আসবাব বিন্যাস কোন্ নিয়ম অনুসরণীয়?
A
কক্ষে আলো বাতাস প্রবেশ বাধা সৃষ্টি না করা
B
বড় আসবাবের সাথে ছোট আসবাব রাখা
C
প্রত্যেক ভারসাম্য নীতি রক্ষা করা
D
আকর্ষণীয় আসবাবটি মাঝে স্থাপন করে প্রধান্য সৃষ্টি করা
উত্তরের বিবরণ
আসবাব বিন্যাসে (Furniture Arrangement) কক্ষের আলো ও বাতাস প্রবেশের পথে বাধা না সৃষ্টি করা একটি মৌলিক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক নিয়ম। এটি গৃহসজ্জার কার্যকারিতা, আরাম এবং স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য।
-
কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য: গৃহসজ্জার মূল উদ্দেশ্য হলো ঘরকে এমনভাবে সাজানো যাতে তা ব্যবহার উপযোগী, আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর হয়।
-
আলো ও বাতাসের গুরুত্ব: প্রাকৃতিক আলো ও বায়ু ঘরের পরিবেশকে উজ্জ্বল, সতেজ এবং জীবাণুমুক্ত রাখে। আসবাবপত্র যদি জানালা, দরজা বা ভেন্টিলেটরের সামনে স্থাপন করা হয়, তবে আলো প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হয় এবং বায়ু চলাচল (Ventilation) ব্যাহত হয়।
-
ক্ষতিকর প্রভাব: ঘরে পর্যাপ্ত আলো না থাকলে অন্ধকার ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ তৈরি হয়, যা চোখের সমস্যা, অবসাদ এবং ছত্রাক বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। অপর্যাপ্ত বায়ু চলাচল শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ও অস্বস্তি বাড়ায়।
-
সঠিক বিন্যাসের দিকনির্দেশ: আসবাবপত্র এমনভাবে রাখতে হবে যাতে জানালা ও বায়ু চলাচলের পথ অবাধ থাকে, এবং আলো সরাসরি কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
-
অতিরিক্ত বিবেচনা: বড় আকারের আসবাব কক্ষের দেয়ালের পাশে, আর হালকা ও ছোট আসবাব কেন্দ্রীয় অংশে রাখলে কক্ষ প্রশস্ত দেখায় এবং বায়ু চলাচলও সহজ হয়।

0
Updated: 1 day ago
এডিমা হলে পথ্য পরিকল্পনায় কোন উপাদানটি নিয়ন্ত্রন করতে হবে?
Created: 1 day ago
A
সোডিয়াম
B
ক্যালসিয়াম
C
আয়রণ
D
আয়োডিন
এডিমা (Edema) এমন এক শারীরিক অবস্থা যেখানে শরীরের কোষের মধ্যবর্তী স্থান বা গহ্বরে অতিরিক্ত তরল জমা হয়ে ফোলাভাব সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত শরীরের জলের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফল, এবং এ অবস্থায় খাদ্যতালিকায় সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
জল ধারণ প্রক্রিয়া: সোডিয়াম শরীরের জল নিয়ন্ত্রণের মূল উপাদান, যা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে প্ররোচিত করে।
-
কিডনীর ভূমিকা: সুস্থ কিডনী সোডিয়াম ও জলের মাত্রা সঠিক রাখে, কিন্তু হার্ট ফেইলিউর বা কিডনী রোগের মতো অবস্থায় শরীর অতিরিক্ত সোডিয়াম ও জল বের করতে পারে না, ফলে ফোলাভাব বাড়ে।
-
সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণের প্রভাব: খাদ্যে সোডিয়াম বা লবণ কমালে শরীর অতিরিক্ত জল নির্গমন করতে সক্ষম হয়, এতে ফোলাভাব বা এডিমা কমে যায়।
-
খাদ্যাভ্যাস: এ অবস্থায় রোগীকে লো-সোডিয়াম ডায়েট অনুসরণে উৎসাহিত করা হয়; অর্থাৎ লবণ, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও সয়া সসের মতো সোডিয়ামসমৃদ্ধ উপাদান সীমিত রাখতে বলা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: এডিমার কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকরা প্রায়ই রক্তচাপ, কিডনী ফাংশন ও হরমোনের ভারসাম্য পরীক্ষা করেন। তাছাড়া, শরীরের তরল ভারসাম্য ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম ও প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণও সহায়ক হতে পারে, যদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া হয়।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি প্রাণীজ তন্ত্রু?
Created: 1 day ago
A
র্যামি
B
আলপাকা
C
ক্যাপক
D
লিনেন
আলপাকা (Alpaca) একটি প্রাণীজ তন্তু যা উচ্চমানের পোশাক ও বিলাসবহুল বস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত দক্ষিণ আমেরিকার উটজাতীয় প্রাণী আলপাকা-র লোম থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং গঠনে এটি উলের মতোই প্রোটিনভিত্তিক (কেরাটিন) তন্তু।
-
উৎস: আলপাকা তন্তু দক্ষিণ আমেরিকার পার্বত্য অঞ্চলে পালিত আলপাকা প্রাণীর লোম থেকে পাওয়া যায়।
-
প্রকৃতি: এটি প্রাণীজ তন্তু (Animal Fiber), যার গঠন প্রোটিনজাত।
-
বৈশিষ্ট্য: আলপাকা তন্তু নরম, হালকা, উষ্ণ ও উজ্জ্বল দীপ্তিযুক্ত। এটি সাধারণ উলের তুলনায় বেশি টেকসই ও অ্যালার্জি-মুক্ত।
-
ব্যবহার: উন্নতমানের সোয়েটার, শাল, কোট, ও কার্পেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
র্যামি (Ramie): এটি একটি উদ্ভিজ্জ তন্তু (Vegetable Fiber), যা রামি গাছের কাণ্ড থেকে পাওয়া যায়।
-
ক্যাপক (Kapok): এটিও উদ্ভিজ্জ তন্তু, যা গাছের বীজ বা ফলের ভিতরের অংশ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং সাধারণত বালিশ, কুশন ও লাইফজ্যাকেটে ব্যবহৃত হয়।
-
লিনেন (Linen): এটি শণ বা ফ্ল্যাক্স (Flax) গাছের কাণ্ড থেকে প্রাপ্ত একধরনের উদ্ভিজ্জ তন্তু, যা শক্ত, শোষণক্ষম এবং ঠান্ডা অনুভূতিদায়ক কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 day ago
একজন রি-অ্যাকটিভ তরুণের মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্যটি দেখা যায়?
Created: 1 day ago
A
ধৈর্যশীল
B
আবেগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা
C
হঠাৎ রেগে যাওয়া
D
অসামাজিক আচরণ
রি-অ্যাকটিভ তরুণ এমন ব্যক্তি, যিনি বাইরের পরিস্থিতি বা ঘটনার প্রতি দ্রুত আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা সাধারণত চিন্তা-ভাবনা না করে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়, যার ফলে তাদের আচরণ প্রায়ই অস্থির ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ওঠে।
১. পরিস্থিতিনির্ভর প্রতিক্রিয়া: রি-অ্যাকটিভ তরুণ নিজের চিন্তা বা যুক্তির চেয়ে বাইরের ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়; অর্থাৎ পরিস্থিতিই তাদের আচরণ নির্ধারণ করে।
২. আবেগপ্রবণতা: তারা হঠাৎ রেগে যায় বা মনোভাব পরিবর্তন করে ফেলে। তাদের সিদ্ধান্ত ও আচরণ আবেগের বশে ঘটে, ফলে তারা পরবর্তীতে অনুতপ্ত হতে পারে।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব: তারা আবেগ ও রাগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বল, যার ফলে সম্পর্ক ও সামাজিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
৪. তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া: চিন্তা বা বিশ্লেষণের সময় না নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো তাদের স্বভাবের অংশ।
৫. ব্যক্তিত্বগত প্রভাব: এই ধরনের আচরণ আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, মানসিক চাপ, বা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
৬. সামাজিক ও মানসিক ফলাফল: রি-অ্যাকটিভ আচরণের ফলে ব্যক্তি প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মানসিক অস্থিরতার শিকার হয়।

0
Updated: 1 day ago