ডিগমিং প্রদ্ধতির প্রয়োগ রেশম তন্তুতে কি ঘটে?
A
আঠা জাতীয় পদার্থ দুর হয়
B
সুতার ওজন কমে যায়
C
বিশেষ দ্রবনে ডুবিয়ে পরবর্তীতে ওজন বাড়তে হয়
D
উপরের সবকটিই সঠিক
উত্তরের বিবরণ
ডিগামিং (Degumming) হলো রেশম তন্তু প্রক্রিয়াকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যার মাধ্যমে কাঁচা রেশম থেকে আঠালো উপাদান অপসারণ করে তন্তুকে মসৃণ, উজ্জ্বল ও ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় আনা হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলে রেশমের প্রাকৃতিক কোমলতা ও দীপ্তি ফিরে আসে এবং এটি বস্ত্র উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত হয়।
১. আঠালো পদার্থ দূর করা: রেশমের মূল উপাদান হলো ফাইব্রোইন (Fibroin), যা তন্তুর গঠন তৈরি করে। এটি ঘিরে থাকে সেরিসিন (Sericin) নামক আঠালো প্রোটিনের একটি স্তর। ডিগামিং প্রক্রিয়ায় গরম পানি ও সাবানের দ্রবণে রেশম ডুবিয়ে এই সেরিসিন স্তর অপসারণ করা হয়, ফলে তন্তু মসৃণ ও নরম হয়ে ওঠে।
২. সুতার ওজন হ্রাস: সেরিসিন রেশম সুতার মোট ওজনের প্রায় ২০%–৩০% পর্যন্ত অংশ দখল করে। ডিগামিং প্রক্রিয়ায় এটি দূর হলে রেশমের মোট ওজন কমে যায়, তবে এর মান ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
৩. ওজন পুনরুদ্ধার: ডিগামিংয়ের পর রেশম কিছুটা হালকা ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই অনেক সময় এটিকে টিনিং (Tinning) বা অন্যান্য রাসায়নিক দ্রবণে ডুবিয়ে আবার কিছুটা ওজন বাড়ানো হয়, যা রেশমের টেক্সচার, টেকসইত্ব এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৪. ফলাফল: এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেশম তন্তু নরম, চকচকে ও সূক্ষ্ম হয়, যা পরবর্তীতে বস্ত্র তৈরির জন্য আদর্শ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 day ago
রাতে কম দেখতে পেলে কোন্ ধরনের খাদ্যগ্রহণ সঠিক হবে?
Created: 1 day ago
A
ইলিশ মাছ,কলিজা, পাকা আম
B
ডিমের সাদা অংশ, ননী তোলা দুধ, পেয়ারা
C
ছোট মুরগী,মুড়ি, আমলকি
D
আঙ্কুরিত ছোলা, ভুট্টা, নাশপাতি
রাতকানা বা নাইট ব্লাইন্ডনেস (Night Blindness) হলো এমন একটি দৃষ্টিজনিত সমস্যা যা মূলত ভিটামিন ‘এ’ (Vitamin A)-এর অভাবে ঘটে। এই ভিটামিন চোখের রেটিনা বা দৃষ্টিপর্দার স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে অপরিহার্য। যথেষ্ট ভিটামিন ‘এ’ না থাকলে অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং দীর্ঘমেয়াদে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে।
-
ভিটামিন ‘এ’-এর ভূমিকা: এটি চোখের রড সেল (rod cells)-এ উপস্থিত রোডোপসিন নামক প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা অল্প আলোতেও দেখার ক্ষমতা দেয়।
-
খাদ্য উৎস (প্রাণীজ):
-
ইলিশ মাছ: এতে উচ্চমাত্রায় রেটিনল (Retinol) বা সক্রিয় ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যা শরীর সরাসরি ব্যবহার করতে পারে।
-
কলিজা (Liver): এটি ভিটামিন ‘এ’-এর অন্যতম সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস, অল্প পরিমাণে গ্রহণেই দৈনিক চাহিদার অনেকাংশ পূরণ হয়।
-
-
খাদ্য উৎস (উদ্ভিজ্জ):
-
পাকা আম (Ripe Mango): এতে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন (Beta-Carotene) থাকে, যা শরীরে প্রবেশের পর ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। এটি ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি দুটোর জন্যই উপকারী।
-
এছাড়া গাজর, লালশাক, পেঁপে, ডিমের কুসুম এবং দুধও ভিটামিন ‘এ’-এর ভালো উৎস। খাদ্যতালিকায় এসব উপাদান অন্তর্ভুক্ত করলে দৃষ্টিশক্তি রক্ষা পায় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
খাদ্য হিমায়িতকরণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?
Created: 1 day ago
A
কম খরচে অধিক খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়
B
গুণগত ও পুষ্টিমানের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে
C
এনজাইম ও অনুজীবের প্রভাব নিয়ন্ত্রিত হয় না
D
ফল ও সবজির Post harvest পরিবর্তন ও অপচয় হয়।
খাদ্য সংরক্ষণের একটি কার্যকর উপায় হিসেবে হিমায়িতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাদ্যের পুষ্টিমান, গুণমান এবং স্থায়িত্ব দীর্ঘ সময় ধরে বজায় রাখতে সাহায্য করে, বিশেষত যখন মৌসুমি পণ্য কম দামে পাওয়া যায়।
১. হিমায়িতকরণ কম খরচে অধিক খাদ্য সংরক্ষণের সুযোগ দেয়। একবার ফ্রিজার কেনা এবং বিদ্যুৎ ব্যয়ের প্রাথমিক খরচ মিটে গেলে এটি অন্যান্য সংরক্ষণ পদ্ধতির তুলনায় সাশ্রয়ী হয়। মৌসুমি ফল ও সবজি কম দামে কিনে ফ্রিজে রাখা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।
২. গুণগত ও পুষ্টিমানের ক্ষতি হয় না। এই প্রক্রিয়ায় খাবারের ভিটামিন, মিনারেল ও রঙ অনেকাংশে অপরিবর্তিত থাকে। অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত পদ্ধতির তুলনায় এটি গুণগত মান ভালোভাবে রক্ষা করে।
৩. এনজাইম ও অনুজীবের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হিমায়িত অবস্থায় (−18°C বা তার নিচে) অনুজীবের বৃদ্ধি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় এবং এনজাইমের ক্রিয়াশীলতা অনেক কমে যায়, ফলে খাদ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়।
৪. ফল ও সবজির Post harvest পরিবর্তন রোধ করে। হিমায়িতকরণে ফলন-পরবর্তী পচন, অপচয় ও শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন বন্ধ হয়, ফলে পণ্য দীর্ঘদিন টাটকা থাকে।
৫. খাদ্যের বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি পায়। এভাবে সংরক্ষিত পণ্য সহজে পরিবহনযোগ্য হয় এবং বাজারে অফ-সিজনে বিক্রয় করে ভালো মুনাফা অর্জন করা যায়।

0
Updated: 1 day ago
কোন খাদ্যগুচ্ছটি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে?
Created: 1 day ago
A
রুই মাছ, ছোট মুরগীর মাংস
B
ঘি, চিনা বাদাম
C
পেয়ারা, আপেল
D
মুড়ি, রুটি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) শক্তিশালী রাখার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ভিটামিন সি (Vitamin C)। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে, সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
পেয়ারা ও আপেল:
-
পেয়ারা হলো ভিটামিন সি-এর অন্যতম সেরা উৎস, যা শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
আপেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা কোষকে মুক্ত মৌল (free radicals) থেকে রক্ষা করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
-
-
ভিটামিন সি-এর ভূমিকা: এটি শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, প্রদাহ কমায় এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি লৌহ (Iron) শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে।
-
অন্যান্য বিকল্পের পুষ্টিগুণ:
-
রুই মাছ, ছোট মুরগীর মাংস: এগুলো মূলত প্রোটিনের উৎস, যা কোষের বৃদ্ধি ও মেরামতে সহায়তা করে।
-
ঘি, চিনা বাদাম: এগুলো স্নেহ (Fat) সরবরাহ করে, যা শক্তির উৎস এবং কিছু ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে।
-
মুড়ি, রুটি: এগুলো শর্করা (Carbohydrate) সরবরাহ করে, যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে।
-
সুতরাং, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পেয়ারা, আপেল, লেবু, কমলা ও অন্যান্য ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সর্বাধিক উপকারী।

0
Updated: 1 day ago