কোনটি অ-সংক্রামক রোগ নয় (NCD)?
A
ডায়াবেটিক মেলিটাজ
B
হাইপারটেনশন
C
স্কার্ভি
D
গাউট (Gout)
উত্তরের বিবরণ
“অ-সংক্রামক নয়” বলতে বোঝায় যে রোগটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে, অর্থাৎ একজন ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে ছড়াতে সক্ষম। প্রদত্ত রোগগুলোর মধ্যে কোনোটিই সংক্রামক নয়, কারণ এগুলো সবই অ-সংক্রামক (Non-communicable diseases)।
-
ডায়াবেটিস (Diabetes): এটি এক ধরনের বিপাকজনিত (Metabolic) রোগ, যা ইনসুলিনের ঘাটতি বা কার্যকারিতার সমস্যার কারণে ঘটে; এটি ছোঁয়াচে নয়।
-
গাউট (Gout): এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ত সঞ্চয়ের ফলে গাঁটে প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ; সংক্রমণজনিত নয়।
-
হাইপারটেনশন (Hypertension): এটি উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, যা জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস ও বংশগত কারণে হয়, সংক্রামক নয়।
-
স্কার্ভি (Scurvy): এটি ভিটামিন সি-এর ঘাটতির কারণে সৃষ্ট রোগ, যার সঙ্গে সংক্রমণের কোনো সম্পর্ক নেই।
অতএব, তালিকাভুক্ত কোনো রোগই সংক্রামক নয়, অর্থাৎ “অ-সংক্রামক নয়” এমন রোগ এখানে নেই।

0
Updated: 1 day ago
Iodine- এর অভাবজনিত কারণে কোনটি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়?
Created: 1 day ago
A
Insulin
B
TSH
C
ADH
D
Growth Hormone
আয়োডিন (Iodine) হলো থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত T3 (Triiodothyronine) ও T4 (Thyroxine) হরমোন তৈরির জন্য অপরিহার্য উপাদান। শরীরে পর্যাপ্ত আয়োডিন না থাকলে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন কমে যায়, যা হরমোনীয় ভারসাম্য নষ্ট করে এবং শরীরের বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে।
-
হরমোন উৎপাদনে আয়োডিনের ভূমিকা: থাইরয়েড গ্রন্থি আয়োডিন ব্যবহার করে T3 ও T4 হরমোন তৈরি করে, যা শরীরের মেটাবলিজম, বৃদ্ধি ও শক্তি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।
-
আয়োডিনের ঘাটতির প্রভাব: আয়োডিনের অভাবে এই হরমোনগুলোর মাত্রা কমে যায়, ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীরগতি হয় (Hypothyroidism)।
-
পিটুইটারি গ্রন্থির প্রতিক্রিয়া: রক্তে T3 ও T4-এর পরিমাণ হ্রাস পেলে পিটুইটারি গ্রন্থি TSH (Thyroid Stimulating Hormone) নিঃসরণ বাড়ায়, যাতে থাইরয়েড গ্রন্থি আরও বেশি হরমোন তৈরি করতে উদ্দীপিত হয়।
-
ফলাফল: অতিরিক্ত TSH নিঃসরণের ফলে থাইরয়েড গ্রন্থি অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত (Goiter) হয়ে যায়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: আয়োডিনের ঘাটতি প্রতিরোধে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। এছাড়া আয়োডিনের পর্যাপ্ততা বজায় রাখলে হরমোনের ভারসাম্য ও বিপাকক্রিয়ার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
Maple Syrup Urine Disease কি ধরণের রোগ?
Created: 1 day ago
A
Protein Metabolism এর সমস্যা
B
Fato metabolism এর সমস্যা
C
Carbohydrate Metabolism এর সমস্যা
D
Nucleic Acid Metabolism এর সমস্যা
Maple Syrup Urine Disease (MSUD) একটি বংশগত বিপাকজনিত রোগ (Genetic Metabolic Disorder), যা শরীরে নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড ভাঙার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ঘটার ফলে সৃষ্টি হয়। এ রোগের নামকরণ করা হয়েছে প্রস্রাবের বিশেষ ম্যাপল সিরাপের মতো মিষ্টি গন্ধ থেকে, যা এর প্রধান লক্ষণগুলোর একটি।
-
কারণ: MSUD ঘটে Branched-Chain Amino Acids (BCAAs) — লিউসিন (Leucine), আইসোলিউসিন (Isoleucine) ও ভ্যালিন (Valine) — এর বিপাক নিয়ন্ত্রণকারী Branched-Chain α-Keto Acid Dehydrogenase (BCKD) এনজাইমের অভাবে।
-
জেনেটিক ভিত্তি: এটি একটি Autosomal Recessive Disorder, অর্থাৎ শিশুটি তখনই আক্রান্ত হয় যখন উভয় অভিভাবকই ত্রুটিপূর্ণ জিন বহন করে।
-
শারীরবৃত্তীয় প্রভাব: এনজাইমের অভাবে BCAAs ও তাদের toxic by-products (α-keto acids) শরীরে জমা হয়, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
লক্ষণ:
-
প্রস্রাব ও ঘামে ম্যাপল সিরাপ বা পোড়া চিনির মতো গন্ধ।
-
খাবার গ্রহণে অনীহা, বমি, দুর্বলতা ও স্নায়বিক সমস্যা।
-
চিকিৎসা না করলে খিঁচুনি, কোমা ও মৃত্যু ঘটতে পারে।
-
-
নির্ণয়: রক্ত ও প্রস্রাবে BCAAs-এর উচ্চমাত্রা এবং BCKD এনজাইমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়।
-
চিকিৎসা:
-
খাদ্য থেকে লিউসিন, আইসোলিউসিন ও ভ্যালিন কমানো।
-
বিশেষ অ্যামিনো অ্যাসিড-নিয়ন্ত্রিত ডায়েট ও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ।
-
গুরুতর ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে।
-
সারসংক্ষেপে: MSUD হলো একটি বিরল কিন্তু গুরুতর জন্মগত বিপাকজনিত ত্রুটি, যা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
কলেরা টক্সিনে ডায়েরিয়া হলে কোন্ G-Protein-টি প্রভাবিত হয়?
Created: 1 day ago
A
Gl Protein
B
Gq Protein
C
Gs protein
D
G12/13 Protein
Cholera toxin হলো Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা উৎপন্ন এক ধরনের প্রোটিন টক্সিন, যা কোষের সংকেত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে তীব্র ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। এটি মূলত Gs প্রোটিন (Stimulatory G protein)-এর কার্যক্রম পরিবর্তনের মাধ্যমে কোষের ভেতরে অতিরিক্ত cAMP (Cyclic AMP) উৎপন্ন করে।
-
ক্রিয়ার প্রক্রিয়া: Cholera toxin ADP-ribosylation প্রক্রিয়ার মাধ্যমে Gsα (alpha subunit)-এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
ফলাফল: এই পরিবর্তনের কারণে Gs প্রোটিন ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় (Constitutively Active) অবস্থায় থাকে এবং adenylate cyclase এনজাইমকে অবিরামভাবে উদ্দীপিত করে।
-
cAMP বৃদ্ধি: অতিরিক্ত adenylate cyclase কার্যকলাপ কোষে cAMP-এর মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা CFTR chloride channel খুলে দেয়।
-
শারীরবৃত্তীয় প্রভাব: এর ফলে Cl⁻, Na⁺ ও পানি অন্ত্রে ব্যাপকভাবে নিঃসৃত হয়, যা অতিরিক্ত তরল ক্ষতি ও তীব্র ডায়রিয়া সৃষ্টি করে।
-
ক্লিনিক্যাল ফলাফল: এভাবে রোগী দ্রুত ডিহাইড্রেশন, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং শক-এ আক্রান্ত হতে পারে, যা চিকিৎসা না করলে জীবনঘাতী হতে পারে।
সারসংক্ষেপ: Cholera toxin Gs প্রোটিনের α-সাবইউনিটে ADP-ribosylation ঘটিয়ে adenylate cyclase কে স্থায়ীভাবে সক্রিয় রাখে, ফলে cAMP অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয় এবং এর ফলেই cholera-এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পানিস্বল্পতা জনিত ডায়রিয়া দেখা দেয়।

0
Updated: 1 day ago