অটিজম আক্রান্ত শিশুটির ভাষা ও সামাজিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ কোন্ ধরনের অটিজমে আক্রান্ত?
A
ক্লাসিক্যাল
B
এসপারজার
C
রেট সিনড্রোম
D
সি ডি ভি
উত্তরের বিবরণ
অটিজম (Autism) হলো একটি স্নায়ুবিক ও বিকাশজনিত ব্যাধি, যা শিশুর সামাজিক যোগাযোগ, ভাষা ব্যবহার ও আচরণে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করে। এটি বিভিন্ন মাত্রা ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কয়েকটি ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়, যা শিশুর বিকাশ ও আচরণগত পার্থক্য বোঝার জন্য সহায়ক।
-
১. ক্লাসিক্যাল অটিজম (Classical Autism): এ ধরনের শিশুরা সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বস্তু বা শব্দে বিশেষ আগ্রহ প্রদর্শন করে। তারা অন্য শিশুদের মতো খেলাধুলা করে না এবং ভাষার বিকাশ অত্যন্ত সীমিত বা অনুপস্থিত থাকে। সামাজিক যোগাযোগ ও আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রেও তারা সমস্যায় ভোগে।
-
২. এসপারজার সিনড্রোম (Asperger’s Syndrome): এই অবস্থায় শিশুর ভাষার বিকাশ ঘটলেও কথার ভঙ্গি ও ব্যবহার অস্বাভাবিক হয়। শিশুকে প্রায়ই যান্ত্রিক ও আবেগহীন মনে হয়। ১৯৪৪ সালে হান্স এসপারজার (Hans Asperger) প্রথম এই ধরনের শিশুদের নিয়ে গবেষণা করেন। এদের সাধারণত বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক বা বেশি, কিন্তু সামাজিক মিথস্ক্রিয়া ও সহানুভূতি প্রকাশে দুর্বলতা দেখা যায়।
-
৩. পরিব্যাপক বিকাশমূলক সমস্যা (Pervasive Developmental Disorder Not Otherwise Specified – PDD-NOS): এটি এমন এক অবস্থা যেখানে শিশুর মধ্যে ক্লাসিক্যাল অটিজম ও এসপারজারের উভয় বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
-
ভাষা ব্যবহারে জড়তা বা অস্বাভাবিকতা থাকে।
-
খেলাধুলা ও সামাজিক আচরণে অপ্রাকৃত ধরণ লক্ষ্য করা যায়।
-
অঙ্গ সঞ্চালনে পুনরাবৃত্তি (Repetitive Movement) দেখা যায় এবং পরিচিত পরিবেশে সামান্য পরিবর্তন ঘটলে তীব্র প্রতিক্রিয়া করে।
-
-
৪. রেট সিনড্রোম (Rett Syndrome): এটি এক ধরনের স্নায়ুবিক বিকাশজনিত ব্যাধি, যেখানে শিশু প্রথমে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে কিন্তু কিছুদিন পর পেশি নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চালন ক্ষমতা হঠাৎ কমে যায়। এই অবস্থায় হাতের নড়াচড়া, ভারসাম্য ও শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হয়। এটি সাধারণত মেয়েশিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
-
৫. সিডিডি (Childhood Disintegration Disorder – CDD): এতে শিশুর ভাষা, মলমূত্র নিয়ন্ত্রণ, ও মোটর দক্ষতা (Motor Skills) হঠাৎ হারিয়ে যায়। আগে অর্জিত আত্মনিয়ন্ত্রণমূলক বা দৈনন্দিন জীবনযাপনের দক্ষতাগুলো ক্রমে লোপ পায় এবং শিশুটি সামাজিক ও মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
-
সারসংক্ষেপে: অটিজমের এই বিভিন্ন রূপগুলোর মধ্যে সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো সামাজিক যোগাযোগের সমস্যা, পুনরাবৃত্ত আচরণ, এবং পরিবেশগত পরিবর্তনে সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া; তবে লক্ষণ ও তীব্রতার ভিন্নতা অনুযায়ী প্রতিটি শ্রেণির বৈশিষ্ট্য আলাদা।

0
Updated: 1 day ago
শিশুর জন্য দুধ খাওয়া অত্যাবশ্যক কেন?
Created: 2 days ago
A
হাঁড় ও দাঁতের গঠনের জন্য
B
মেধাবিকাশের জন্য
C
রোগমুক্ত থাকার জন্য
D
সহজপাচ্য ও দ্রুত খাওয়া যায়
দুধ শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও হাড়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ এতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি উভয়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। এই দুই পুষ্টি উপাদান একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে তোলে।
-
ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠন, দৃঢ়তা ও সঠিক বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
-
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না পেলে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে অস্টিওপরোসিস (Osteoporosis) নামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
-
ভিটামিন ডি দেহে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, অর্থাৎ এটি ক্যালসিয়ামকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
-
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ক্যালসিয়াম যথাযথভাবে শোষিত হয় না, ফলে হাড় নরম বা দুর্বল হতে পারে, যা রিকেটস (Rickets) নামক রোগের কারণ হতে পারে।
-
দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি একত্রে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
-
এই কারণে দুধকে শিশু ও কিশোরদের জন্য সুষম খাদ্যের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি বর্ধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
Created: 2 days ago
A
শৈশবে এরগতি ধীর থাকে
B
বিশেষ পরিবেশ ও শিক্ষনের প্রয়োজন হয়
C
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সাধিত হয়
D
ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে
বর্ধন (Growth) বলতে দেহের আকার, উচ্চতা, ওজন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিমাণগত বৃদ্ধি বোঝায়, যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘটে। এটি মূলত শরীরের গঠনগত পরিবর্তনের সূচক, যেখানে কোষ সংখ্যা ও আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেহ বড় হতে থাকে।
-
বর্ধন হলো একটি পরিমাণগত (Quantitative) প্রক্রিয়া, অর্থাৎ এটি মাপা যায় — যেমন উচ্চতা, ওজন, দেহের দৈর্ঘ্য বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকার।
-
এটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, সাধারণত কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালের শেষে বর্ধন প্রক্রিয়া থেমে যায়।
-
বর্ধন শারীরিক দিক থেকে ঘটে, যেমন হাড়ের বৃদ্ধি, পেশির বিকাশ বা অঙ্গের সম্প্রসারণ।
-
বিকাশ (Development) হলো গুণগত (Qualitative) প্রক্রিয়া, যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
-
বিকাশে মানসিক, সামাজিক, আবেগীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা একজন ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করে।
-
সংক্ষেপে বলা যায়, বর্ধন দেহের আকার বাড়ায়, আর বিকাশ দেহ ও মনের সামগ্রিক পরিপক্বতা আনে।

0
Updated: 2 days ago
গৃহ সজ্জায় কিভাবে ছন্দ সৃষ্টি করা হয়?
Created: 1 day ago
A
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
B
রং এর পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
C
কক্ষে আলো-ছায়ার ব্যবহার
D
উপরের সবগুলিই সঠিক
ছন্দ গৃহসজ্জার এমন একটি নান্দনিক উপাদান, যা চোখকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। এটি পুরো নকশায় সুষম গতি, ধারাবাহিকতা ও দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।
-
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: নকশা বা আসবাবের রেখাগুলোকে বারবার ব্যবহার করলে একটি সুনির্দিষ্ট ছন্দ তৈরি হয়। যেমন—লম্বা টেবিলের পায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জানালার খড়খড়ি বা দেওয়ালের উল্লম্ব স্ট্রাইপ ব্যবহার করা হলে তা নকশায় ভারসাম্য ও ছন্দ এনে দেয়।
-
রঙের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: কোনো নির্দিষ্ট রঙ ঘরের বিভিন্ন উপকরণে যেমন পর্দা, কুশন, কার্পেট বা ফুলদানিতে পুনরায় ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ধারাবাহিক প্রবাহ তৈরি হয়।
-
আলো-ছায়ার ব্যবহারে: সঠিক আলো ও ছায়ার তারতম্য এবং বৈসাদৃশ্যের মাধ্যমে একটি স্বাভাবিক গতি ও গভীরতা সৃষ্টি হয়, যা কক্ষের নান্দনিকতায় ছন্দ যোগ করে।
-
আকার ও আকৃতির পুনরাবৃত্তি: একই ধরনের বস্তুর আকার, প্যাটার্ন বা বিন্যাস বারবার ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ছন্দ বজায় থাকে।
-
বিন্যাসের সামঞ্জস্যতা: আসবাব বা সজ্জার উপকরণ সমান দূরত্বে বা ছন্দময়ভাবে সাজালে পুরো স্থাপনায় ভারসাম্য ও সাদৃশ্য তৈরি হয়।

0
Updated: 1 day ago