কোনটি শিশুর শিক্ষা গ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়?
A
অনুকরণ
B
অনুমোদন
C
শানাক্তকরণ
D
প্রশিক্ষণ
উত্তরের বিবরণ
অনুমোদন (Approval) সরাসরি শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়ার অংশ নয়, বরং এটি একটি মানসিক বা আবেগিক প্রতিক্রিয়া, যা শেখার ফলাফলকে শক্তিশালী বা উৎসাহিত করতে পারে। অর্থাৎ, অনুমোদন শেখার একটি উদ্দীপক বা পরিণাম হতে পারে, কিন্তু এটি শেখার কোনো পদ্ধতি বা কৌশল নয়।
-
অনুমোদনের প্রকৃতি: এটি সাধারণত প্রশংসা, সম্মতি বা উৎসাহমূলক প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রকাশ পায়, যা শিশুকে ইতিবাচক আচরণে অবিচল থাকতে উদ্বুদ্ধ করে।
-
শিক্ষা গ্রহণের মূল কৌশলসমূহ:
-
ক) অনুকরণ (Imitation/Modeling): শিশুরা অন্যদের আচরণ ও কাজ পর্যবেক্ষণ করে তা অনুসরণ করে শেখে; এটি শৈশবের প্রাথমিক শেখার অন্যতম প্রধান উপায়।
-
গ) শনাক্তকরণ (Identification): শিশুরা কোনো প্রিয় বা শ্রদ্ধার ব্যক্তিকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে তার গুণাবলী, মূল্যবোধ বা আচরণ নিজের মধ্যে গঠন করে, যা তাদের নৈতিক ও সামাজিক বিকাশে ভূমিকা রাখে।
-
ঘ) প্রশিক্ষণ (Training/Conditioning): নির্দিষ্ট দক্ষতা বা আচরণ গড়ে তুলতে পুনরাবৃত্ত অনুশীলন ও নিয়মিত নির্দেশনা ব্যবহৃত হয়, যা শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে দৃঢ় করে।
-
-
অতিরিক্ত তথ্য: অনুমোদন শেখার প্রক্রিয়াকে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে, কারণ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস, আগ্রহ ও প্রেরণা জাগিয়ে তোলে। তবে শিক্ষা অর্জনের মূল প্রক্রিয়া সবসময় পর্যবেক্ষণ, অনুশীলন ও অন্তর্গত বোঝাপড়ার ওপর নির্ভরশীল।

0
Updated: 1 day ago
বসবাসের জন্য কোনমূখী গৃহ উত্তম?
Created: 1 day ago
A
উত্তর-দক্ষিণ
B
পূর্ব-পশ্চিম
C
দক্ষিণ-পূর্ব
D
উত্তর-পশ্চিম
দক্ষিণ-পূর্বমুখী গৃহকে সাধারণত বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে ধরা হয়, বিশেষত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে। এই দিকের ঘরগুলো আলো, বাতাস ও তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে, যা বাসিন্দাদের আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রদান করে।
-
আলো ও তাপের নিয়ন্ত্রণ: পূর্ব-পশ্চিমমুখী ঘরে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তীব্র আলো পড়ে, যা ঘরকে অতিরিক্ত গরম করে তোলে। দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে এই সমস্যা কম থাকে।
-
সকালের সূর্যালোক প্রবেশ: সূর্য দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়, ফলে সকালে ঘরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও তাপ প্রবেশ করে। এতে ঘর শুকনো থাকে এবং জীবাণু ধ্বংসে সহায়তা করে।
-
দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস প্রবাহ: বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী দক্ষিণ দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়, যা দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে সহজেই প্রবেশ করে ঘরকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখে।
-
দুপুরের প্রচণ্ড রোদ থেকে সুরক্ষা: পশ্চিম দিকের রোদ সবচেয়ে তীব্র, কিন্তু দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘর পশ্চিম রোদের সরাসরি প্রভাব থেকে আংশিক সুরক্ষা পায়, ফলে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
-
বাতাস ও আলোয় ভারসাম্য: সকালে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বিকেলে হালকা ছায়া ঘরে আলো-অন্ধকার ও তাপমাত্রার সুষম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ: এই দিকের ঘরগুলোতে বাতাস চলাচল ভালো হয়, আর্দ্রতা কম থাকে এবং আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য উপযোগী।

0
Updated: 1 day ago
কক্ষে দেয়াল ও বাতির রং এক হলে রং এর তীব্রতা -
Created: 2 days ago
A
হ্রাস পায়
B
বৃদ্ধি পায়
C
পরিবর্তন হয় না
D
সামান্য হ্রাস পায়
যখন দেয়ালের রং এবং আলোর রং একই বা একই বর্ণপরিবারের হয়, তখন দেয়ালের রং আরও উজ্জ্বল ও গাঢ় দেখা যায়। এর মূল কারণ হলো আলো ও বস্তুর রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পারস্পরিক সামঞ্জস্য, যা প্রতিফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
-
রঙের প্রতিফলন নীতি অনুযায়ী, কোনো বস্তু তার নিজের রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলিত করে এবং অন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে।
-
যখন বাতির রং ও দেয়ালের রং একই হয়, তখন দেয়াল সেই নির্দিষ্ট রঙের আলো সর্বাধিক পরিমাণে প্রতিফলিত করে।
-
এই প্রতিফলনের ফলে রঙের তীব্রতা (Intensity) ও উজ্জ্বলতা (Saturation) উভয়ই বৃদ্ধি পায়।
-
উদাহরণস্বরূপ, লাল দেয়ালের ওপর লাল আলো ফেললে, অন্য রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষিত হয় এবং কেবল লাল আলোই প্রতিফলিত হয়, ফলে রং আরও গভীর ও সমৃদ্ধ দেখায়।
-
এটি Color Amplification নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একই রঙের আলো বস্তুর রংকে আরও তীব্রভাবে ফুটিয়ে তোলে।
-
এই কারণে এমন পরিবেশে রঙের গভীরতা ও দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি পায়, যা চোখে বেশি উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত মনে হয়।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তির কারণ?
Created: 1 day ago
A
দেহে ল্যাকটিক এসিড উৎপাদন
B
দেহ ভঙ্গিমার সঠিক ব্যবহার না করা
C
মধ্যাকর্ষণ বলের বিরুদ্ধে কাজ করা
D
কাজের প্রশংসীত না হওয়া
ক্লান্তি হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিকভাবে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। এটি মূলত শরীর ও মনের অতিরিক্ত চাপের ফল। ক্লান্তিকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়—শারীরিক ক্লান্তি (Physiological Fatigue) এবং মানসিক বা নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তি (Psychological/Frustration Fatigue)।
-
শারীরিক ক্লান্তি: এটি অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা কর্মচাপের কারণে ঘটে। এর প্রধান কারণ হলো পেশীতে ল্যাকটিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি, যা রক্তপ্রবাহে জমে শরীরে ব্যথা, অবসাদ ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই অবস্থায় শরীরের শক্তি কমে যায় এবং বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে কাজ করা, ভারী ওজন তোলা বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এই ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
-
নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তি (Psychological Fatigue): এটি মানসিক চাপে উৎপন্ন ক্লান্তি, যেখানে মানুষের আগ্রহ, প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস হ্রাস পায়। এর পেছনে একঘেয়েমি, মানসিক চাপ, কাজের স্বীকৃতি না পাওয়া, বা পর্যাপ্ত উৎসাহের অভাব ভূমিকা রাখে। এই ক্লান্তিতে শারীরিক কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন না ঘটলেও ব্যক্তি মনোবল হারিয়ে ফেলে এবং কাজের প্রতি অনীহা অনুভব করে।
-
এই দুই ধরনের ক্লান্তি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ মানসিক অবসাদ শারীরিক কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে, আর দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ক্লান্তি মানসিক নৈরাশ্যের কারণ হতে পারে।
-
ক্লান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মানসিক প্রশান্তি, স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান, এবং নিয়মিত জীবনধারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago