নিয়ন্ত্রনের ধাপ কোনটি
A
কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন
B
পর্যবেক্ষণ
C
কর্ম বিন্যাস
D
প্রশিক্ষণ
উত্তরের বিবরণ
প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ (Control) হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যা নিশ্চিত করে যে কাজগুলো নির্ধারিত মান ও লক্ষ্য অনুযায়ী সম্পন্ন হচ্ছে। এটি কর্মসম্পাদনের গুণমান, অগ্রগতি এবং বিচ্যুতি শনাক্ত করে সেগুলোর সমাধান নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
শক্তি প্রয়োগ বা সক্রিয়করণ (Activating/Energizing): কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ, জনবল ও শক্তি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়।
-
পর্যবেক্ষণ (Checking/Monitoring): এটি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মূল ধাপ। এখানে কাজের অগ্রগতি ও মান নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করা হয় এবং নির্ধারিত মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
-
নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন (Adjusting/Correcting): যদি কাজের মধ্যে কোনো ত্রুটি বা বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তবে তা সংশোধন করে কাজকে পুনরায় পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ে আসা হয়।
-
ফলাফল বিশ্লেষণ: এই ধাপে কাজের ফলাফল ও মান বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করা হয়।
-
প্রতিক্রিয়া (Feedback): নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার শেষে প্রাপ্ত তথ্য পরবর্তী পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে, যা নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন ও মান রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
শিশুর জন্য দুধ খাওয়া অত্যাবশ্যক কেন?
Created: 2 days ago
A
হাঁড় ও দাঁতের গঠনের জন্য
B
মেধাবিকাশের জন্য
C
রোগমুক্ত থাকার জন্য
D
সহজপাচ্য ও দ্রুত খাওয়া যায়
দুধ শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও হাড়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ এতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি উভয়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। এই দুই পুষ্টি উপাদান একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে তোলে।
-
ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠন, দৃঢ়তা ও সঠিক বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
-
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না পেলে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে অস্টিওপরোসিস (Osteoporosis) নামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
-
ভিটামিন ডি দেহে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, অর্থাৎ এটি ক্যালসিয়ামকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
-
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ক্যালসিয়াম যথাযথভাবে শোষিত হয় না, ফলে হাড় নরম বা দুর্বল হতে পারে, যা রিকেটস (Rickets) নামক রোগের কারণ হতে পারে।
-
দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি একত্রে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
-
এই কারণে দুধকে শিশু ও কিশোরদের জন্য সুষম খাদ্যের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

0
Updated: 2 days ago
মধ্য শৈশবের বিকাশমূলক কাজ কোনটি?
Created: 2 days ago
A
শরীর বৃত্তীয় দক্ষতা অর্জন
B
সমবয়সীদের সাথে সঠিক আচরণ করতে শেখা
C
শক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে শেখা
D
সঠিকভাবে বাক্য গঠন করতে পারা
মধ্য শৈশব (Middle Childhood) সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের সময়কালকে বোঝায়। এই পর্যায় শিশুর জীবনে শারীরিক, মানসিক, ভাষাগত ও সামাজিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে সামাজিক বিকাশে এই সময়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
সামাজিক বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু: এই বয়সে শিশুর আগ্রহ ধীরে ধীরে পরিবার থেকে সমবয়সীদের (Peers) দিকে সরে যায়। বন্ধুত্ব, দলবদ্ধ খেলা ও সহপাঠীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাই সামাজিক বিকাশের প্রধান দিক হয়ে ওঠে।
-
সামাজিক নিয়ম শেখা: বন্ধুত্ব ও দলগত কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, আপোষ, নিয়ম মেনে চলা এবং দ্বন্দ্ব নিরসন করার মতো জটিল সামাজিক দক্ষতা রপ্ত করে। এটি ভবিষ্যৎ সামাজিক জীবনের জন্য এক শক্ত ভিত্তি তৈরি করে।
-
শরীরবৃত্তীয় দক্ষতার বিকাশ: হাঁটা, দৌড়ানো, লাফানোর মতো মৌলিক Gross Motor Skills প্রাথমিক শৈশবে গড়ে ওঠে, তবে মধ্য শৈশবে সেগুলো আরও পরিমার্জিত হয়ে খেলাধুলা ও ক্রীড়াকর্মে প্রয়োগযোগ্য হয়।
-
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: শৈশবকালীন (Infancy) পর্যায়ে শিশুর শক্ত খাদ্য গ্রহণের দক্ষতা বিকশিত হয়, যা মধ্য শৈশবে আরও নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে পরিণত হয়।
-
ভাষাগত দক্ষতা: প্রাক-বিদ্যালয় (২–৫ বছর) পর্যায়ে ভাষা ও বাক্য গঠনের ভিত্তি স্থাপিত হয়, আর মধ্য শৈশবে শিশু জটিল বাক্য ব্যবহার করে গল্প বলা, যুক্তি উপস্থাপন ও মতামত প্রকাশে দক্ষ হয়ে ওঠে।
-
এই পর্যায়েই শিশুর মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, দায়িত্ববোধ ও আত্মপরিচয়ের বোধ বিকাশ লাভ করে, যা কৈশোরে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 2 days ago
বর্ণ আভা কোনটি?
Created: 1 day ago
A
লাল+নীল=বেগুনী
B
লাল+কালো+মেরুন
C
লাল+হলুদ=কমলা
D
লাল+সাদা=গোলাপী
রঙের জগতে মৌলিক, গৌণ, প্রান্তিক ও শেড–টিন্টের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোর মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের রঙ তৈরি ও চিত্রকলায় ব্যবহার করা সম্ভব হয়। প্রতিটি রঙের ধরন নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং শিল্প, নকশা বা পোশাক নির্মাণে তা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১. মৌলিক রং: লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটি মৌলিক রং অন্য কোনো রঙের সংমিশ্রণে তৈরি করা যায় না। এদের মাধ্যমেই অন্যান্য সব রঙের জন্ম হয়।
২. গৌণ বা মিশ্র রং: দুটি মৌলিক রং সমপরিমাণে মিশিয়ে গৌণ বা মাধ্যমিক রং তৈরি করা হয়। উদাহরণ—
-
লাল + হলুদ = কমলা
-
নীল + হলুদ = সবুজ
-
লাল + নীল = বেগুনি
৩. প্রান্তিক রং: একটি মৌলিক রং ও একটি মাধ্যমিক রং মিশিয়ে প্রান্তিক রং তৈরি হয়। উদাহরণ— -
লাল + বেগুনি = লালচে বেগুনি
-
হলুদ + কমলা = হলুদাভ কমলা
-
নীল + সবুজ = নীলাভ সবুজ
৪. শেড (Shade): কোনো রঙের সঙ্গে কালো মেশালে যে গাঢ় রং তৈরি হয়, তাকে শেড বলা হয়। যেমন—লাল + কালো = মেরুন।
৫. টিন্ট (Tint) বা বর্ণ আভা: কোনো রঙের সঙ্গে সাদা মেশালে যে হালকা রং সৃষ্টি হয়, তাকে টিন্ট বলা হয়। যেমন—লাল + সাদা = গোলাপী।
৬. রঙের ভারসাম্য ও সৃজনশীলতা: এই মৌলিক নীতিগুলির সাহায্যে অসংখ্য নতুন রঙের সংমিশ্রণ তৈরি করা যায়, যা চিত্রকলা, পোশাক নকশা ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ দেয়।

0
Updated: 1 day ago