সুতি কাপড়ের মান বাড়াতে কোন্ ফিনিশিং পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়?
A
ব্লিচিং
B
সিংজিং
C
ডিকেটিং
D
মারসেরাইজেশন
উত্তরের বিবরণ
মারসেরাইজেশন (Mercerization) হলো সুতির কাপড়ের মান, উজ্জ্বলতা ও টেকসইতা বৃদ্ধি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিনিশিং প্রক্রিয়া। এতে কাপড়ের তন্তুগুলোকে রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করে তাদের গঠন ও গুণগত মান উন্নত করা হয়।
-
উদ্দেশ্য: সুতির তন্তুকে উচ্চ ঘনত্বের কস্টিক সোডা (Sodium Hydroxide) দ্রবণে টেনে ধরে রাখা অবস্থায় ডুবিয়ে রাখা হয়, যাতে তন্তুর গঠনগত পরিবর্তন ঘটে এবং মান বৃদ্ধি পায়।
-
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি (Lustre): কস্টিক সোডার প্রভাবে তন্তুর কোষ প্রাচীর ফুলে ওঠে, এর প্রাকৃতিক পেঁচানো গঠন সোজা ও মসৃণ হয়ে যায়। ফলে আলোর প্রতিফলন বৃদ্ধি পায় এবং কাপড় রেশমের মতো উজ্জ্বল দেখায়।
-
শক্তি বৃদ্ধি (Increased Strength): প্রক্রিয়াটি তন্তুর গঠনকে আরও সুষম ও ঘন করে তোলে, ফলে এর শক্তি প্রায় ২০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
-
রং শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি (Improved Dye Affinity): মারসেরাইজড তন্তুতে রং সহজে প্রবেশ করে ও গাঢ়ভাবে আটকে থাকে, যার ফলে কাপড়ের রঙের গভীরতা ও স্থায়িত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।
-
অতিরিক্ত সুবিধা: এই প্রক্রিয়া কাপড়কে নরম, টানটান ও টেকসই করে, ফলে এর দৃষ্টিনন্দনতা ও ব্যবহারযোগ্যতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ বর্ণ আভ্যন্তরীন গৃহসহজ্জায় ঘরের আয়তন বৃদ্ধিতে কার্যকর?
Created: 1 day ago
A
উষ্ণ
B
একক
C
বিপরীত
D
দ্বি বিপরীত
ঘরের ভেতরে স্থানকে দৃশ্যত বৃহৎ ও প্রশস্ত দেখানোর জন্য একক বর্ণ স্কিম (Monochromatic Color Scheme) অত্যন্ত কার্যকর একটি নকশা কৌশল। এতে একই রঙের বিভিন্ন শেড, টোন ও টিন্ট ব্যবহার করে এমন একটি ভিজ্যুয়াল ঐক্য তৈরি হয় যা ঘরকে সীমাহীন ও বিস্তৃত মনে করায়।
-
একক রঙের ব্যবহার: দেয়াল, আসবাব ও সজ্জায় একই রঙের হালকা থেকে গাঢ় শেড ব্যবহারে রঙের কোনো স্পষ্ট বিভাজন থাকে না।
-
দৃষ্টির ধারাবাহিকতা: একই রঙের কারণে দৃষ্টিগত সীমানা মুছে যায়, ফলে চোখ একটানা পুরো ঘর জুড়ে ঘুরে বেড়াতে পারে, যা ঘরকে অবিচ্ছিন্ন (Seamless) দেখায়।
-
বৃহত্তরতার অনুভূতি: রঙের সামঞ্জস্য ঘরের মধ্যে গভীরতা ও প্রশস্ততার ভ্রম সৃষ্টি করে, ফলে ঘর বাস্তবের তুলনায় বড় মনে হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: সাধারণত হালকা টোন যেমন হালকা নীল, ধূসর বা ক্রিম ব্যবহার করলে আলো বেশি প্রতিফলিত হয় এবং স্থান আরও উজ্জ্বল ও প্রশস্ত দেখায়। একই রঙের পরিবারভুক্ত টেক্সচার বা ম্যাট ফিনিশ ব্যবহার করলেও এই প্রভাব আরও বাড়ে।

0
Updated: 1 day ago
অটিজম আক্রান্ত শিশুটির ভাষা ও সামাজিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ কোন্ ধরনের অটিজমে আক্রান্ত?
Created: 1 day ago
A
ক্লাসিক্যাল
B
এসপারজার
C
রেট সিনড্রোম
D
সি ডি ভি
অটিজম (Autism) হলো একটি স্নায়ুবিক ও বিকাশজনিত ব্যাধি, যা শিশুর সামাজিক যোগাযোগ, ভাষা ব্যবহার ও আচরণে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করে। এটি বিভিন্ন মাত্রা ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কয়েকটি ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়, যা শিশুর বিকাশ ও আচরণগত পার্থক্য বোঝার জন্য সহায়ক।
-
১. ক্লাসিক্যাল অটিজম (Classical Autism): এ ধরনের শিশুরা সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বস্তু বা শব্দে বিশেষ আগ্রহ প্রদর্শন করে। তারা অন্য শিশুদের মতো খেলাধুলা করে না এবং ভাষার বিকাশ অত্যন্ত সীমিত বা অনুপস্থিত থাকে। সামাজিক যোগাযোগ ও আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রেও তারা সমস্যায় ভোগে।
-
২. এসপারজার সিনড্রোম (Asperger’s Syndrome): এই অবস্থায় শিশুর ভাষার বিকাশ ঘটলেও কথার ভঙ্গি ও ব্যবহার অস্বাভাবিক হয়। শিশুকে প্রায়ই যান্ত্রিক ও আবেগহীন মনে হয়। ১৯৪৪ সালে হান্স এসপারজার (Hans Asperger) প্রথম এই ধরনের শিশুদের নিয়ে গবেষণা করেন। এদের সাধারণত বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক বা বেশি, কিন্তু সামাজিক মিথস্ক্রিয়া ও সহানুভূতি প্রকাশে দুর্বলতা দেখা যায়।
-
৩. পরিব্যাপক বিকাশমূলক সমস্যা (Pervasive Developmental Disorder Not Otherwise Specified – PDD-NOS): এটি এমন এক অবস্থা যেখানে শিশুর মধ্যে ক্লাসিক্যাল অটিজম ও এসপারজারের উভয় বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
-
ভাষা ব্যবহারে জড়তা বা অস্বাভাবিকতা থাকে।
-
খেলাধুলা ও সামাজিক আচরণে অপ্রাকৃত ধরণ লক্ষ্য করা যায়।
-
অঙ্গ সঞ্চালনে পুনরাবৃত্তি (Repetitive Movement) দেখা যায় এবং পরিচিত পরিবেশে সামান্য পরিবর্তন ঘটলে তীব্র প্রতিক্রিয়া করে।
-
-
৪. রেট সিনড্রোম (Rett Syndrome): এটি এক ধরনের স্নায়ুবিক বিকাশজনিত ব্যাধি, যেখানে শিশু প্রথমে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে কিন্তু কিছুদিন পর পেশি নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চালন ক্ষমতা হঠাৎ কমে যায়। এই অবস্থায় হাতের নড়াচড়া, ভারসাম্য ও শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হয়। এটি সাধারণত মেয়েশিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
-
৫. সিডিডি (Childhood Disintegration Disorder – CDD): এতে শিশুর ভাষা, মলমূত্র নিয়ন্ত্রণ, ও মোটর দক্ষতা (Motor Skills) হঠাৎ হারিয়ে যায়। আগে অর্জিত আত্মনিয়ন্ত্রণমূলক বা দৈনন্দিন জীবনযাপনের দক্ষতাগুলো ক্রমে লোপ পায় এবং শিশুটি সামাজিক ও মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
-
সারসংক্ষেপে: অটিজমের এই বিভিন্ন রূপগুলোর মধ্যে সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো সামাজিক যোগাযোগের সমস্যা, পুনরাবৃত্ত আচরণ, এবং পরিবেশগত পরিবর্তনে সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া; তবে লক্ষণ ও তীব্রতার ভিন্নতা অনুযায়ী প্রতিটি শ্রেণির বৈশিষ্ট্য আলাদা।

0
Updated: 1 day ago
মাতৃগর্ভে শিশুর কোন অঙ্গের বিকাশ সবচেয়ে বেশি হয়?
Created: 1 day ago
A
হৃদপিন্ড
B
মস্তিক
C
যকৃত
D
ফুসফুস
মাতৃগর্ভে মস্তিষ্কের বিকাশ মানব শরীরের সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলোর একটি। এটি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও জ্ঞানীয় বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে এবং জীবনের পরবর্তী সব আচরণ ও সক্ষমতার মূল নির্ধারক হিসেবে কাজ করে।
১. প্রারম্ভিক বিকাশ: নিষিক্তকরণের মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ শুরু হয়, যেখানে মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কাণ্ডের গঠন ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রূপ নিতে থাকে।
২. দ্রুত কোষ বিভাজন: গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মস্তিষ্ক কোষ বা নিউরন অবিশ্বাস্য গতিতে বিভাজিত হয়। প্রতি মিনিটে লক্ষ লক্ষ নতুন কোষ তৈরি হয়ে স্নায়ু সংযোগ স্থাপন করে।
৩. সংযোগ স্থাপন ও স্নায়ু নেটওয়ার্ক: এই সময়ে নিউরনগুলোর মধ্যে জটিল সংযোগ তৈরি হয়, যা শিশুর ভবিষ্যৎ শেখার ক্ষমতা, স্মৃতি ও সংবেদনশীলতার ভিত্তি স্থাপন করে।
৪. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে মস্তিষ্ক: মস্তিষ্ক দেহের সব অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে—হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তসঞ্চালন, হরমোন নিঃসরণ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশ তার নির্দেশে পরিচালিত হয়।
৫. গর্ভাবস্থার পুষ্টি ও যত্নের গুরুত্ব: মস্তিষ্কের এই দ্রুত বিকাশ পর্যায়ে মাতৃপুষ্টি, অক্সিজেন সরবরাহ এবং মানসিক প্রশান্তি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ এসব উপাদানই স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকর গঠন ও কার্যকারিতাকে নিশ্চিত করে।
৬. ভবিষ্যৎ বিকাশের ভিত্তি: গর্ভকালীন মস্তিষ্কের বিকাশ শিশুর জন্মোত্তর চিন্তা, আবেগ, শেখা ও আচরণের সক্ষমতা নির্ধারণ করে, যা সুস্থ জীবনযাপনের মূল চাবিকাঠি।

0
Updated: 1 day ago