গৃহ সম্পদের বৈশিষ্ট কোনটি?
A
সম্পদের আয়ত্বাধীনতা
B
পরস্পর নির্ভরশীলতা
C
ব্যবহারের অফুরন্ত সুযোগ
D
সম্পদের অসীমতা
উত্তরের বিবরণ
গৃহ সম্পদের বৈশিষ্ট্যগুলো এমন কিছু গুণ যা পরিবারকে তার চাহিদা পূরণ ও লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। প্রতিটি সম্পদের নির্দিষ্ট কার্যকারিতা, ব্যবহারযোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো সম্ভব।
-
উপযোগী (Utility): সম্পদের মূল গুণ হলো এটি মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানির উপযোগিতা বেশি, কারণ তখন তা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন পূরণ করে।
-
আয়ত্তাধীন (Accessibility): কোনো সম্পদ ব্যবহারের জন্য সেটি পরিবারের নিয়ন্ত্রণ বা মালিকানার আওতায় থাকা জরুরি। যেমন—নিজস্ব জমি, বাড়ি বা অর্থ কেবল তখনই কাজে লাগানো যায় যখন তা পরিবারের আওতায় থাকে।
-
সীমাবদ্ধতা (Limitation): সব সম্পদই পরিমাণ ও গুণগত দিক থেকে সীমিত। যেমন—সময়, শক্তি ও অর্থ সবসময় পর্যাপ্ত নয়, তাই এগুলোর সঠিক পরিকল্পনা ও বণ্টন প্রয়োজন।
-
পরস্পর পরিবর্তনশীল (Inter-changeability): সম্পদকে প্রয়োজনে বিকল্প কাজে ব্যবহার বা রূপান্তর করা যায়। যেমন—পুরনো জামা দিয়ে কাঁথা বা ব্যাগ তৈরি করা সম্পদের সৃজনশীল ব্যবহার নির্দেশ করে।
-
পরিচালনা যোগ্যতা (Manageability): সম্পদের পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা করলে পারিবারিক লক্ষ্য সহজে অর্জন করা যায়। কার্যকর ব্যবস্থাপনা পরিবারে অর্থনৈতিক স্থিতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
-
অতিরিক্ত তথ্য: গৃহ সম্পদের মধ্যে সময়, শ্রম, অর্থ, দক্ষতা ও সামগ্রী—সবই পরস্পর নির্ভরশীল। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এগুলো পরিবারের কল্যাণ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 1 day ago
কিভাবে প্রধান্য সৃষ্টি করা যায়?
Created: 1 day ago
A
শিল্প নীতির সঠিক প্রয়োগ
B
ব্যয় বহুল শো-পিস সাজিয়ে
C
অনুপাতের গ্রীক দেশীয় নীতি ব্যবহার করে
D
ইকেবানা পদ্ধতিতে ফুল সাজিয়ে
নকশা বা সাজসজ্জার ক্ষেত্রে প্রাধান্য (Emphasis) এমন একটি নকশা নীতি যা দর্শকের দৃষ্টি একটি নির্দিষ্ট অংশে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে। এটি মূলত শিল্পকলার বিভিন্ন নীতির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যাতে কোনো নির্দিষ্ট উপাদানকে কেন্দ্রবিন্দু বা ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে ফুটিয়ে তোলা যায়।
-
বৈসাদৃশ্য (Contrast): বড় ও উজ্জ্বল রঙের বস্তুর পাশে ছোট বা অনুজ্জ্বল বস্তু রাখলে দৃষ্টি স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল অংশে পড়ে।
-
আকার ও স্থান (Size and Space): অস্বাভাবিক বা বড় আকারের বস্তু ব্যবহার করলে তা দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্রবিন্দু তৈরি করে।
-
স্থানিক অবস্থান (Placement): কোনো বস্তুকে এমন স্থানে স্থাপন করা হয় যেখানে আলো, দৃষ্টি বা রেখার গতি এসে মিলিত হয়, ফলে সেটি চোখে পড়ে।
-
ছন্দ ও পুনরাবৃত্তি ভাঙা: নকশার চলমান ছন্দ হঠাৎ ভেঙে দিয়ে ভিন্ন কোনো উপাদান যুক্ত করলে তা তাৎক্ষণিকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করে।
-
রঙ ও টেক্সচার: গাঢ়, উজ্জ্বল বা বিপরীতধর্মী রঙ এবং ভিন্ন টেক্সচার ব্যবহার করলেও প্রাধান্য সহজে সৃষ্টি হয়।
-
সমন্বিত ভারসাম্য: প্রাধান্য যেন নকশার অন্য উপাদানগুলিকে ছাপিয়ে না যায়, বরং সামগ্রিক সৌন্দর্য বজায় রাখে—এ দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।

0
Updated: 1 day ago
পারিবারিক বন্ধন মজবুত হলে কোন বৈশিষ্ট্যটি লক্ষ্য করা যায়?
Created: 1 day ago
A
আত্মবিশ্বাসী ও সহসী
B
মেধাবী ও বুদ্ধিমান
C
আত্মবিশ্বাসী ও স্বার্থপর
D
সৃজনশীল মনোভাব ও ভীতু
যখন একটি পরিবারের বন্ধন দৃঢ় হয়, তখন শিশুরা নিরাপত্তা, ভালোবাসা ও মানসিক সমর্থন পায়, যা তাদের মানসিক বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলে। এই পরিবেশে শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও সাহসের মতো ইতিবাচক গুণাবলি গড়ে ওঠে।
-
আত্মবিশ্বাসী হওয়া: পরিবারের সমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতা শিশুদের মধ্যে নিজের মূল্যবোধ তৈরি করে এবং নতুন কিছু চেষ্টা করার সাহস ও আত্মবিশ্বাস জাগায়।
-
সাহসী হওয়া: তারা জানে, ব্যর্থ হলেও পরিবার পাশে থাকবে। এই মানসিক নিরাপত্তা ঝুঁকি নেওয়া ও সমস্যার মোকাবিলা করার সাহস বাড়ায়।
-
স্বার্থপরতা নয়: পারিবারিক বন্ধন শিশুদের সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও পরোপকারিতা শেখায়, তাই এটি স্বার্থপরতা জন্ম দেয় না।
-
মেধা ও সৃজনশীলতার প্রভাব: পরিবারিক বন্ধন পরোক্ষভাবে মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশে সহায়তা করতে পারে, তবে আত্মবিশ্বাস ও সাহস সরাসরি এই বন্ধনের ফল।
-
ভীতু নয়: একটি মজবুত পরিবার শিশুকে ভয় কাটিয়ে উঠতে ও মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে, ফলে তারা ভীতু না হয়ে আরও দৃঢ় ও স্থিতিশীল হয়।

0
Updated: 1 day ago
লাই পরীক্ষায় তন্তু দুটি সম্পূর্ণভাবে দ্রবীভূত হয়ে যাবে?
Created: 1 day ago
A
রেশম ও পশম
B
নাইলন ও রেশম
C
তুলা ও লিনেন
D
পশম ও ফ্ল্যাক্স
লাই পরীক্ষা হলো এমন একটি রাসায়নিক পরীক্ষা, যেখানে তন্তুগুলোকে শক্ত ক্ষার (strong alkali) দ্রবণে রেখে তাদের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মাধ্যমে তন্তুর প্রকারভেদ নির্ণয় করা যায়, কারণ বিভিন্ন তন্তু ক্ষারের সঙ্গে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে।
-
প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যেমন রেশম (Silk) ও পশম (Wool) ক্ষার দ্রবণে দ্রুত দ্রবীভূত হয়ে যায়, কারণ এদের গঠন প্রোটিনভিত্তিক এবং ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ভেঙে যায়।
-
নাইলন (Nylon) একটি সিনথেটিক পলিমার, যা ক্ষারের সঙ্গে খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া করে না, ফলে এটি সহজে দ্রবীভূত হয় না।
-
তুলা (Cotton) ও লিনেন (Linen) হলো সেলুলোজ তন্তু, যা ক্ষারে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয় না।
-
পশম ও ফ্ল্যাক্স (Flax) তুলনা করলে দেখা যায়, ফ্ল্যাক্স ধীরে ক্ষারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু এটি দ্রবীভূত হয় না, যেখানে পশম সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয়।
-
এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়, তন্তুর রাসায়নিক গঠনই ক্ষারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার ধরন নির্ধারণ করে, ফলে এটি বস্ত্র শিল্পে তন্তু শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago