গর্ভাবস্থায় নিউরাল টিউব ডিফেক্ট প্রতিরোধে কোন্ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী?
A
Iron
B
Zinc
C
Folic Acid
D
Vit A
উত্তরের বিবরণ
নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (Neural Tube Defect – NTD) হলো এক ধরনের জন্মগত ত্রুটি (Congenital Malformation), যেখানে ভ্রূণের মস্তিষ্ক (brain) বা মেরুদণ্ড (spinal cord) সঠিকভাবে গঠিত হয় না। এটি সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে ঘটে, যখন নিউরাল টিউব বন্ধ হতে ব্যর্থ হয়।
Folic Acid (ভিটামিন B₉) এ ধরনের ত্রুটি প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—
-
DNA ও RNA সংশ্লেষণ: ফলিক অ্যাসিড নিউক্লিক অ্যাসিড (DNA ও RNA) তৈরিতে সহায়তা করে, যা কোষের জিনগত উপাদান গঠনের জন্য অপরিহার্য।
-
কোষ বিভাজন ও বৃদ্ধি: এটি দ্রুত বিভাজনশীল কোষ, যেমন ভ্রূণের কোষ, সঠিকভাবে বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়।
-
NTD প্রতিরোধ: গর্ভাবস্থার প্রারম্ভিক পর্যায়ে যথাযথ পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে নিউরাল টিউব ডিফেক্টের ঝুঁকি প্রায় ৭০% পর্যন্ত কমানো যায়। এজন্য গর্ভধারণের আগে ও প্রাথমিক মাসগুলোতে প্রতিদিন ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
সারসংক্ষেপে, Folic Acid ভ্রূণের স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে অপরিহার্য, এবং এর ঘাটতি NTD-সহ গুরুতর জন্মগত জটিলতার কারণ হতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
গর্ভবতী থাকা অবস্থায় কত কিলোক্যালরী শক্তি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার বেশী লাগে?
Created: 1 day ago
A
২০০ কিলোক্যালরী
B
৫০০ কিলোক্যালরী
C
২৫০ কিলোক্যালরী
D
৬০০ কিলোক্যালরী
গর্ভাবস্থায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর শরীরে ভ্রূণের বৃদ্ধি ও মাতৃদেহের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। এই সময় শরীর শুধু নিজের নয়, ভ্রূণেরও পুষ্টির চাহিদা মেটায়, ফলে শক্তির চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।
-
অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজনের কারণ: গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বৃদ্ধি, গর্ভাশয়ের সম্প্রসারণ, স্তনগ্রন্থির বিকাশ ও রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি—এসব প্রক্রিয়ার জন্য শরীরে অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় হয়।
-
শক্তি বৃদ্ধির পরিমাণ: গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০–৫০০ কিলোক্যালরি অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োজন হয়।
-
বাংলাদেশ ও WHO নির্দেশনা অনুযায়ী: গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে বা তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কিলোক্যালরি অতিরিক্ত শক্তি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
-
অতিরিক্ত শক্তির উৎস: এই অতিরিক্ত ক্যালরি ideally আসা উচিত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার থেকে—যেমন দুধ, ডিম, মাছ, ডাল, শাকসবজি ও ফলমূল।
-
অতিরিক্ত তথ্য: পর্যাপ্ত শক্তি গ্রহণের পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও প্রোটিন গ্রহণও জরুরি, কারণ এগুলো ভ্রূণের বৃদ্ধি ও মাতৃস্বাস্থ্যের রক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago