Iodine- এর অভাবজনিত কারণে কোনটি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়?
A
Insulin
B
TSH
C
ADH
D
Growth Hormone
উত্তরের বিবরণ
আয়োডিন (Iodine) হলো থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত T3 (Triiodothyronine) ও T4 (Thyroxine) হরমোন তৈরির জন্য অপরিহার্য উপাদান। শরীরে পর্যাপ্ত আয়োডিন না থাকলে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন কমে যায়, যা হরমোনীয় ভারসাম্য নষ্ট করে এবং শরীরের বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে।
-
হরমোন উৎপাদনে আয়োডিনের ভূমিকা: থাইরয়েড গ্রন্থি আয়োডিন ব্যবহার করে T3 ও T4 হরমোন তৈরি করে, যা শরীরের মেটাবলিজম, বৃদ্ধি ও শক্তি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।
-
আয়োডিনের ঘাটতির প্রভাব: আয়োডিনের অভাবে এই হরমোনগুলোর মাত্রা কমে যায়, ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীরগতি হয় (Hypothyroidism)।
-
পিটুইটারি গ্রন্থির প্রতিক্রিয়া: রক্তে T3 ও T4-এর পরিমাণ হ্রাস পেলে পিটুইটারি গ্রন্থি TSH (Thyroid Stimulating Hormone) নিঃসরণ বাড়ায়, যাতে থাইরয়েড গ্রন্থি আরও বেশি হরমোন তৈরি করতে উদ্দীপিত হয়।
-
ফলাফল: অতিরিক্ত TSH নিঃসরণের ফলে থাইরয়েড গ্রন্থি অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত (Goiter) হয়ে যায়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: আয়োডিনের ঘাটতি প্রতিরোধে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। এছাড়া আয়োডিনের পর্যাপ্ততা বজায় রাখলে হরমোনের ভারসাম্য ও বিপাকক্রিয়ার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
Maple Syrup Urine Disease কি ধরণের রোগ?
Created: 1 day ago
A
Protein Metabolism এর সমস্যা
B
Fato metabolism এর সমস্যা
C
Carbohydrate Metabolism এর সমস্যা
D
Nucleic Acid Metabolism এর সমস্যা
Maple Syrup Urine Disease (MSUD) একটি বংশগত বিপাকজনিত রোগ (Genetic Metabolic Disorder), যা শরীরে নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড ভাঙার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ঘটার ফলে সৃষ্টি হয়। এ রোগের নামকরণ করা হয়েছে প্রস্রাবের বিশেষ ম্যাপল সিরাপের মতো মিষ্টি গন্ধ থেকে, যা এর প্রধান লক্ষণগুলোর একটি।
-
কারণ: MSUD ঘটে Branched-Chain Amino Acids (BCAAs) — লিউসিন (Leucine), আইসোলিউসিন (Isoleucine) ও ভ্যালিন (Valine) — এর বিপাক নিয়ন্ত্রণকারী Branched-Chain α-Keto Acid Dehydrogenase (BCKD) এনজাইমের অভাবে।
-
জেনেটিক ভিত্তি: এটি একটি Autosomal Recessive Disorder, অর্থাৎ শিশুটি তখনই আক্রান্ত হয় যখন উভয় অভিভাবকই ত্রুটিপূর্ণ জিন বহন করে।
-
শারীরবৃত্তীয় প্রভাব: এনজাইমের অভাবে BCAAs ও তাদের toxic by-products (α-keto acids) শরীরে জমা হয়, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
লক্ষণ:
-
প্রস্রাব ও ঘামে ম্যাপল সিরাপ বা পোড়া চিনির মতো গন্ধ।
-
খাবার গ্রহণে অনীহা, বমি, দুর্বলতা ও স্নায়বিক সমস্যা।
-
চিকিৎসা না করলে খিঁচুনি, কোমা ও মৃত্যু ঘটতে পারে।
-
-
নির্ণয়: রক্ত ও প্রস্রাবে BCAAs-এর উচ্চমাত্রা এবং BCKD এনজাইমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়।
-
চিকিৎসা:
-
খাদ্য থেকে লিউসিন, আইসোলিউসিন ও ভ্যালিন কমানো।
-
বিশেষ অ্যামিনো অ্যাসিড-নিয়ন্ত্রিত ডায়েট ও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ।
-
গুরুতর ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে।
-
সারসংক্ষেপে: MSUD হলো একটি বিরল কিন্তু গুরুতর জন্মগত বিপাকজনিত ত্রুটি, যা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
আয়োডিন ঘাটতি রোগ বর্তমানে কোন্ অঞ্চলে বেশী দেখা যায়?
Created: 1 day ago
A
সাব-সাহারান আফ্রিকা
B
দক্ষিণপূর্ব এশিয়া
C
লাটিন আমেরিকা
D
ইউরোপ
আয়োডিন ঘাটতি (Iodine Deficiency) একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা, যা বিশেষ করে প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় দেখা যায়। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে এ সমস্যার তীব্রতার পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।
-
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত অঞ্চল:
Central Sub-Saharan Africa অঞ্চলে আয়োডিন ঘাটতির Age-Standardized Incidence (ASI) rate ছিল সর্বোচ্চ — প্রতি ১,০০,০০০ জনসংখ্যায় ৪৫৮.৯৫ (৯৫% UI: ৩৭১.৫৫–৫৫৫.৭৫)। এই উচ্চ হার ইঙ্গিত দেয় যে অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাসে আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবারের অভাব এবং জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের সীমাবদ্ধতা এখনো প্রকট। -
South Asia:
এখানে ASI rate ছিল তুলনামূলকভাবে মাঝারি — ২১১.৪৭ (৯৫% UI: ১৬৪.৬৯–২৬৬.২০)। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও, গ্রামীণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঘাটতি এখনো বিদ্যমান। -
সবচেয়ে কম আক্রান্ত অঞ্চল:
Oceania-তে ASI rate ছিল সর্বনিম্ন — প্রতি ১,০০,০০০ জনসংখ্যায় ৪.৩১ (৯৫% UI: ৩.২৮–৫.৬২)। এটি নির্দেশ করে যে এই অঞ্চলে আয়োডিন সম্পূরক নীতি ও খাদ্যব্যবস্থার কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে উন্নত।
এই তথ্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, আয়োডিন ঘাটতি এখনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যচ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে, বিশেষত আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার, খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং পুষ্টি কর্মসূচির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ মিনারেল ঘাটতি দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাটিন্যকে তীব্র করে?
Created: 1 day ago
A
আয়রণ
B
ক্যালসিয়াম
C
ম্যাগনেসিয়াম
D
জিংক
ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium) হলো একটি অপরিহার্য খনিজ উপাদান, যা দেহের পেশী, স্নায়ু ও পরিপাকতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি পেশীর সংকোচন (muscle contraction) ও বাওয়েল মুভমেন্ট (bowel movement) নিয়ন্ত্রণে সরাসরি যুক্ত।
১. পেশীর কার্যক্রমে ভূমিকা: ম্যাগনেসিয়াম পেশী কোষের ভেতরে ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে, যা সঠিকভাবে পেশী সংকোচন ও প্রসারণে সহায়তা করে।
২. পরিপাক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা: এটি অন্ত্রের পেশীগুলোকে সক্রিয় রাখে, ফলে মলত্যাগ (bowel movement) স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়।
৩. অভাবের প্রভাব: ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে অন্ত্রের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) দেখা দিতে পারে বা আরও তীব্র হতে পারে।
৪. অন্যান্য উপকারিতা: এটি স্নায়ুতন্ত্রের স্থিতি বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হাড়ের দৃঢ়তা রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
৫. খাদ্য উৎস: ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় বাদাম, বীজ, শাকসবজি, ডাল, সম্পূর্ণ শস্য, ও ডার্ক চকোলেটে।

0
Updated: 1 day ago