আয়োডিন ঘাটতি রোগ বর্তমানে কোন্ অঞ্চলে বেশী দেখা যায়?
A
সাব-সাহারান আফ্রিকা
B
দক্ষিণপূর্ব এশিয়া
C
লাটিন আমেরিকা
D
ইউরোপ
উত্তরের বিবরণ
আয়োডিন ঘাটতি (Iodine Deficiency) একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা, যা বিশেষ করে প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় দেখা যায়। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে এ সমস্যার তীব্রতার পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।
-
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত অঞ্চল:
Central Sub-Saharan Africa অঞ্চলে আয়োডিন ঘাটতির Age-Standardized Incidence (ASI) rate ছিল সর্বোচ্চ — প্রতি ১,০০,০০০ জনসংখ্যায় ৪৫৮.৯৫ (৯৫% UI: ৩৭১.৫৫–৫৫৫.৭৫)। এই উচ্চ হার ইঙ্গিত দেয় যে অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাসে আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবারের অভাব এবং জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের সীমাবদ্ধতা এখনো প্রকট। -
South Asia:
এখানে ASI rate ছিল তুলনামূলকভাবে মাঝারি — ২১১.৪৭ (৯৫% UI: ১৬৪.৬৯–২৬৬.২০)। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও, গ্রামীণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঘাটতি এখনো বিদ্যমান। -
সবচেয়ে কম আক্রান্ত অঞ্চল:
Oceania-তে ASI rate ছিল সর্বনিম্ন — প্রতি ১,০০,০০০ জনসংখ্যায় ৪.৩১ (৯৫% UI: ৩.২৮–৫.৬২)। এটি নির্দেশ করে যে এই অঞ্চলে আয়োডিন সম্পূরক নীতি ও খাদ্যব্যবস্থার কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে উন্নত।
এই তথ্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, আয়োডিন ঘাটতি এখনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যচ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে, বিশেষত আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার, খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং পুষ্টি কর্মসূচির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
Maple Syrup Urine Disease কি ধরণের রোগ?
Created: 1 day ago
A
Protein Metabolism এর সমস্যা
B
Fato metabolism এর সমস্যা
C
Carbohydrate Metabolism এর সমস্যা
D
Nucleic Acid Metabolism এর সমস্যা
Maple Syrup Urine Disease (MSUD) একটি বংশগত বিপাকজনিত রোগ (Genetic Metabolic Disorder), যা শরীরে নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড ভাঙার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ঘটার ফলে সৃষ্টি হয়। এ রোগের নামকরণ করা হয়েছে প্রস্রাবের বিশেষ ম্যাপল সিরাপের মতো মিষ্টি গন্ধ থেকে, যা এর প্রধান লক্ষণগুলোর একটি।
-
কারণ: MSUD ঘটে Branched-Chain Amino Acids (BCAAs) — লিউসিন (Leucine), আইসোলিউসিন (Isoleucine) ও ভ্যালিন (Valine) — এর বিপাক নিয়ন্ত্রণকারী Branched-Chain α-Keto Acid Dehydrogenase (BCKD) এনজাইমের অভাবে।
-
জেনেটিক ভিত্তি: এটি একটি Autosomal Recessive Disorder, অর্থাৎ শিশুটি তখনই আক্রান্ত হয় যখন উভয় অভিভাবকই ত্রুটিপূর্ণ জিন বহন করে।
-
শারীরবৃত্তীয় প্রভাব: এনজাইমের অভাবে BCAAs ও তাদের toxic by-products (α-keto acids) শরীরে জমা হয়, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
লক্ষণ:
-
প্রস্রাব ও ঘামে ম্যাপল সিরাপ বা পোড়া চিনির মতো গন্ধ।
-
খাবার গ্রহণে অনীহা, বমি, দুর্বলতা ও স্নায়বিক সমস্যা।
-
চিকিৎসা না করলে খিঁচুনি, কোমা ও মৃত্যু ঘটতে পারে।
-
-
নির্ণয়: রক্ত ও প্রস্রাবে BCAAs-এর উচ্চমাত্রা এবং BCKD এনজাইমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়।
-
চিকিৎসা:
-
খাদ্য থেকে লিউসিন, আইসোলিউসিন ও ভ্যালিন কমানো।
-
বিশেষ অ্যামিনো অ্যাসিড-নিয়ন্ত্রিত ডায়েট ও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ।
-
গুরুতর ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে।
-
সারসংক্ষেপে: MSUD হলো একটি বিরল কিন্তু গুরুতর জন্মগত বিপাকজনিত ত্রুটি, যা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রিকেটস্ রোগ হয়?
Created: 1 day ago
A
ভিটামিন-এ
B
ভিটামিন-সি
C
ভিটামিন-ডি
D
ভিটামিন-ই
Rickets হলো এমন একটি হাড়ের রোগ যা প্রধানত Vitamin D-এর অভাবে ঘটে। এই ভিটামিনের ঘাটতির ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের সঠিক শোষণ ব্যাহত হয়, যার কারণে হাড়ে খনিজ জমা বা মিনারেলাইজেশন (mineralization) প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থাকে। ফলে শিশুদের হাড় নরম হয়ে বিকৃত আকার ধারণ করে।
-
প্রধান কারণ: Vitamin D-এর অভাবের ফলে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা কমে যায়, যা হাড়ের বৃদ্ধি ও শক্ততা নষ্ট করে।
-
লক্ষণ: শিশুদের হাড় নরম হয়ে যায়, হাঁটতে অসুবিধা হয়, পা বাঁকা হয় এবং বুকে ও কব্জিতে হাড়ের ফোলা দেখা দেয়।
-
ক্ষতিগ্রস্ত বয়স: এটি সাধারণত শিশু ও কিশোরদের মধ্যে দেখা যায়, কারণ তাদের হাড় বৃদ্ধির প্রক্রিয়া তখনও সম্পূর্ণ হয় না।
-
রোধের উপায়: পর্যাপ্ত সূর্যালোক গ্রহণ, Vitamin D সমৃদ্ধ খাদ্য (যেমন মাছের তেল, ডিমের কুসুম, দুধ) গ্রহণ এবং প্রয়োজন হলে সাপ্লিমেন্ট নেওয়া।
-
অন্যান্য ভিটামিনের সাথে পার্থক্য:
-
Vitamin A-এর অভাব: দৃষ্টিশক্তির সমস্যা বা নাইট ব্লাইন্ডনেস সৃষ্টি করে।
-
Vitamin C-এর অভাব: স্কার্ভি (Scurvy) রোগ সৃষ্টি করে, যেখানে মাড়ি রক্তপাত ও ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব হয়।
-
Vitamin E-এর অভাব: অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ঘাটতির কারণে কোষের ক্ষতি ও স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়।
-

0
Updated: 1 day ago
কোনটি অ-সংক্রামক রোগ নয় (NCD)?
Created: 1 day ago
A
ডায়াবেটিক মেলিটাজ
B
হাইপারটেনশন
C
স্কার্ভি
D
গাউট (Gout)
“অ-সংক্রামক নয়” বলতে বোঝায় যে রোগটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে, অর্থাৎ একজন ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে ছড়াতে সক্ষম। প্রদত্ত রোগগুলোর মধ্যে কোনোটিই সংক্রামক নয়, কারণ এগুলো সবই অ-সংক্রামক (Non-communicable diseases)।
-
ডায়াবেটিস (Diabetes): এটি এক ধরনের বিপাকজনিত (Metabolic) রোগ, যা ইনসুলিনের ঘাটতি বা কার্যকারিতার সমস্যার কারণে ঘটে; এটি ছোঁয়াচে নয়।
-
গাউট (Gout): এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ত সঞ্চয়ের ফলে গাঁটে প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ; সংক্রমণজনিত নয়।
-
হাইপারটেনশন (Hypertension): এটি উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, যা জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস ও বংশগত কারণে হয়, সংক্রামক নয়।
-
স্কার্ভি (Scurvy): এটি ভিটামিন সি-এর ঘাটতির কারণে সৃষ্ট রোগ, যার সঙ্গে সংক্রমণের কোনো সম্পর্ক নেই।
অতএব, তালিকাভুক্ত কোনো রোগই সংক্রামক নয়, অর্থাৎ “অ-সংক্রামক নয়” এমন রোগ এখানে নেই।

0
Updated: 1 day ago