মানবদেহের Enzyme-গুলি কত তাপমাত্রায় সর্বাধিক কার্যকর থাকে?
A
৩৫-৪০° সেঃ
B
২৫-৩০° সেঃ
C
৪০-৪২° সেঃ
D
২৮-৩২° সেঃ
উত্তরের বিবরণ
মানবদেহের এনজাইমগুলো একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সবচেয়ে কার্যকরভাবে কাজ করে, যা সাধারণত ৩৭° সেলসিয়াস, অর্থাৎ স্বাভাবিক দেহের তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রায় দেহের সব ধরনের বিপাকীয় প্রক্রিয়া (metabolic processes) দ্রুত ও কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়।
১. সর্বোত্তম তাপমাত্রা: প্রায় ৩৫°–৪০°C তাপমাত্রার মধ্যে এনজাইম সবচেয়ে সক্রিয় থাকে, এবং এই সময়ে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়াগুলো সর্বাধিক গতিতে ঘটে।
২. তাপমাত্রা কমে গেলে: নিম্ন তাপমাত্রায় এনজাইমের গতি কমে যায়, ফলে বিপাকীয় ক্রিয়াগুলো ধীরগতিতে সম্পন্ন হয়।
৩. তাপমাত্রা বেড়ে গেলে: অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এনজাইমের গঠন নষ্ট হয়ে যায়, একে বলে ডিন্যাচারেশন (Denaturation)। এতে এনজাইম তার কার্যক্ষমতা হারায় এবং রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না।
৪. জীববিজ্ঞানের গুরুত্ব: এনজাইমের কার্যকারিতা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, তাই শরীরের স্থিতিশীল তাপমাত্রা রক্ষা করা জীবনের জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
লিভার (যকৃত) নিজের ওজনের তুলনায় সর্বোচ্চ কত শতাংশ গ্লাইকোজেন জমা রাখতে পারে?
Created: 1 day ago
A
১-২%
B
৪-৫%
C
৮-১০%
D
১৫-২০%
লিভার (যকৃত) শরীরের প্রধান গ্লাইকোজেন সংরক্ষণাগার (Glycogen storehouse) হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষত উপবাস বা খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
-
সংরক্ষণ ক্ষমতা: লিভার তার মোট ওজনের প্রায় ৪–৫% পর্যন্ত গ্লাইকোজেন জমা রাখতে পারে, যা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রায় ৭৫–১০০ গ্রাম গ্লাইকোজেনের সমান।
-
গ্লাইকোজেনের ভূমিকা: এই গ্লাইকোজেন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস পেলে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে রক্তপ্রবাহে ছেড়ে দেয়, যাতে শরীরের কোষ শক্তি পায়।
-
তুলনামূলক তথ্য: পেশীতেও কিছু পরিমাণ গ্লাইকোজেন থাকে, তবে তা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত, রক্তে গ্লুকোজ সরবরাহের জন্য নয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: লিভারের গ্লাইকোজেন সঞ্চয় ইনসুলিন ও গ্লুকাগন হরমোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। ইনসুলিন গ্লাইকোজেন গঠন (Glycogenesis)促 করে, আর গ্লুকাগন গ্লাইকোজেন ভাঙন (Glycogenolysis) বৃদ্ধি করে, ফলে রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় থাকে।

0
Updated: 1 day ago
একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দেহে Iron- এর পরিমাণ-
Created: 1 day ago
A
৫০ মিঃগ্রাম
B
১০০ মিঃগ্রাম
C
১০ মিঃগ্রাম
D
২০ মিঃগ্রাম
একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দেহে প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রায় ১০ মিলিগ্রাম (mg) আয়রন থাকে। অর্থাৎ, ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির দেহে মোট প্রায় ৭০০ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। এই আয়রনের বেশিরভাগ অংশ হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) আকারে রক্তে বিদ্যমান, যা অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে।
১. বণ্টন:
-
প্রায় ৬০–৭০% আয়রন হিমোগ্লোবিনে থাকে।
-
২৫–৩০% লিভার, প্লীহা ও অস্থিমজ্জায় Ferritin বা Hemosiderin আকারে সঞ্চিত থাকে।
-
অল্প পরিমাণ Myoglobin ও বিভিন্ন এনজাইমে বিদ্যমান।
২. জৈবিক ভূমিকা: আয়রন দেহে অক্সিজেন পরিবহন, কোষে শক্তি উৎপাদন এবং এনজাইমের কার্যক্রম বজায় রাখতে অপরিহার্য।
৩. ঘাটতির প্রভাব: আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া (Anemia) দেখা দিতে পারে, যা ক্লান্তি, দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস ঘটায়।
৪. খাদ্য উৎস: লাল মাংস, যকৃত, ডিমের কুসুম, ডাল, পালং শাক এবং গুড় আয়রনের ভালো উৎস।

0
Updated: 1 day ago
Antioxidant শরীরে কি কাজ করে?
Created: 1 day ago
A
কোষের DNA এবং Cell membrane-কে সুরক্ষা দেয়
B
কোষে Microbes বৃদ্ধি করে
C
শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়
D
দেহে পুষ্টি শোষণ কমায়
Antioxidants হলো এমন যৌগ যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল (Free Radicals) বা Reactive Oxygen Species (ROS)-কে নিরপেক্ষ (Neutralize) করে কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল হলো অনিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রনযুক্ত অণু, যা কোষের DNA, প্রোটিন এবং কোষঝিল্লি (Cell Membrane)-এর ক্ষতি সাধন করতে পারে।
-
ক্ষতির প্রক্রিয়া: অতিরিক্ত ROS কোষে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস (Oxidative Stress) সৃষ্টি করে, যা কোষের বার্ধক্য, প্রদাহ, ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
-
Antioxidants-এর কাজ: এরা ফ্রি র্যাডিক্যালকে ইলেকট্রন দিয়ে স্থিতিশীল করে, ফলে কোষের গঠন ও কার্যক্রম রক্ষা পায়।
-
প্রধান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান:
-
ভিটামিন C (Ascorbic Acid): জলীয় দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের তরল অংশে কাজ করে।
-
ভিটামিন E (Tocopherol): স্নেহ দ্রবণীয়, যা কোষঝিল্লিকে সুরক্ষা দেয়।
-
বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন A: দৃষ্টিশক্তি ও ইমিউন ফাংশনে সাহায্য করে।
-
সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক: এনজাইমেটিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
-
গ্লুটাথায়োন ও সুপারঅক্সাইড ডিসমিউটেজ (SOD): শরীরের ভেতর প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন এনজাইমেটিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
-
-
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
-
কোষের বার্ধক্য ধীর করে।
-
ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্নায়ুবিক রোগের ঝুঁকি কমায়।
-
ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
-
সারসংক্ষেপ: Antioxidants শরীরের অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধ করে কোষের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু বজায় রাখে এবং বয়সজনিত ও ক্রনিক রোগের ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 1 day ago