পোশাকের ক্ষেত্রে কোনটি গঠনমূলক নকশা?
A
বোতাম, ঝালর, লেস
B
বিভিন্ন রং এর সমন্বয়
C
কলার, কুচি, প্লিট
D
আড়াআড়ি, লম্ব ও কৌনিক রেখার ব্যবহার
উত্তরের বিবরণ
পোশাকের নকশা মূলত দুই প্রকার— গঠনমূলক নকশা (Structural Design) এবং সজ্জিত নকশা (Decorative Design)। এ দুটি নকশা পোশাকের সৌন্দর্য, ব্যবহারিকতা ও দৃষ্টিনন্দনতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
গঠনমূলক নকশা (Structural Design): এটি পোশাকের মূল আকৃতি, কাঠামো ও কার্যকারিতা থেকে উদ্ভূত নকশা। অর্থাৎ, পোশাক তৈরির সময় যে উপাদানগুলো সরাসরি এর আকার, ফিটিং ও কার্যকর দিক নির্ধারণ করে, সেগুলিই গঠনমূলক নকশার অংশ।
-
উদাহরণ: কলার, কাফ, পকেট, শোল্ডার প্যাড, কুচি, প্লিট, ডার্ট, সেলাই রেখা (Seam Lines)।
-
এগুলির মাধ্যমে পোশাক পায় একটি ত্রিমাত্রিক (Three-dimensional) রূপ ও সঠিক বডি ফিটিং।
-
এই নকশা পোশাকের গঠনকে দৃঢ় করে ও ব্যবহারিক দিক নিশ্চিত করে।
-
-
সজ্জিত নকশা (Decorative Design): এটি পোশাকের উপরে অতিরিক্তভাবে যোগ করা অলঙ্করণমূলক উপাদান, যা কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এর ফলে পোশাকের গঠন বা কার্যকারিতায় কোনো পরিবর্তন আসে না।
-
উদাহরণ: ঝালর, লেস, সূচিকর্ম (Embroidery), প্রিন্ট, বিভিন্ন রঙের সংযোজন, বোতাম (যদি তা কেবল সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহার হয়)।
-
এই নকশা পোশাকে বৈচিত্র্য ও নান্দনিকতা যোগ করে।
-
-
মূল পার্থক্য: গঠনমূলক নকশা পোশাকের মূল কাঠামো নির্ধারণ করে, আর সজ্জিত নকশা তার বাহ্যিক রূপকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
-
প্রাসঙ্গিক উদাহরণ: প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে কলার, কুচি এবং প্লিট পোশাকের আকৃতি ও বডি ফিটিং-এর জন্য অপরিহার্য উপাদান, তাই এগুলো গঠনমূলক নকশার অন্তর্গত।

0
Updated: 1 day ago
অতিরক্ষিত সন্তানের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
Created: 1 day ago
A
শিশুসুলভ আচরণের দীর্ঘ মেয়াদ
B
স্বাধীনচেতা মনোভাব
C
আক্রমনাত্মক আচরণ
D
নির্দেশ অমান্য করার প্রবনতা
অতিরিক্ত রক্ষিত সন্তানরা সাধারণত এমন একটি পরিবেশে বেড়ে ওঠে যেখানে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া বা সমস্যার সমাধান করার সুযোগ খুব সীমিত থাকে। এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে এবং শিশুসুলভ আচরণ দীর্ঘ সময় ধরে বজায় থাকে।
-
আবেগীয় নির্ভরশীলতা: এরা নিজেদের আবেগ ও সিদ্ধান্তের জন্য সবসময় অন্যের ওপর নির্ভর করে, বিশেষত পিতা-মাতা বা অভিভাবকের উপর।
-
আত্মবিশ্বাসের অভাব: যেহেতু তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত নয়, তাই নতুন বা কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
-
অস্বাধীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতা: নিজের জীবন ও কর্মকাণ্ডে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা গড়ে ওঠে না, ফলে তারা প্রায়ই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।
-
সমস্যা সমাধানে দুর্বলতা: ছোট-বড় যে কোনো সমস্যার সমাধানে তারা অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভর করে, যার ফলে বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়।
-
শিশুসুলভ আচরণের স্থায়িত্ব: তারা বয়স বাড়লেও আচরণে শিশুসুলভ বৈশিষ্ট্য (যেমন—অতিরিক্ত বায়না ধরা, সহজ কাজ করতে অনীহা, আবেগপ্রবণতা) বজায় রাখে।
-
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব: এই ধরনের লালনপালন ভবিষ্যতে তাদের সামাজিক অভিযোজন, কর্মজীবন ও সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করে, কারণ তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কাজ করতে অভ্যস্ত হয় না।

0
Updated: 1 day ago
লাই পরীক্ষায় তন্তু দুটি সম্পূর্ণভাবে দ্রবীভূত হয়ে যাবে?
