Maple Syrup Urine Disease কি ধরণের রোগ?
A
Protein Metabolism এর সমস্যা
B
Fato metabolism এর সমস্যা
C
Carbohydrate Metabolism এর সমস্যা
D
Nucleic Acid Metabolism এর সমস্যা
উত্তরের বিবরণ
Maple Syrup Urine Disease (MSUD) একটি বংশগত বিপাকজনিত রোগ (Genetic Metabolic Disorder), যা শরীরে নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড ভাঙার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ঘটার ফলে সৃষ্টি হয়। এ রোগের নামকরণ করা হয়েছে প্রস্রাবের বিশেষ ম্যাপল সিরাপের মতো মিষ্টি গন্ধ থেকে, যা এর প্রধান লক্ষণগুলোর একটি।
-
কারণ: MSUD ঘটে Branched-Chain Amino Acids (BCAAs) — লিউসিন (Leucine), আইসোলিউসিন (Isoleucine) ও ভ্যালিন (Valine) — এর বিপাক নিয়ন্ত্রণকারী Branched-Chain α-Keto Acid Dehydrogenase (BCKD) এনজাইমের অভাবে।
-
জেনেটিক ভিত্তি: এটি একটি Autosomal Recessive Disorder, অর্থাৎ শিশুটি তখনই আক্রান্ত হয় যখন উভয় অভিভাবকই ত্রুটিপূর্ণ জিন বহন করে।
-
শারীরবৃত্তীয় প্রভাব: এনজাইমের অভাবে BCAAs ও তাদের toxic by-products (α-keto acids) শরীরে জমা হয়, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
লক্ষণ:
-
প্রস্রাব ও ঘামে ম্যাপল সিরাপ বা পোড়া চিনির মতো গন্ধ।
-
খাবার গ্রহণে অনীহা, বমি, দুর্বলতা ও স্নায়বিক সমস্যা।
-
চিকিৎসা না করলে খিঁচুনি, কোমা ও মৃত্যু ঘটতে পারে।
-
-
নির্ণয়: রক্ত ও প্রস্রাবে BCAAs-এর উচ্চমাত্রা এবং BCKD এনজাইমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়।
-
চিকিৎসা:
-
খাদ্য থেকে লিউসিন, আইসোলিউসিন ও ভ্যালিন কমানো।
-
বিশেষ অ্যামিনো অ্যাসিড-নিয়ন্ত্রিত ডায়েট ও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ।
-
গুরুতর ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে।
-
সারসংক্ষেপে: MSUD হলো একটি বিরল কিন্তু গুরুতর জন্মগত বিপাকজনিত ত্রুটি, যা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
কলেরা টক্সিনে ডায়েরিয়া হলে কোন্ G-Protein-টি প্রভাবিত হয়?
Created: 1 day ago
A
Gl Protein
B
Gq Protein
C
Gs protein
D
G12/13 Protein
Cholera toxin হলো Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা উৎপন্ন এক ধরনের প্রোটিন টক্সিন, যা কোষের সংকেত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে তীব্র ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। এটি মূলত Gs প্রোটিন (Stimulatory G protein)-এর কার্যক্রম পরিবর্তনের মাধ্যমে কোষের ভেতরে অতিরিক্ত cAMP (Cyclic AMP) উৎপন্ন করে।
-
ক্রিয়ার প্রক্রিয়া: Cholera toxin ADP-ribosylation প্রক্রিয়ার মাধ্যমে Gsα (alpha subunit)-এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
ফলাফল: এই পরিবর্তনের কারণে Gs প্রোটিন ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় (Constitutively Active) অবস্থায় থাকে এবং adenylate cyclase এনজাইমকে অবিরামভাবে উদ্দীপিত করে।
-
cAMP বৃদ্ধি: অতিরিক্ত adenylate cyclase কার্যকলাপ কোষে cAMP-এর মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা CFTR chloride channel খুলে দেয়।
-
শারীরবৃত্তীয় প্রভাব: এর ফলে Cl⁻, Na⁺ ও পানি অন্ত্রে ব্যাপকভাবে নিঃসৃত হয়, যা অতিরিক্ত তরল ক্ষতি ও তীব্র ডায়রিয়া সৃষ্টি করে।
-
ক্লিনিক্যাল ফলাফল: এভাবে রোগী দ্রুত ডিহাইড্রেশন, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং শক-এ আক্রান্ত হতে পারে, যা চিকিৎসা না করলে জীবনঘাতী হতে পারে।
সারসংক্ষেপ: Cholera toxin Gs প্রোটিনের α-সাবইউনিটে ADP-ribosylation ঘটিয়ে adenylate cyclase কে স্থায়ীভাবে সক্রিয় রাখে, ফলে cAMP অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয় এবং এর ফলেই cholera-এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পানিস্বল্পতা জনিত ডায়রিয়া দেখা দেয়।

0
Updated: 1 day ago
আয়োডিন ঘাটতি রোগ বর্তমানে কোন্ অঞ্চলে বেশী দেখা যায়?
Created: 1 day ago
A
সাব-সাহারান আফ্রিকা
B
দক্ষিণপূর্ব এশিয়া
C
লাটিন আমেরিকা
D
ইউরোপ
আয়োডিন ঘাটতি (Iodine Deficiency) একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা, যা বিশেষ করে প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় দেখা যায়। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে এ সমস্যার তীব্রতার পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।
-
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত অঞ্চল:
Central Sub-Saharan Africa অঞ্চলে আয়োডিন ঘাটতির Age-Standardized Incidence (ASI) rate ছিল সর্বোচ্চ — প্রতি ১,০০,০০০ জনসংখ্যায় ৪৫৮.৯৫ (৯৫% UI: ৩৭১.৫৫–৫৫৫.৭৫)। এই উচ্চ হার ইঙ্গিত দেয় যে অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাসে আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবারের অভাব এবং জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের সীমাবদ্ধতা এখনো প্রকট। -
South Asia:
এখানে ASI rate ছিল তুলনামূলকভাবে মাঝারি — ২১১.৪৭ (৯৫% UI: ১৬৪.৬৯–২৬৬.২০)। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও, গ্রামীণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঘাটতি এখনো বিদ্যমান। -
সবচেয়ে কম আক্রান্ত অঞ্চল:
Oceania-তে ASI rate ছিল সর্বনিম্ন — প্রতি ১,০০,০০০ জনসংখ্যায় ৪.৩১ (৯৫% UI: ৩.২৮–৫.৬২)। এটি নির্দেশ করে যে এই অঞ্চলে আয়োডিন সম্পূরক নীতি ও খাদ্যব্যবস্থার কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে উন্নত।
এই তথ্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, আয়োডিন ঘাটতি এখনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যচ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে, বিশেষত আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার, খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং পুষ্টি কর্মসূচির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
মানুষের চোখে "Bitot's Spots" হয় কোন্ ভিটামিনের অভাবে?
Created: 1 day ago
A
ভিটামিন 'এ'
B
ভিটামিন'কে'
C
ভিটামিন 'ডি'
D
ভিটামিন 'সি'
Bitot’s spots হলো চোখের conjunctiva বা সাদা পর্দায় দেখা যাওয়া সাদা, ফেনাযুক্ত (foamy) বা কুঁচকানো দাগ, যা সাধারণত ভিটামিন A-এর ঘাটতির ফলে সৃষ্টি হয়। এটি চোখের স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক সংকেত এবং প্রাথমিক পর্যায়ে জেরোফথালমিয়া (Xerophthalmia)-এর লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়।
-
কারণ: মূলত ভিটামিন A-এর অভাব চোখের শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে শুকিয়ে ফেলে, যার ফলে conjunctiva-তে এই সাদা দাগ তৈরি হয়।
-
অবস্থান: সাধারণত চোখের nasal বা temporal conjunctiva অংশে দেখা যায়।
-
লক্ষণ: চোখ শুষ্ক, জ্বালাপোড়া ও দৃষ্টিক্ষীণতা দেখা দিতে পারে, যা রাতকানা (Night Blindness)-এর সঙ্গেও সম্পর্কিত।
-
প্রতিরোধ: পর্যাপ্ত ভিটামিন A সমৃদ্ধ খাবার—যেমন গাজর, কুমড়া, পালং শাক, দুধ, ডিম ও মাছের তেল—গ্রহণ করলে এ সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
-
চিকিৎসা: প্রাথমিক অবস্থায় ভিটামিন A সাপ্লিমেন্টেশন এবং চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখা রোগ নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago