কলেরা টক্সিনে ডায়েরিয়া হলে কোন্ G-Protein-টি প্রভাবিত হয়?
A
Gl Protein
B
Gq Protein
C
Gs protein
D
G12/13 Protein
উত্তরের বিবরণ
Cholera toxin হলো Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা উৎপন্ন এক ধরনের প্রোটিন টক্সিন, যা কোষের সংকেত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে তীব্র ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। এটি মূলত Gs প্রোটিন (Stimulatory G protein)-এর কার্যক্রম পরিবর্তনের মাধ্যমে কোষের ভেতরে অতিরিক্ত cAMP (Cyclic AMP) উৎপন্ন করে।
-
ক্রিয়ার প্রক্রিয়া: Cholera toxin ADP-ribosylation প্রক্রিয়ার মাধ্যমে Gsα (alpha subunit)-এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
ফলাফল: এই পরিবর্তনের কারণে Gs প্রোটিন ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় (Constitutively Active) অবস্থায় থাকে এবং adenylate cyclase এনজাইমকে অবিরামভাবে উদ্দীপিত করে।
-
cAMP বৃদ্ধি: অতিরিক্ত adenylate cyclase কার্যকলাপ কোষে cAMP-এর মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা CFTR chloride channel খুলে দেয়।
-
শারীরবৃত্তীয় প্রভাব: এর ফলে Cl⁻, Na⁺ ও পানি অন্ত্রে ব্যাপকভাবে নিঃসৃত হয়, যা অতিরিক্ত তরল ক্ষতি ও তীব্র ডায়রিয়া সৃষ্টি করে।
-
ক্লিনিক্যাল ফলাফল: এভাবে রোগী দ্রুত ডিহাইড্রেশন, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং শক-এ আক্রান্ত হতে পারে, যা চিকিৎসা না করলে জীবনঘাতী হতে পারে।
সারসংক্ষেপ: Cholera toxin Gs প্রোটিনের α-সাবইউনিটে ADP-ribosylation ঘটিয়ে adenylate cyclase কে স্থায়ীভাবে সক্রিয় রাখে, ফলে cAMP অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয় এবং এর ফলেই cholera-এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পানিস্বল্পতা জনিত ডায়রিয়া দেখা দেয়।

0
Updated: 1 day ago
Iodine- এর অভাবজনিত কারণে কোনটি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়?
Created: 1 day ago
A
Insulin
B
TSH
C
ADH
D
Growth Hormone
আয়োডিন (Iodine) হলো থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত T3 (Triiodothyronine) ও T4 (Thyroxine) হরমোন তৈরির জন্য অপরিহার্য উপাদান। শরীরে পর্যাপ্ত আয়োডিন না থাকলে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন কমে যায়, যা হরমোনীয় ভারসাম্য নষ্ট করে এবং শরীরের বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে।
-
হরমোন উৎপাদনে আয়োডিনের ভূমিকা: থাইরয়েড গ্রন্থি আয়োডিন ব্যবহার করে T3 ও T4 হরমোন তৈরি করে, যা শরীরের মেটাবলিজম, বৃদ্ধি ও শক্তি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।
-
আয়োডিনের ঘাটতির প্রভাব: আয়োডিনের অভাবে এই হরমোনগুলোর মাত্রা কমে যায়, ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীরগতি হয় (Hypothyroidism)।
-
পিটুইটারি গ্রন্থির প্রতিক্রিয়া: রক্তে T3 ও T4-এর পরিমাণ হ্রাস পেলে পিটুইটারি গ্রন্থি TSH (Thyroid Stimulating Hormone) নিঃসরণ বাড়ায়, যাতে থাইরয়েড গ্রন্থি আরও বেশি হরমোন তৈরি করতে উদ্দীপিত হয়।
-
ফলাফল: অতিরিক্ত TSH নিঃসরণের ফলে থাইরয়েড গ্রন্থি অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত (Goiter) হয়ে যায়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: আয়োডিনের ঘাটতি প্রতিরোধে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। এছাড়া আয়োডিনের পর্যাপ্ততা বজায় রাখলে হরমোনের ভারসাম্য ও বিপাকক্রিয়ার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
আয়োডিন ঘাটতি রোগ বর্তমানে কোন্ অঞ্চলে বেশী দেখা যায়?
Created: 1 day ago
A
সাব-সাহারান আফ্রিকা
B
দক্ষিণপূর্ব এশিয়া
C
লাটিন আমেরিকা
D
ইউরোপ
আয়োডিন ঘাটতি (Iodine Deficiency) একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা, যা বিশেষ করে প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় দেখা যায়। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে এ সমস্যার তীব্রতার পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।
-
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত অঞ্চল:
Central Sub-Saharan Africa অঞ্চলে আয়োডিন ঘাটতির Age-Standardized Incidence (ASI) rate ছিল সর্বোচ্চ — প্রতি ১,০০,০০০ জনসংখ্যায় ৪৫৮.৯৫ (৯৫% UI: ৩৭১.৫৫–৫৫৫.৭৫)। এই উচ্চ হার ইঙ্গিত দেয় যে অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাসে আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবারের অভাব এবং জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের সীমাবদ্ধতা এখনো প্রকট। -
South Asia:
এখানে ASI rate ছিল তুলনামূলকভাবে মাঝারি — ২১১.৪৭ (৯৫% UI: ১৬৪.৬৯–২৬৬.২০)। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও, গ্রামীণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঘাটতি এখনো বিদ্যমান। -
সবচেয়ে কম আক্রান্ত অঞ্চল:
Oceania-তে ASI rate ছিল সর্বনিম্ন — প্রতি ১,০০,০০০ জনসংখ্যায় ৪.৩১ (৯৫% UI: ৩.২৮–৫.৬২)। এটি নির্দেশ করে যে এই অঞ্চলে আয়োডিন সম্পূরক নীতি ও খাদ্যব্যবস্থার কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে উন্নত।
এই তথ্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, আয়োডিন ঘাটতি এখনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যচ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে, বিশেষত আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার, খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং পুষ্টি কর্মসূচির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি অ-সংক্রামক রোগ নয় (NCD)?
Created: 1 day ago
A
ডায়াবেটিক মেলিটাজ
B
হাইপারটেনশন
C
স্কার্ভি
D
গাউট (Gout)
“অ-সংক্রামক নয়” বলতে বোঝায় যে রোগটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে, অর্থাৎ একজন ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে ছড়াতে সক্ষম। প্রদত্ত রোগগুলোর মধ্যে কোনোটিই সংক্রামক নয়, কারণ এগুলো সবই অ-সংক্রামক (Non-communicable diseases)।
-
ডায়াবেটিস (Diabetes): এটি এক ধরনের বিপাকজনিত (Metabolic) রোগ, যা ইনসুলিনের ঘাটতি বা কার্যকারিতার সমস্যার কারণে ঘটে; এটি ছোঁয়াচে নয়।
-
গাউট (Gout): এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ত সঞ্চয়ের ফলে গাঁটে প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ; সংক্রমণজনিত নয়।
-
হাইপারটেনশন (Hypertension): এটি উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, যা জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস ও বংশগত কারণে হয়, সংক্রামক নয়।
-
স্কার্ভি (Scurvy): এটি ভিটামিন সি-এর ঘাটতির কারণে সৃষ্ট রোগ, যার সঙ্গে সংক্রমণের কোনো সম্পর্ক নেই।
অতএব, তালিকাভুক্ত কোনো রোগই সংক্রামক নয়, অর্থাৎ “অ-সংক্রামক নয়” এমন রোগ এখানে নেই।

0
Updated: 1 day ago