বর্ষাকালে নাইলন বস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার কেন হয়?
A
অধিক পানি পোষণ করে
B
কম তাপ শোষণ করে
C
পানি শোষণ করে না
D
অধিক তাপ শোষণ করে
উত্তরের বিবরণ
বর্ষাকালে নাইলন বস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহারের মূল কারণ হলো এটি পানি খুব কম শোষণ করে বা একেবারেই করে না, ফলে সহজে ভেজে না এবং দ্রুত শুকিয়ে যায়। এর ফলে এটি আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী একটি বস্ত্র হিসেবে জনপ্রিয়।
-
পানি শোষণ না করার বৈশিষ্ট্য: নাইলন একটি সিন্থেটিক তন্তু (Synthetic Fiber), যার গঠন এমন যে এটি জল শোষণ প্রতিরোধ করে। ফলে ফ্যাব্রিকের উপর পড়া জল পৃষ্ঠে থেকে পিছলে যায় এবং গভীরে প্রবেশ করতে পারে না।
-
দ্রুত শুকানোর ক্ষমতা: নাইলনের নন-অ্যাবজর্ভেন্ট প্রকৃতি একে খুব দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। বর্ষাকালে যখন বাতাসে আর্দ্রতা বেশি ও সূর্যের আলো কম থাকে, তখন এটি ব্যবহারকারীর জন্য আরামদায়ক হয় কারণ নাইলন কাপড় দীর্ঘ সময় ভেজা থাকে না।
-
ব্যবহারিক প্রয়োগ: এই বৈশিষ্ট্যের কারণে নাইলন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় বৃষ্টির জ্যাকেট, উইন্ডব্রেকার, ছাতা, ব্যাগ ও রেইনকোটে, যেখানে জল প্রতিরোধ ও দ্রুত শুকানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: নাইলন কেবল দ্রুত শুকানোর জন্য নয়, বরং এর টেকসই, হালকা ও ভাঁজ-প্রতিরোধী (Wrinkle-Resistant) গুণের কারণেও বহুল ব্যবহৃত। এটি ভেজা অবস্থাতেও শক্তি হারায় না, ফলে এটি আর্দ্র পরিবেশেও দীর্ঘস্থায়ীভাবে ব্যবহার করা যায়।

0
Updated: 1 day ago
পোশাকের ক্ষেত্রে কোনটি গঠনমূলক নকশা?
Created: 1 day ago
A
বোতাম, ঝালর, লেস
B
বিভিন্ন রং এর সমন্বয়
C
কলার, কুচি, প্লিট
D
আড়াআড়ি, লম্ব ও কৌনিক রেখার ব্যবহার
পোশাকের নকশা মূলত দুই প্রকার— গঠনমূলক নকশা (Structural Design) এবং সজ্জিত নকশা (Decorative Design)। এ দুটি নকশা পোশাকের সৌন্দর্য, ব্যবহারিকতা ও দৃষ্টিনন্দনতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
গঠনমূলক নকশা (Structural Design): এটি পোশাকের মূল আকৃতি, কাঠামো ও কার্যকারিতা থেকে উদ্ভূত নকশা। অর্থাৎ, পোশাক তৈরির সময় যে উপাদানগুলো সরাসরি এর আকার, ফিটিং ও কার্যকর দিক নির্ধারণ করে, সেগুলিই গঠনমূলক নকশার অংশ।
-
উদাহরণ: কলার, কাফ, পকেট, শোল্ডার প্যাড, কুচি, প্লিট, ডার্ট, সেলাই রেখা (Seam Lines)।
-
এগুলির মাধ্যমে পোশাক পায় একটি ত্রিমাত্রিক (Three-dimensional) রূপ ও সঠিক বডি ফিটিং।
-
এই নকশা পোশাকের গঠনকে দৃঢ় করে ও ব্যবহারিক দিক নিশ্চিত করে।
-
-
সজ্জিত নকশা (Decorative Design): এটি পোশাকের উপরে অতিরিক্তভাবে যোগ করা অলঙ্করণমূলক উপাদান, যা কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এর ফলে পোশাকের গঠন বা কার্যকারিতায় কোনো পরিবর্তন আসে না।
-
উদাহরণ: ঝালর, লেস, সূচিকর্ম (Embroidery), প্রিন্ট, বিভিন্ন রঙের সংযোজন, বোতাম (যদি তা কেবল সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহার হয়)।
-
এই নকশা পোশাকে বৈচিত্র্য ও নান্দনিকতা যোগ করে।
-
-
মূল পার্থক্য: গঠনমূলক নকশা পোশাকের মূল কাঠামো নির্ধারণ করে, আর সজ্জিত নকশা তার বাহ্যিক রূপকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
-
প্রাসঙ্গিক উদাহরণ: প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে কলার, কুচি এবং প্লিট পোশাকের আকৃতি ও বডি ফিটিং-এর জন্য অপরিহার্য উপাদান, তাই এগুলো গঠনমূলক নকশার অন্তর্গত।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি বর্ধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
