কোনটি শুদ্ধভাষা শিখার সঠিক কৌশল?
A
অতি ধীরে স্পষ্টভাবে কথা কলা
B
খুব সহজ শব্দ ব্যবহার করা
C
অপরিচিত শব্দের পরিচিত বিকল্প না দেয়া
D
কথায় পুনরাবৃত্তি করা
উত্তরের বিবরণ
অতি ধীরে ও স্পষ্টভাবে কথা বলা শুদ্ধ ভাষা শেখা ও শেখানোর একটি কার্যকর কৌশল, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের সঠিক উচ্চারণ, শব্দবিন্যাস ও শ্রবণ-অনুধাবন ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করে।
-
স্পষ্ট উচ্চারণ ও বোধগম্যতা: ধীরে কথা বললে শ্রোতা প্রতিটি শব্দের ধ্বনি, উচ্চারণ ও অর্থ স্পষ্টভাবে শুনতে ও বুঝতে পারে, ফলে ভাষার ধ্বনিগত উপাদান (Phonetics) সঠিকভাবে আয়ত্ত করা সহজ হয়।
-
অনুকরণের সুবিধা: শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে, তাই ধীর ও স্পষ্ট উচ্চারণে বলা কথা তারা সহজেই স্বরক্ষেপণ (Intonation), শব্দপ্রবাহ ও বাক্যগঠন অনুকরণ করতে পারে।
-
ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ধীরে বলা শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পর্যাপ্ত সময় দেয়, ফলে তারা নতুন শব্দ ও ভাষা কাঠামো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ধারণ করতে সক্ষম হয়।
-
যোগাযোগের মানোন্নয়ন: স্পষ্টভাবে কথা বলার অভ্যাস ভাষার বোধগম্যতা ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা শেখা ও শেখানোর উভয় প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago
গৃহ ব্যবস্থাপনা পরিবারের কোন দিকটি নির্দেশ করে?
Created: 1 day ago
A
আর্থিক
B
প্রশাসনিক
C
সামাজিক
D
আর্থ সামাজিক
গৃহ ব্যবস্থাপনা হলো পরিবারের প্রশাসনিক দিক, যা পরিবারকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি পরিবারের লক্ষ্য পূরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে।
১. পরিকল্পনা (Planning): পরিবারের লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী কার্যপন্থা ও সময়সূচি তৈরি করা হয়।
২. সংগঠন (Organizing): পরিবারের সদস্য ও সম্পদকে দক্ষভাবে ভাগ করে কাজের মধ্যে সমন্বয় আনা হয়।
৩. নিয়ন্ত্রণ (Controlling): গৃহস্থালির কাজের অগ্রগতি ও ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয় যাতে কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।
৪. মূল্যায়ন (Evaluating): সম্পন্ন কাজের ফলাফল পর্যালোচনা করে ভুলত্রুটি সংশোধন ও ভবিষ্যতের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়।
৫. সারমর্ম: গৃহ ব্যবস্থাপনা একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা পরিবারের সময়, অর্থ, পরিশ্রম ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে সুখী ও সুশৃঙ্খল পারিবারিক জীবন গঠনে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago
আসবাব নির্বাচনে প্রথম বিবেচ্য বিষয় কোনটি?
Created: 2 days ago
A
আসবারের স্থায়িত্ব
B
নিজ পেশা
C
কক্ষের অন্যান্য আসবাবের সাথে সামঞ্জস্য
D
দেশের কালচারের সাথে সামঞ্জস্য
আসবাবপত্র নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহস্থালি সিদ্ধান্ত, যা শুধু সৌন্দর্যের বিষয় নয় বরং ব্যবহারিক প্রয়োজন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের সঙ্গেও সম্পর্কিত। স্থায়িত্ব (Durability) এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ—আসবাব সাধারণত দীর্ঘদিন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কেনা হয়, এবং টেকসই না হলে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি ঘটে যা অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আসবাবপত্র নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন—
-
পরিবারের আয় অনুযায়ী ব্যয় নির্ধারণ করা উচিত।
-
মূল্য যেন মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
-
উপযোগিতা অর্থাৎ নির্দিষ্ট প্রয়োজন পূরণে আসবাবের সক্ষমতা থাকতে হবে।
-
প্রয়োজনীয়তা বিচার করে অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়ানো উচিত।
-
আরামদায়কতা ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
-
নমনীয়তা বা ব্যবহারভেদে স্থানান্তরের সুবিধা থাকা ভালো।
-
স্থায়িত্ব অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্যতা অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
-
নির্মাণ উপকরণ যেমন কাঠ, ধাতু, বা প্লাস্টিক—গুণমানের দিক থেকে বিবেচনা করা জরুরি।
-
রুচি বা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন বেছে নিতে হবে।
-
নকশা ঘরের সজ্জা ও ব্যবহারিক দিকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া দরকার।
-
পরিবারের আকার ও কাঠামো অনুযায়ী আসবাবের পরিমাণ ও আকার নির্ধারণ করতে হবে।
-
চাকরির প্রকৃতি যেমন স্থানান্তরযোগ্য পেশা হলে হালকা ও সহজে বহনযোগ্য আসবাব উত্তম।
-
যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়া প্রয়োজন যাতে দীর্ঘস্থায়িত্ব বজায় থাকে।
-
কক্ষের আকার ও আয়তন অনুযায়ী উপযুক্ত মাপের আসবাব বেছে নেওয়া উচিত।
-
শিল্পনীতি ও উপাদান বিবেচনায় দেশীয় উৎপাদন ও মানসম্পন্ন উপকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া ভালো।

0
Updated: 2 days ago
চুল, নখ গঠনকারী প্রোটিন কোনটি?
Created: 1 day ago
A
কলাজেন
B
কেরাটিন
C
ইলষ্টিন
D
ফিব্রিনোজেন
কেরাটিন একটি তন্তুযুক্ত কাঠামোগত প্রোটিন যা মূলত চুল ও নখের প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি এই অঙ্গগুলোর দৃঢ়তা, স্থায়িত্ব এবং সুরক্ষা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
কেরাটিন (Keratin): এটি চুল ও নখকে শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং পরিবেশগত ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। কেরাটিন জল-অদ্রবণীয় এবং রাসায়নিকভাবে প্রতিরোধী, ফলে এটি চুল ও নখকে ভাঙন ও ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
-
কোলাজেন (Collagen): শরীরের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকা প্রোটিন। এটি ত্বক, হাড়, টেন্ডন ও লিগামেন্টসের সংযোজক কলা তৈরি করে এবং শরীরকে কাঠামোগত স্থায়িত্ব দেয়।
-
ইলাস্টিন (Elastin): এটি ত্বক, ধমনী ও ফুসফুসে পাওয়া যায় এবং এই অঙ্গগুলোকে নমনীয়তা ও প্রসারণযোগ্যতা দেয়, যাতে তারা প্রসারিত হয়ে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
-
ফাইব্রিনোজেন (Fibrinogen): এটি রক্তে উপস্থিত একটি প্রোটিন, যা রক্ত জমাট বাঁধা বা তঞ্চন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago