Cellular Differentiation-এর জন্য Vitamin A-এর কোন্ রূপটি প্রয়োজন?
A
Retinoic Acid
B
11-Cis Retinal
C
All Trans Retinol
D
ẞ-Carotene
উত্তরের বিবরণ
Cellular differentiation হলো এমন একটি জৈব প্রক্রিয়া যেখানে একটি অপরিণত বা অ-বিশেষায়িত কোষ (undifferentiated cell) ধীরে ধীরে একটি নির্দিষ্ট কার্যসম্পন্ন বা বিশেষায়িত কোষে (specialized cell) রূপান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি জীবের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং টিস্যুর গঠন বজায় রাখতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
-
Vitamin A-এর ভূমিকা: ভিটামিন A-এর সক্রিয় রূপ Retinoic Acid এই প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। এটি কোষের নিউক্লিয়াসে (nucleus) প্রবেশ করে এবং নির্দিষ্ট রিসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জিন প্রকাশ (gene expression) নিয়ন্ত্রণ করে।
-
রিসেপ্টরের সঙ্গে সম্পর্ক: Retinoic Acid দুটি রিসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয় —
-
Retinoic Acid Receptor (RAR)
-
Retinoid X Receptor (RXR)
এই রিসেপ্টরগুলো ডিএনএর নির্দিষ্ট অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে জিন সক্রিয় বা নিস্ক্রিয় করে, যার মাধ্যমে কোষের আচরণ পরিবর্তিত হয়।
-
-
ফলাফল: এই জিন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোষের বৃদ্ধি (growth), বিভাজন (division) এবং বিভেদন (differentiation) সংঘটিত হয়।
-
জৈবিক গুরুত্ব: Retinoic Acid-এর উপস্থিতি কোষকে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পন্ন রূপে বিকশিত হতে সাহায্য করে, যেমন ত্বক, স্নায়ু ও ইপিথেলিয়াল টিস্যুর কোষগঠন।
অতএব, Retinoic Acid হলো এমন একটি সংকেত অণু যা কোষের ভাগ্য নির্ধারণে (cell fate determination) জিনগত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি Vitamin D Toxicity-এর সাথে জড়িত?
Created: 1 day ago
A
হাইপোক্যালসিমিয়া
B
অস্টিওপোরোসিস
C
হাইপারক্যালসিমিয়া
D
হাইপোফসফেটেমিয়া
Vitamin D toxicity (Hypervitaminosis D) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন D জমা হয়, ফলে ক্যালসিয়ামের শোষণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় (Hypercalcemia)। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
-
প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা: ভিটামিন D অন্ত্রে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ বৃদ্ধি করে। অতিরিক্ত ভিটামিন D গ্রহণ করলে এই শোষণ অতিরিক্ত পরিমাণে ঘটে, ফলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক সীমা অতিক্রম করে।
-
Hypercalcemia-এর ফলাফল: রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গেলে তা কিডনি, হৃদপিণ্ড ও রক্তনালীতে ক্যালসিয়াম জমা (Calcification) ঘটাতে পারে। এতে কিডনি স্টোন, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
লক্ষণসমূহ: ক্লান্তি, বমি, পেশির দুর্বলতা, অতিরিক্ত তৃষ্ণা, প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিভ্রান্তি—এসব Hypervitaminosis D-এর সাধারণ উপসর্গ।
-
অতিরিক্ত তথ্য: এই অবস্থার প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ, প্রাকৃতিক খাদ্য বা সূর্যালোক থেকে নয়। চিকিৎসায় সাধারণত ভিটামিন D গ্রহণ বন্ধ, ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

0
Updated: 1 day ago
Vitamin B12 এর অভাবে উপসর্গ কি হতে পারে?
Created: 1 day ago
A
Dementia
B
Neural tube defect
C
Pernicious Anaemia
D
বেরিবেরি
Vitamin B Complex-এর বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি দেহে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রোগ ও শারীরবৃত্তীয় সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রতিটি ভিটামিন নির্দিষ্ট জৈব প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তাই এদের অভাব নির্দিষ্ট রোগের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
-
Vitamin B12 (Cobalamin): এর ঘাটতির ফলে Pernicious Anemia হয়। এই অবস্থায় লোহিত রক্তকণিকা সঠিকভাবে পরিপক্ব হতে পারে না, ফলে অক্সিজেন পরিবহণে ব্যাঘাত ঘটে এবং রোগী ক্লান্তি ও দুর্বলতায় ভোগে।
-
Vitamin B3 (Niacin): এর ঘাটতির কারণে Pellagra রোগ হয়, যার তিনটি প্রধান লক্ষণকে বলা হয় 3Ds — Diarrhea, Dementia, Dermatitis। এর মধ্যে Dementia বা স্মৃতিভ্রংশ অন্যতম উপসর্গ।
-
Folic Acid (Vitamin B9): এর অভাবে ভ্রূণের Neural Tube Defect (NTD) দেখা দিতে পারে, যেমন স্পাইনা বিফিডা বা এনেন্সেফালি। তাই গর্ভবতী নারীদের জন্য ফোলিক অ্যাসিড গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
Vitamin B1 (Thiamine): এই ভিটামিনের ঘাটতির ফলে Beri-beri রোগ হয়, যা স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে পলিশ করা চালের খাদ্যাভ্যাসে এটি বেশি দেখা যায়।
সারসংক্ষেপ:
-
B12 → Pernicious Anemia
-
B3 → Pellagra (3Ds: Diarrhea, Dementia, Dermatitis)
-
B9 → Neural Tube Defect
-
B1 → Beri-beri
প্রতিটি ভিটামিনের সুষম গ্রহণ দেহের রক্ত, স্নায়ু ও কোষীয় কার্যক্রমের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
ক্ষতস্থানে নতুন টিস্যু তৈরীতে কোনটি বেশী প্রয়োজন?
Created: 1 day ago
A
ভিটামিন সি
B
ভিটামিন কে
C
ফলিক এসিড
D
ভিটামিন বি-১
ভিটামিন C (Ascorbic Acid) ক্ষত নিরাময়ে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি শরীরে নতুন টিস্যু গঠনে সাহায্য করে। এই ভিটামিন কলাজেন (Collagen) নামক প্রোটিন তৈরিতে অপরিহার্য, যা ত্বক, রক্তনালী, হাড় ও সংযোজক টিস্যুর মূল গঠন উপাদান।
১. কলাজেন সংশ্লেষণ: ভিটামিন C প্রোলিন ও লাইসিন হাইড্রক্সিলেশন প্রক্রিয়ায় কো-ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে, যা কলাজেনকে স্থিতিশীল ও শক্ত করে তোলে।
২. ক্ষত নিরাময়: কলাজেন উৎপাদনের মাধ্যমে এটি নতুন ত্বক ও টিস্যু গঠনে সাহায্য করে, ফলে ক্ষত দ্রুত সারে।
৩. রক্তনালির স্বাস্থ্য: এটি ক্যাপিলারি (capillary) দেয়ালকে মজবুত করে, যাতে ক্ষতস্থানে রক্তপাত কম হয় এবং টিস্যু পুনর্গঠন সঠিকভাবে ঘটে।
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভূমিকা: ভিটামিন C কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫. অভাবের ফল: এর ঘাটতিতে স্কার্ভি (Scurvy) রোগ হতে পারে, যেখানে ক্ষত সহজে সারে না, মাড়ি থেকে রক্তপাত হয় এবং টিস্যু দুর্বল হয়ে যায়।

0
Updated: 1 day ago