কোনটি Antioxidant-হিসেবে কাজ করে?
A
Thiamin
B
ẞ-Carotene
C
Pyridoxal Phate
D
Phylloquinone
উত্তরের বিবরণ
β-Carotene (বেটা-ক্যারোটিন) হলো একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) যা শরীরে উৎপন্ন ফ্রি র্যাডিক্যাল (Free Radicals) নিরপেক্ষ করে কোষকে ক্ষয় ও অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি শরীরে ভিটামিন A-এর প্রিকার্সর হিসেবেও কাজ করে, অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী β-Carotene থেকে ভিটামিন A (Retinol) তৈরি হয়।
-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভূমিকা: β-Carotene কোষের ঝিল্লিকে ফ্রি র্যাডিক্যালের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে, ফলে ক্যানসার, হৃদরোগ ও বার্ধক্যজনিত ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
-
ভিটামিন A রূপান্তর: এটি শরীরে ভিটামিন A-তে রূপান্তরিত হয়ে দৃষ্টি, ত্বক ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
-
Thiamin (Vitamin B1): এটি একটি কো-এনজাইম, যা শক্তি উৎপাদনে ভূমিকা রাখে, কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নয়।
-
Pyridoxal Phosphate (Vitamin B6): এটি অ্যামিনো অ্যাসিডের বিপাকে (Amino Acid Metabolism) কো-ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
-
Phylloquinone (Vitamin K1): এটি রক্ত জমাট বাঁধা (Blood Clotting) প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে, তবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে না।

0
Updated: 1 day ago
ফ্রুক্টোজের পলিমার কোনটি?
Created: 1 day ago
A
স্টার্চ
B
গ্লাইকোজেন
C
ইনোলিন
D
হেপারিন
Inulin একটি ফ্রুক্টোজের পলিমার, যা প্রধানত উদ্ভিদজাত খাদ্যে বিদ্যমান এবং Fructan শ্রেণীর কার্বোহাইড্রেট হিসেবে পরিচিত। এটি মানুষের শরীরে হজম হয় না, কারণ ইনুলিন ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম অনুপস্থিত। ফলে এটি অন্ত্রে পৌঁছে প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায় এবং পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে।
-
গঠন: ইনুলিন গঠিত ফ্রুক্টোজ ইউনিটগুলোর β-(2→1) লিংকেজে সংযুক্ত শৃঙ্খল দ্বারা।
-
উৎস: এটি চিকোরি রুট, রসুন, পেঁয়াজ, গম, কলা ও জেরুজালেম আর্টিচোক-এ পাওয়া যায়।
-
কার্য: ইনুলিন প্রিবায়োটিক ফাইবার হিসেবে অন্ত্রের ল্যাক্টোব্যাসিলাস ও বিফিডোব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি促 করে।
-
শরীরে ভূমিকা: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং কোলেস্টেরল হ্রাসে ভূমিকা রাখতে পারে।
-
চিকিৎসাবিদ্যায় ব্যবহার: কিডনি ফাংশন পরীক্ষা (GFR measurement)-এর সূচক হিসেবেও ইনুলিন ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি শরীরে বিপাকিত হয় না এবং সম্পূর্ণভাবে কিডনির মাধ্যমে নির্গত হয়।

0
Updated: 1 day ago
Nutritional Assessment এ ABCDE approach-এ 'C' দ্বারা কী বুঝায়?
Created: 1 day ago
A
Clinical Assessment
B
Community Assessment
C
Chemical Analysis
D
Caloric Assessment
Nutritional Assessment বা পুষ্টি অবস্থার মূল্যায়ন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পুষ্টিগত অবস্থা নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ABCDE Approach একটি কার্যকর ও গঠনমূলক পদ্ধতি, যা পাঁচটি প্রধান উপাদানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রতিটি ধাপ শরীরের পুষ্টিগত ভারসাম্য, ঘাটতি বা অতিরিক্ততা চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
-
A → Anthropometric Assessment: এতে দেহের ওজন, উচ্চতা, শরীরের ভরসূচক (BMI), বাহু বা কোমরের পরিধি, চামড়ার নিচের চর্বির পুরুত্ব (Skinfold Thickness) ইত্যাদি মাপা হয়। এটি দেহের বৃদ্ধি, স্থূলতা বা অপুষ্টির মাত্রা নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
B → Biochemical/Chemical Assessment: রক্ত, মূত্র বা অন্যান্য জৈব তরল পরীক্ষার মাধ্যমে পুষ্টির রাসায়নিক সূচক মূল্যায়ন করা হয়। যেমন—রক্তে হিমোগ্লোবিন, গ্লুকোজ, কোলেস্টেরল, ভিটামিন ও খনিজের মাত্রা নির্ধারণ।
-
C → Clinical Assessment: শরীরের দৃশ্যমান লক্ষণ ও উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করা হয়। যেমন—চামড়া, চোখ, চুল, নখ, জিহ্বা ও মাড়ির অবস্থা দেখে পুষ্টির ঘাটতি বা রোগের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।
-
D → Dietary Assessment: ব্যক্তির খাদ্য গ্রহণের ইতিহাস, খাদ্যাভ্যাস ও দৈনন্দিন খাদ্য প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করা হয়। ২৪ ঘণ্টার খাদ্য তালিকা বা খাদ্য ফ্রিকোয়েন্সি প্রশ্নপত্র ব্যবহার করে গ্রহণকৃত পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
-
E → Environmental Assessment: পুষ্টির ওপর প্রভাব ফেলা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উপাদান বিশ্লেষণ করা হয়—যেমন আয়, শিক্ষার স্তর, খাদ্যপ্রাপ্তি, স্বাস্থ্যবিধি, পানির মান ও বাসস্থান পরিবেশ।
সারসংক্ষেপে: ABCDE পদ্ধতি একজন ব্যক্তির পুষ্টি অবস্থাকে সামগ্রিকভাবে মূল্যায়নের জন্য একটি বৈজ্ঞানিক, সংগঠিত ও নির্ভরযোগ্য কাঠামো, যা চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিদ্যায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 day ago
Glycemic Index (GI) কি পরিমাপ করে?
Created: 1 day ago
A
ভিটামিন শোষণ
B
প্রোটিন হজম যোগ্যতা
C
কার্বোহাইড্রেড যুক্ত খাবারে রক্তে শর্করার প্রতিক্রিয়া
D
খনিজের শোষণ যোগ্যতা
Glycemic Index বা GI হলো এমন একটি মান যা নির্ধারণ করে কোনো খাবার খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কত দ্রুত ও কতটা পরিমাণে বাড়ে। এটি মূলত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের প্রভাব মূল্যায়নের একটি উপায়।
-
উচ্চ GI খাবার রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বৃদ্ধি করে। উদাহরণ: সাদা রুটি, চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার।
-
নিম্ন GI খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। উদাহরণ: দানাদার শস্য, শাকসবজি ও ডাল জাতীয় খাবার।
-
GI মানের উপর ভিত্তি করে ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
-
নিম্ন GI খাবার শরীরে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
-
GI মান সাধারণত ০ থেকে ১০০ স্কেলে পরিমাপ করা হয়, যেখানে ৫৫ বা তার নিচে নিম্ন GI এবং ৭০ বা তার উপরে উচ্চ GI ধরা হয়।

0
Updated: 1 day ago