বয়সজনিত সারকোপেনিয়ার সাথে কোন্ পুষ্টি উপাদান সরাসরি জড়িত?
A
শর্করা
B
আমিষ ও ভিটামিন ডি
C
আয়রণ
D
ভিটামিন-সি
উত্তরের বিবরণ
বয়সজনিত সারকোপেনিয়া (Sarcopenia) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পেশীর ভর ও শক্তি কমে যায়। এই প্রক্রিয়ায় আমিষ (Protein) ও ভিটামিন ডি (Vitamin D)-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এরা পেশী টিস্যুর গঠন, রক্ষণাবেক্ষণ ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে সরাসরি সহায়তা করে।
-
আমিষ (Protein): এটি পেশী টিস্যু গঠন ও মেরামতের জন্য অপরিহার্য। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে প্রোটিন সংশ্লেষণ কমে যায়, ফলে পেশী ক্ষয় শুরু হয়। পর্যাপ্ত আমিষ গ্রহণ নতুন পেশী টিস্যু তৈরি ও ক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
-
ভিটামিন ডি (Vitamin D): এটি পেশীর কার্যকারিতা ও শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়, যা পেশী সংকোচন ও হাড়ের দৃঢ়তার জন্য অপরিহার্য।
-
সমন্বিত ভূমিকা: আমিষ ও ভিটামিন ডি একসঙ্গে কাজ করে পেশী ভর সংরক্ষণ, দুর্বলতা প্রতিরোধ এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
-
অতিরিক্ত উপকারিতা: পর্যাপ্ত আমিষ ও ভিটামিন ডি গ্রহণ হাড়ের ক্ষয় রোধ, ভারসাম্য বজায় রাখা এবং পতনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, যা বয়স্কদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
Nutritional Assessment এ ABCDE approach-এ 'C' দ্বারা কী বুঝায়?
Created: 1 day ago
A
Clinical Assessment
B
Community Assessment
C
Chemical Analysis
D
Caloric Assessment
Nutritional Assessment বা পুষ্টি অবস্থার মূল্যায়ন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পুষ্টিগত অবস্থা নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ABCDE Approach একটি কার্যকর ও গঠনমূলক পদ্ধতি, যা পাঁচটি প্রধান উপাদানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রতিটি ধাপ শরীরের পুষ্টিগত ভারসাম্য, ঘাটতি বা অতিরিক্ততা চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
-
A → Anthropometric Assessment: এতে দেহের ওজন, উচ্চতা, শরীরের ভরসূচক (BMI), বাহু বা কোমরের পরিধি, চামড়ার নিচের চর্বির পুরুত্ব (Skinfold Thickness) ইত্যাদি মাপা হয়। এটি দেহের বৃদ্ধি, স্থূলতা বা অপুষ্টির মাত্রা নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
B → Biochemical/Chemical Assessment: রক্ত, মূত্র বা অন্যান্য জৈব তরল পরীক্ষার মাধ্যমে পুষ্টির রাসায়নিক সূচক মূল্যায়ন করা হয়। যেমন—রক্তে হিমোগ্লোবিন, গ্লুকোজ, কোলেস্টেরল, ভিটামিন ও খনিজের মাত্রা নির্ধারণ।
-
C → Clinical Assessment: শরীরের দৃশ্যমান লক্ষণ ও উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করা হয়। যেমন—চামড়া, চোখ, চুল, নখ, জিহ্বা ও মাড়ির অবস্থা দেখে পুষ্টির ঘাটতি বা রোগের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।
-
D → Dietary Assessment: ব্যক্তির খাদ্য গ্রহণের ইতিহাস, খাদ্যাভ্যাস ও দৈনন্দিন খাদ্য প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করা হয়। ২৪ ঘণ্টার খাদ্য তালিকা বা খাদ্য ফ্রিকোয়েন্সি প্রশ্নপত্র ব্যবহার করে গ্রহণকৃত পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
-
E → Environmental Assessment: পুষ্টির ওপর প্রভাব ফেলা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উপাদান বিশ্লেষণ করা হয়—যেমন আয়, শিক্ষার স্তর, খাদ্যপ্রাপ্তি, স্বাস্থ্যবিধি, পানির মান ও বাসস্থান পরিবেশ।
সারসংক্ষেপে: ABCDE পদ্ধতি একজন ব্যক্তির পুষ্টি অবস্থাকে সামগ্রিকভাবে মূল্যায়নের জন্য একটি বৈজ্ঞানিক, সংগঠিত ও নির্ভরযোগ্য কাঠামো, যা চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিদ্যায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 day ago
ফলের গায়ে কালচে বা সবুজ দাগ পড়ার কারন কী?
Created: 1 day ago
A
ব্যাকটেরিয়া
B
ভাইরাস
C
ছত্রাক
D
খনিজের ঘাটতি
ফলের গায়ে কালচে বা সবুজ দাগ সাধারণত ছত্রাক (Fungus) বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এটি ফলের পচন ও গুণমান নষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ এবং সংরক্ষণ বা পরিবহনের সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
-
কারণ: বাতাসে থাকা ফাঙ্গাল স্পোর ফলের আর্দ্র পৃষ্ঠে বসে বৃদ্ধি পায়, বিশেষত যদি ফলের খোসায় কোনো ক্ষত বা ফাটল থাকে।
-
সাধারণ ফাঙ্গাস: Aspergillus, Penicillium, Alternaria ইত্যাদি ছত্রাক প্রজাতি এসব দাগ সৃষ্টি করে।
-
পরিবেশগত প্রভাব: অতিরিক্ত আর্দ্রতা, তাপমাত্রার অস্থিরতা এবং অনুপযুক্ত সংরক্ষণ ফাঙ্গাস বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
-
ক্ষতি: ফলের স্বাদ, রং ও পুষ্টিমান নষ্ট হয়, কখনও কখনও মাইকোটক্সিন (Mycotoxin) নামক ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থও তৈরি হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
-
প্রতিরোধ: পরিষ্কার ও শুকনো স্থানে ফল সংরক্ষণ, সঠিক বায়ুচলাচল ব্যবস্থা বজায় রাখা, এবং সংক্রমিত ফল আলাদা করে ফেলা ফলের গুণমান রক্ষায় সহায়ক।

0
Updated: 1 day ago
Type-2 Diabetes-এর প্রাথমিক Pathophysiology কোনটী?
Created: 1 day ago
A
ইনসুলিনের সম্পূর্ণ অভাব
B
গ্লুকাগন-এর আধিক্য
C
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও আংশিক ইনসুলিন হ্রাস
D
আলফা কোষ ধ্বংস
Type-2 Diabetes Mellitus (T2DM) একটি মেটাবলিক ডিজঅর্ডার, যেখানে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দীর্ঘসময় ধরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এর মূল সমস্যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা ও উৎপাদনের ঘাটতির সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
Insulin resistance: শরীরের টার্গেট টিস্যু যেমন লিভার, মাংসপেশি ও অ্যাডিপোজ টিস্যু ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারায়, ফলে ইনসুলিন থাকা সত্ত্বেও গ্লুকোজ সঠিকভাবে কোষে প্রবেশ করতে পারে না।
-
Partial insulin deficiency: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্যানক্রিয়াসের β-cells ইনসুলিন উৎপাদন ক্ষমতা হারায় বা কমিয়ে ফেলে, যার ফলে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
-
এই দুইটি কারণ একত্রে হাইপারগ্লাইসেমিয়া (উচ্চ রক্তে গ্লুকোজ) সৃষ্টি করে।
-
সাধারণত অতিরিক্ত ওজন, স্থূলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপন এবং জেনেটিক কারণ T2DM বিকাশে ভূমিকা রাখে।
-
রোগটি সাধারণত ধীরে ধীরে বিকশিত হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, কিডনি ফেইলিউর, রেটিনোপ্যাথি ও নার্ভ ড্যামেজ সৃষ্টি করতে পারে।

0
Updated: 1 day ago