বাড়ীর নকশা পরিকল্পনায় কোনটি প্রযোজ্য নয়?
A
খসড়া নকশা প্রণয়ন
B
ভূমি নির্বাচন
C
প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিবর্ধন
D
চূড়ান্ত নকশা প্রস্তুত ও তা অনুমোদন
উত্তরের বিবরণ
বাড়ির নকশা পরিকল্পনা প্রক্রিয়া শুরু হয় ভূমি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর, কারণ সঠিক ভূমি নির্বাচনের ওপরই নকশার ধরন, দিকনির্দেশ ও স্থাপত্যিক পরিকল্পনা নির্ভর করে। এটি একটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন হওয়া প্রক্রিয়া, যেখানে পরিকল্পনা, সংশোধন ও অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
খসড়া নকশা প্রণয়ন (Drafting the initial plan): প্রাথমিক ধারণা, মালিকের চাহিদা এবং স্থাপত্যিক প্রয়োজন বিবেচনা করে একটি প্রাথমিক নকশা বা খসড়া তৈরি করা হয়।
-
প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিবর্ধন (Necessary revisions and additions): মালিক ও স্থপতির মতামত অনুযায়ী নকশায় পরিবর্তন, সংযোজন ও উন্নয়ন আনা হয়, যাতে এটি বাস্তব প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
-
চূড়ান্ত নকশা প্রস্তুত ও অনুমোদন (Finalizing and approving the design): সংশোধনের পর নকশাটি চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হয় এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন বা পারমিট নেওয়া হয়।
-
নির্মাণ প্রস্তুতি: অনুমোদিত নকশার ভিত্তিতে নির্মাণ সামগ্রী, বাজেট ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়, যা ভবন নির্মাণের পরবর্তী ধাপের জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
ফুড গাইড পিরামিডের কার্বোহাইড্রেট সবার নীচে থাকে কেন?
Created: 2 days ago
A
দেহ গঠনে তেমন ভূমিকা রাখে না
B
পরিমানগত চাহিদা বেশী
C
দামে সবচাইতে সন্তা
D
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই
খাদ্য পিরামিড এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি স্পষ্টভাবে দেখায় কোন খাদ্য উপাদান দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। পিরামিডের গঠন অনুযায়ী নিচের স্তর সবচেয়ে প্রশস্ত, যা অধিক প্রয়োজনীয় খাদ্য নির্দেশ করে, আর উপরের স্তর অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় উপাদানকে নির্দেশ করে।
-
পিরামিডের ভিত্তি (Base) সবচেয়ে চওড়া অংশ, যেখানে থাকে শস্যজাতীয় খাদ্য যেমন ভাত, রুটি, পাউরুটি, আলু, ভুট্টা ইত্যাদি। এগুলো দৈনন্দিন খাদ্যের প্রধান অংশ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
-
এই স্তরের খাদ্যগুলোতে প্রচুর শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা দেহের প্রধান শক্তির উৎস (Primary source of energy) হিসেবে কাজ করে।
-
কার্বোহাইড্রেট দেহকে দৈনন্দিন কাজ, শারীরিক পরিশ্রম ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে শক্তি প্রদান করে।
-
পিরামিডের উপরের স্তরগুলোতে থাকে কম পরিমাণে প্রয়োজনীয় উপাদান, যেমন প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ, যেগুলো শক্তি ছাড়াও শরীরের বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে।
-
খাদ্য পিরামিডের এই বিন্যাস আমাদের শেখায় সুষম খাদ্যের অনুপাত, অর্থাৎ কোন খাদ্য বেশি ও কোন খাদ্য কম খাওয়া উচিত তা বোঝার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রদান করে।
-
এর মাধ্যমে বোঝা যায়, যেসব খাদ্যের চাহিদা শরীরে বেশি, তারা পিরামিডের নিচের স্তরে থাকে, আর যেগুলোর প্রয়োজন কম, তারা উপরের দিকে অবস্থান করে।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি গৃহ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব?
Created: 1 day ago
A
অধিকাংশ কাজ নিজে করা
B
গৃহ সম্পদের সীমিত ব্যবহার করা
C
গৃহে সদস্যদের পারস্পিরিক সম্ভাব বজায় রাখা
D
স্বল্প মূল্যের পণ্য ক্রয় করা
গৃহ ব্যবস্থাপকের (Home Manager) মূল দায়িত্ব হলো পরিবারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং পরিবারে একটি শান্তিপূর্ণ, সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখা। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা এই ভূমিকার একটি অপরিহার্য দিক, যা গৃহ ব্যবস্থাপনার সামাজিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
-
পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ, সহযোগিতা ও বোঝাপড়া বজায় রাখা গৃহ ব্যবস্থাপনার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এতে সদস্যদের মধ্যে সংঘাত কমে এবং সবাই পারিবারিক লক্ষ্যে একসাথে কাজ করতে উৎসাহিত হয়।
-
ব্যবস্থাপনার ধাপের সঙ্গে সম্পর্ক: এই দায়িত্ব সংগঠন ও নিয়ন্ত্রণ—দুই ধাপের সাথেই সম্পর্কিত, কারণ সুসম্পর্ক থাকলে কাজের বণ্টন ও পর্যবেক্ষণ সহজ হয়।
-
ভুল ধারণাগুলোর ব্যাখ্যা:
-
ক) অধিকাংশ কাজ নিজে করা: ভালো ব্যবস্থাপক সব কাজ নিজে করেন না; বরং সঠিকভাবে দায়িত্ব বণ্টন করে পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ত করেন।
-
খ) গৃহ সম্পদের সীমিত ব্যবহার করা: গৃহ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য সীমিত ব্যবহার নয়, বরং সম্পদের সর্বোচ্চ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
ঘ) স্বল্প মূল্যের পণ্য ক্রয় করা: সর্বদা কম দামে কেনা নয়, বরং গুণগত মান বজায় রেখে অর্থের সর্বোচ্চ মূল্য (Value for Money) নিশ্চিত করাই প্রকৃত দক্ষ ব্যবস্থাপনার অংশ।
-
-
অতিরিক্ত তথ্য: সফল গৃহ ব্যবস্থাপক পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে যোগাযোগ, পরিকল্পনা ও ভারসাম্য বজায় রাখেন, যা কেবল সম্পদ নয়, বরং সময়, শ্রম ও আবেগের সঠিক ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত করে।

0
Updated: 1 day ago
প্রারিম্ভিক শৈশবকালে আক্রমনাত্মক আচরণ প্রবনতা দূরীকরনে কোনটি করণীয়?
Created: 1 day ago
A
সমবয়সীদের সাথে মিশতে না দেয়া
B
বিষয়টিকে কম গুরুত্ব দেয়া
C
ব্যক্তি স্বাতন্ত্র অনুযায়ী সমঝোতায় আসা
D
তার খারাপ দিকগুলো স্বরণ করিয়ে দেয়া
শৈশবের আক্রমণাত্মক আচরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ব্যক্তি স্বাতন্ত্র অনুযায়ী সমঝোতায় আসা, অর্থাৎ প্রতিটি শিশুর আচরণের কারণ ও মানসিক প্রয়োজন আলাদা হওয়ায় তাকে সেই অনুযায়ী বোঝা ও সহায়তা করা। এটি শিশুর মানসিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং দীর্ঘস্থায়ী আচরণগত পরিবর্তন আনে।
-
কারণ শনাক্তকরণ: প্রতিটি শিশুর আক্রমণাত্মক আচরণের পেছনে ভিন্ন কারণ থাকতে পারে—যেমন অতিরিক্ত উত্তেজনা, পর্যাপ্ত মনোযোগ না পাওয়া, হতাশা, বা ভাষাগত সীমাবদ্ধতা।
-
বোঝাপড়া ও সংলাপ: শিশুর আচরণের কারণ বুঝে আলোচনা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে তাকে বোঝানো হয় যে আক্রমণাত্মক হওয়া চাহিদা প্রকাশের সঠিক উপায় নয়।
-
বিকল্প আচরণ শেখানো: শিশুকে ইতিবাচক ও গ্রহণযোগ্য উপায়ে নিজেকে প্রকাশ করতে শেখানো হয়, যেমন কথা বলে সমস্যা জানানো বা সাহায্য চাওয়া।
-
গঠনমূলক ফলাফল: এই প্রক্রিয়া শিশুর মধ্যে সহানুভূতি, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক দক্ষতা গড়ে তোলে, যা ভবিষ্যতে সংঘাত মোকাবিলায় সহায়ক হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: গবেষণায় দেখা গেছে, শাস্তির পরিবর্তে সমঝোতা, সহানুভূতি ও ইতিবাচক উৎসাহ ব্যবহার করলে শিশুর আক্রমণাত্মক প্রবণতা ধীরে ধীরে কমে এবং সে আবেগ নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী হয়ে ওঠে।

0
Updated: 1 day ago