Created: 1 day ago
A
রেশম ও পশম
B
নাইলন ও রেশম
C
তুলা ও লিনেন
D
পশম ও ফ্ল্যাক্স
লাই পরীক্ষা হলো এমন একটি রাসায়নিক পরীক্ষা, যেখানে তন্তুগুলোকে শক্ত ক্ষার (strong alkali) দ্রবণে রেখে তাদের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মাধ্যমে তন্তুর প্রকারভেদ নির্ণয় করা যায়, কারণ বিভিন্ন তন্তু ক্ষারের সঙ্গে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে।
-
প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যেমন রেশম (Silk) ও পশম (Wool) ক্ষার দ্রবণে দ্রুত দ্রবীভূত হয়ে যায়, কারণ এদের গঠন প্রোটিনভিত্তিক এবং ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ভেঙে যায়।
-
নাইলন (Nylon) একটি সিনথেটিক পলিমার, যা ক্ষারের সঙ্গে খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া করে না, ফলে এটি সহজে দ্রবীভূত হয় না।
-
তুলা (Cotton) ও লিনেন (Linen) হলো সেলুলোজ তন্তু, যা ক্ষারে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয় না।
-
পশম ও ফ্ল্যাক্স (Flax) তুলনা করলে দেখা যায়, ফ্ল্যাক্স ধীরে ক্ষারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু এটি দ্রবীভূত হয় না, যেখানে পশম সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয়।
-
এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়, তন্তুর রাসায়নিক গঠনই ক্ষারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার ধরন নির্ধারণ করে, ফলে এটি বস্ত্র শিল্পে তন্তু শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি গৃহ ব্যবস্থাপনায় প্রেষণা সৃষ্টিকারী বিষয়?
Created: 1 day ago
A
পরিকল্পনা
B
মূল্যায়ন
C
জ্ঞান
D
মান
মান এমন একটি নির্ধারিত স্তর বা আদর্শ যা ব্যক্তি বা পরিবার তাদের কাজ, আচরণ বা ফলাফলে অর্জন করতে চায়। এটি একধরনের মানদণ্ড যা কাজের গুণগত মান নির্ধারণে সাহায্য করে এবং ব্যক্তিকে লক্ষ্য অর্জনের পথে পরিচালিত করে।
১. মান কাজের পরিধি ও মান যাচাইয়ের জন্য একটি পরিমাপক মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে।
২. এটি মানুষকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে অনুপ্রাণিত করে এবং তাদের আচরণকে সুশৃঙ্খল করে তোলে।
৩. ব্যক্তি বা পরিবার যখন কোনো বিষয়ে উচ্চ মান নির্ধারণ করে, তখন তারা সেই মান রক্ষা বা অতিক্রম করার চেষ্টা করে।
৪. মান রক্ষা ও উন্নয়ন সমাজে মর্যাদা, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করে।
৫. উদাহরণস্বরূপ, একটি পরিবার যদি তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মান উঁচু রাখে, তবে সেই মান তাদের প্রতিনিয়ত ঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রেষণা দেয়।
৬. মান শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, শিক্ষা, পেশা, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে গুণগত উৎকর্ষ অর্জনের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago