শরীরে থাকা মোট ক্যালসিয়ামের কত শতাংশ হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে?
A
৯৯ শতাংশ
B
৫০ শতাংশ
C
৭০ শতাংশ
D
১০০ শতাংশ
উত্তরের বিবরণ
ক্যালসিয়াম (Calcium) মানবদেহের একটি অত্যাবশ্যক খনিজ উপাদান, যা দেহের কাঠামোগত ও শারীরবৃত্তীয় উভয় কাজেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেহে মোট ক্যালসিয়ামের প্রায় ৯৯% দাঁত ও হাড়ের গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়, আর অবশিষ্ট ১% দেহের বিভিন্ন প্রাণ-রাসায়নিক (Biochemical) প্রক্রিয়ায় সক্রিয় থাকে।
-
হাড় ও দাঁতের ভূমিকা: ক্যালসিয়াম হাড়ের শক্তি, ঘনত্ব এবং দাঁতের দৃঢ়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি অস্টিওব্লাস্ট ও অস্টিওক্লাস্ট কোষের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে হাড়ের গঠন ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
-
জৈব রাসায়নিক ভূমিকা: দেহে অবশিষ্ট ১% ক্যালসিয়াম রক্ত, কোষ ও টিস্যুতে থাকে এবং নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় কাজ করে।
-
রক্ত জমাট বাঁধা (Blood Clotting): ক্যালসিয়াম রক্তের জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে।
-
স্নায়ু সংবেদন প্রেরণ (Nerve Transmission): এটি স্নায়ুতন্ত্রে সংকেত প্রেরণ ও প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
-
পেশি সংকোচন (Muscle Contraction): পেশি কোষে ক্যালসিয়াম আয়ন প্রবেশ করলে সংকোচন ঘটে এবং বেরিয়ে গেলে প্রসারণ ঘটে।
-
হরমোন নিঃসরণ: ক্যালসিয়াম কোষ থেকে হরমোন ও এনজাইম নিঃসরণে ভূমিকা রাখে, যা দেহের বিপাক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্রম: হৃদ্পেশির সঠিক ছন্দ ও সংকোচন বজায় রাখতে ক্যালসিয়াম অপরিহার্য।
-
সারমর্ম: দেহে ক্যালসিয়াম শুধু হাড় ও দাঁতের কাঠামো গঠনে নয়, বরং রক্ত, স্নায়ু, পেশি ও হরমোনের সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখতে অপরিহার্য একটি উপাদান।

0
Updated: 1 day ago
মানবদেহের প্রয়োজনীয় ক্যালরীর শতকরা কত অংশ শর্করা (Carbohydrate) অংশ থেকে আসা উচিৎ?
Created: 1 day ago
A
৫০-৬০ শতাংশ
B
৭০-৮০ শতাংশ
C
২৫-৩০ শতাংশ
D
৮০ শতাংশের বেশী
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ক্যালরির প্রধান উৎস তিনটি পুষ্টিগুণের ওপর নির্ভর করে—শর্করা, প্রোটিন ও চর্বি। সঠিক অনুপাতে এই উপাদানগুলো গ্রহণ করলে দেহে শক্তি উৎপাদন, কোষ গঠন ও বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
১. শর্করা (Carbohydrate): দৈনিক ক্যালরির প্রায় ৫০–৬০% শর্করা থেকে আসা উচিত। এটি দেহের প্রধান শক্তির উৎস এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম সচল রাখতে সাহায্য করে।
২. প্রোটিন (Protein): মোট ক্যালরির ১০–১৫% প্রোটিন থেকে পাওয়া উচিত। এটি দেহের কোষ গঠন, ক্ষত নিরাময় ও এনজাইম ও হরমোন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. চর্বি (Fat): দৈনিক ক্যালরির ২০–৩০% চর্বি থেকে আসা উচিত। এটি শক্তির সংরক্ষণ, ভিটামিন A, D, E, K শোষণে সহায়তা করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪. সার্বিকভাবে: এই ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যগ্রহণ দেহের শক্তি উৎপাদন, বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
একজন পূর্ণবয়স্ক ৭০ কেজি ওজনের মানবদেহে কি পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে?
Created: 1 day ago
A
১.২-১.৪ কেজি
B
১০০০-২০০০ মিঃ গ্রাম
C
৪০০-৫০০ গ্রাম
D
২-৪ কেজি
একজন প্রায় ৭০ কেজি ওজনের পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে মোট ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সাধারণত ১.২–১.৪ কেজি হয়ে থাকে। এই খনিজটি শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমে ভূমিকা রাখে।
-
মোট ক্যালসিয়ামের প্রায় ৯৯% থাকে হাড় ও দাঁতে, যা দেহের কাঠামোগত দৃঢ়তা ও মজবুততা বজায় রাখে।
-
বাকি ১% ক্যালসিয়াম রক্ত, পেশি ও নরম টিস্যুতে অবস্থান করে, যা শারীরিক প্রক্রিয়াগুলোর জন্য অপরিহার্য।
-
এই ক্ষুদ্র অংশের ক্যালসিয়াম রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু সঞ্চালন, পেশি সংকোচন ও হরমোন নিঃসরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
শরীরে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভিটামিন D, প্যারাথাইরয়েড হরমোন (PTH) ও ক্যালসিটোনিন একসঙ্গে কাজ করে।

0
Updated: 1 day ago
লিভার (যকৃত) নিজের ওজনের তুলনায় সর্বোচ্চ কত শতাংশ গ্লাইকোজেন জমা রাখতে পারে?
Created: 1 day ago
A
১-২%
B
৪-৫%
C
৮-১০%
D
১৫-২০%
লিভার (যকৃত) শরীরের প্রধান গ্লাইকোজেন সংরক্ষণাগার (Glycogen storehouse) হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষত উপবাস বা খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
-
সংরক্ষণ ক্ষমতা: লিভার তার মোট ওজনের প্রায় ৪–৫% পর্যন্ত গ্লাইকোজেন জমা রাখতে পারে, যা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রায় ৭৫–১০০ গ্রাম গ্লাইকোজেনের সমান।
-
গ্লাইকোজেনের ভূমিকা: এই গ্লাইকোজেন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস পেলে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে রক্তপ্রবাহে ছেড়ে দেয়, যাতে শরীরের কোষ শক্তি পায়।
-
তুলনামূলক তথ্য: পেশীতেও কিছু পরিমাণ গ্লাইকোজেন থাকে, তবে তা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত, রক্তে গ্লুকোজ সরবরাহের জন্য নয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: লিভারের গ্লাইকোজেন সঞ্চয় ইনসুলিন ও গ্লুকাগন হরমোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। ইনসুলিন গ্লাইকোজেন গঠন (Glycogenesis)促 করে, আর গ্লুকাগন গ্লাইকোজেন ভাঙন (Glycogenolysis) বৃদ্ধি করে, ফলে রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় থাকে।

0
Updated: 1 day ago