরক্ষণে সহায়তা করে, আর Hexokinase সবসময় গ্লুকোজ ব্যবহার নিশ্চিত করে — এই পার্থক্যই শরীরে শক্তির সুষম বণ্টন বজায় রাখে।

0
Updated: 1 day ago