কোনটি প্রোটিন দিয়ে তৈরী নয়?
A
গ্লাইকোজেন
B
এন্টিজেন
C
এনজাইম
D
ইনসুলিন
উত্তরের বিবরণ
গ্লাইকোজেন একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate), এটি কোনো প্রোটিন নয়। এটি হলো বহু গ্লুকোজ অণু দ্বারা গঠিত একটি পলিস্যাকারাইড (Polysaccharide), যা প্রাণীদেহে শক্তি সঞ্চয়ের একটি প্রধান রূপ হিসেবে কাজ করে।
-
গঠন ও অবস্থান: গ্লাইকোজেন মূলত যকৃত (Liver) ও পেশী (Muscle) টিস্যুতে সঞ্চিত থাকে। শরীরে যখন শক্তির প্রয়োজন হয়, তখন এটি দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে কোষকে জ্বালানি সরবরাহ করে।
-
ভূমিকা: এটি শরীরের অস্থায়ী শক্তি ভাণ্ডার, যা উপবাস বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
অন্য বিকল্পগুলোর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ—
-
অ্যান্টিজেন (Antigen): এটি এমন একটি পদার্থ যা দেহে প্রবেশ করলে ইমিউন সিস্টেমকে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে উদ্দীপিত করে। অধিকাংশ অ্যান্টিজেনই প্রোটিন বা পলিস্যাকারাইড প্রকৃতির।
-
এনজাইম (Enzyme): এগুলো হলো প্রোটিনজাত অনুঘটক, যা দেহে সংঘটিত বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ইনসুলিন (Insulin): এটি একটি পেপটাইড হরমোন, যা অগ্ন্যাশয় (Pancreas) থেকে নিঃসৃত হয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে।
অতএব, গ্লাইকোজেন প্রোটিন নয়, বরং এটি একটি শক্তি সঞ্চয়কারী কার্বোহাইড্রেট যৌগ, যা প্রাণীদেহের বিপাক প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি শিশু পরিচালনার গনতান্ত্রিক পদ্ধতি?
Created: 1 day ago
A
সর্বদা বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা
B
কাজে সর্বাত্নক স্বাধীনতা দেওয়া
C
সিদ্ধান্ত গ্রহণে আলোচনা
D
ভবিষ্যতে তাকে কি হতে হবে বুঝিয়ে দেওয়া।
গণতান্ত্রিক শিশু পরিচালনা পদ্ধতি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে শিশুদের মতামত, যুক্তি এবং চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে পিতা-মাতা ও শিশু উভয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেয়, যা শিশুর মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ: এই পদ্ধতিতে পিতা-মাতা শিশুর মতামত মনোযোগ দিয়ে শোনেন, যুক্তিসঙ্গতভাবে আলোচনা করেন এবং তাদের বয়স ও বোঝার ক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন।
-
দায়িত্ববোধের বিকাশ: শিশু যখন কোনো সিদ্ধান্তে অংশ নেয়, তখন সে নিজের কাজ ও আচরণের জন্য দায়িত্ব নিতে শেখে।
-
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: মতামত প্রকাশ ও আলোচনা করার সুযোগ শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তাকে নিজের চিন্তাকে মূল্যবান বলে মনে করতে সাহায্য করে।
-
যুক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা: এ ধরনের পরিবেশে শিশু যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে শেখে এবং সমস্যার সমাধানে বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে।
-
সম্পর্কের উন্নতি: পিতা-মাতা ও শিশুর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি পায়, যা পারিবারিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।

0
Updated: 1 day ago
হরিতকির মিশ্রন থেকে তুলে আয়রন মিশ্রিত পাত্রে ডোবালে কাপড়ে কি রং পাওয়া যায়?
Created: 2 days ago
A
হলুদ
B
জলপাই
C
কালো
D
লাল
হরীতকী ব্যবহার করে রং করার প্রক্রিয়া একটি প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি, যেখানে রাসায়নিক রঞ্জকের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ উপাদান ব্যবহৃত হয়। হরীতকী কাপড়ে স্থায়ী ও উজ্জ্বল রং আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়—
-
কাপড়ের পরিমাণের অর্ধেক পরিমাণ হরীতকী (অর্ধেক পাকা ও অর্ধেক কাঁচা) নিয়ে সামান্য কাপড় কাচার সোডা মিশিয়ে একটি পাত্রে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
-
২৪ ঘণ্টা পর ৩০ মিনিট গরম করতে হবে, তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে মিশ্রণটি আলাদা রাখতে হবে।
-
অন্য একটি পাত্রে গরম পানিতে পটাশিয়াম বাইক্রোমেট পরিমাণমতো গুলে নিতে হবে।
-
কাপড়টি প্রথমে হরীতকী মিশ্রিত দ্রবণে ডুবিয়ে তুলে পরে পটাশিয়াম বাইক্রোমেট মিশ্রণে ডোবাতে হবে, এতে হলুদ রং পাওয়া যাবে।
-
যদি কাপড়টি কপার সালফেট মিশ্রণে ডোবানো হয়, তাহলে জলপাই রং উৎপন্ন হবে।
-
আর আয়রন মিশ্রণে ডোবালে কালো রং পাওয়া যাবে।
এই প্রক্রিয়ায় হরীতকী মূল রঞ্জক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধাতব যৌগের সঙ্গে বিক্রিয়ায় বিভিন্ন শেডের প্রাকৃতিক রং সৃষ্টি করে, যা কাপড়ে স্থায়ীভাবে লেগে থাকে ও সহজে ম্লান হয় না।

0
Updated: 2 days ago
সুতি কাপড়ের মান বাড়াতে কোন্ ফিনিশিং পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়?
Created: 1 day ago
A
ব্লিচিং
B
সিংজিং
C
ডিকেটিং
D
মারসেরাইজেশন
মারসেরাইজেশন (Mercerization) হলো সুতির কাপড়ের মান, উজ্জ্বলতা ও টেকসইতা বৃদ্ধি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিনিশিং প্রক্রিয়া। এতে কাপড়ের তন্তুগুলোকে রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করে তাদের গঠন ও গুণগত মান উন্নত করা হয়।
-
উদ্দেশ্য: সুতির তন্তুকে উচ্চ ঘনত্বের কস্টিক সোডা (Sodium Hydroxide) দ্রবণে টেনে ধরে রাখা অবস্থায় ডুবিয়ে রাখা হয়, যাতে তন্তুর গঠনগত পরিবর্তন ঘটে এবং মান বৃদ্ধি পায়।
-
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি (Lustre): কস্টিক সোডার প্রভাবে তন্তুর কোষ প্রাচীর ফুলে ওঠে, এর প্রাকৃতিক পেঁচানো গঠন সোজা ও মসৃণ হয়ে যায়। ফলে আলোর প্রতিফলন বৃদ্ধি পায় এবং কাপড় রেশমের মতো উজ্জ্বল দেখায়।
-
শক্তি বৃদ্ধি (Increased Strength): প্রক্রিয়াটি তন্তুর গঠনকে আরও সুষম ও ঘন করে তোলে, ফলে এর শক্তি প্রায় ২০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
-
রং শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি (Improved Dye Affinity): মারসেরাইজড তন্তুতে রং সহজে প্রবেশ করে ও গাঢ়ভাবে আটকে থাকে, যার ফলে কাপড়ের রঙের গভীরতা ও স্থায়িত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।
-
অতিরিক্ত সুবিধা: এই প্রক্রিয়া কাপড়কে নরম, টানটান ও টেকসই করে, ফলে এর দৃষ্টিনন্দনতা ও ব্যবহারযোগ্যতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

0
Updated: 1 day ago