Created: 2 days ago
A
শৈশবে এরগতি ধীর থাকে
B
বিশেষ পরিবেশ ও শিক্ষনের প্রয়োজন হয়
C
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সাধিত হয়
D
ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে
বর্ধন (Growth) বলতে দেহের আকার, উচ্চতা, ওজন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিমাণগত বৃদ্ধি বোঝায়, যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘটে। এটি মূলত শরীরের গঠনগত পরিবর্তনের সূচক, যেখানে কোষ সংখ্যা ও আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেহ বড় হতে থাকে।
-
বর্ধন হলো একটি পরিমাণগত (Quantitative) প্রক্রিয়া, অর্থাৎ এটি মাপা যায় — যেমন উচ্চতা, ওজন, দেহের দৈর্ঘ্য বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকার।
-
এটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, সাধারণত কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালের শেষে বর্ধন প্রক্রিয়া থেমে যায়।
-
বর্ধন শারীরিক দিক থেকে ঘটে, যেমন হাড়ের বৃদ্ধি, পেশির বিকাশ বা অঙ্গের সম্প্রসারণ।
-
বিকাশ (Development) হলো গুণগত (Qualitative) প্রক্রিয়া, যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
-
বিকাশে মানসিক, সামাজিক, আবেগীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা একজন ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করে।
-
সংক্ষেপে বলা যায়, বর্ধন দেহের আকার বাড়ায়, আর বিকাশ দেহ ও মনের সামগ্রিক পরিপক্বতা আনে।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ স্তর?
Created: 1 day ago
A
অতীত মূল্যায়ন
B
লক্ষ্য সম্পর্কে ধারণা
C
সমস্যার স্বরুপ উপলদ্ধি
D
কাজে শৃংখলা বিধান
সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটি ধারাবাহিক মানসিক প্রক্রিয়া যা সঠিক বিকল্প বেছে নেওয়ার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন স্তর বা পর্যায় রয়েছে, যা প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করতে হয়।
১. সমস্যার স্বরূপ উপলব্ধি (Defining the problem to be decided): প্রথমে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে সমস্যার প্রকৃতি ও পরিসর স্পষ্টভাবে বুঝতে হয়, যাতে সঠিক সমাধানের দিক নির্ধারণ করা যায়।
২. বিকল্প সমাধানের অনুসন্ধান (Seeking alternative solutions): সমস্যার সমাধানের জন্য একাধিক সম্ভাব্য উপায় বা বিকল্প খুঁজে বের করা হয়।
৩. বিকল্পসমূহ সম্পর্কে চিন্তা (Thinking through alternatives): প্রতিটি বিকল্পের সুবিধা, অসুবিধা ও ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে কোনটি সর্বাধিক কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করা যায়।
৪. একটি সমাধান গ্রহণ (Selecting a solution): বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সবচেয়ে উপযুক্ত ও বাস্তবসম্মত বিকল্পটিকে চূড়ান্তভাবে বেছে নেওয়া হয়।
৫. গৃহীত সিদ্ধান্তের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ (Accepting responsibility for the decision): সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর তার ফলাফলের দায়ভার গ্রহণ করা হয় এবং প্রয়োজনে সংশোধন বা পর্যালোচনা করা হয়।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া যুক্তিনির্ভর, কার্যকর ও ফলপ্রসূ হয়, যা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago