শিশুর কোন্ ধরনের বিকাশ পরিমাপযোগ্য?
A
ভাষাগত
B
বুদ্ধিগত
C
মানসিক
D
নৈতিক
উত্তরের বিবরণ
শিশুর বিকাশ সাধারণত চারটি প্রধান ক্ষেত্রে বিভক্ত—শারীরিক, মানসিক (বুদ্ধিগত/জ্ঞানীয়), সামাজিক ও আবেগিক বিকাশ। এর মধ্যে বুদ্ধিগত বা জ্ঞানীয় বিকাশ সবচেয়ে পরিমাপযোগ্য, কারণ এটি শিশুর চিন্তা, শেখা, বোঝা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই বিকাশ শিশুর বয়স ও পরিবেশ অনুযায়ী ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পায়।
১. বুদ্ধিগত বিকাশ পরিমাপের জন্য স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট ব্যবহার করা হয়, যেমন IQ পরীক্ষা, যা শিশুর মানসিক সক্ষমতার একটি সংখ্যাগত মান প্রদান করে।
২. জঁ পিয়াজের (Jean Piaget) তত্ত্ব অনুযায়ী, শিশু বুদ্ধিগত বিকাশের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে—যেমন Sensory-Motor Stage, Pre-Operational Stage, ইত্যাদি।
৩. শিশুর problem-solving skills, memory development, language understanding, ও logical reasoning এর মাধ্যমে তার জ্ঞানীয় অগ্রগতি মূল্যায়ন করা যায়।
৪. এই বিকাশ শিশুর শেখার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা এবং বাস্তব জীবনে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতার ভিত্তি তৈরি করে।

0
Updated: 1 day ago
কিভাবে প্রধান্য সৃষ্টি করা যায়?
Created: 1 day ago
A
শিল্প নীতির সঠিক প্রয়োগ
B
ব্যয় বহুল শো-পিস সাজিয়ে
C
অনুপাতের গ্রীক দেশীয় নীতি ব্যবহার করে
D
ইকেবানা পদ্ধতিতে ফুল সাজিয়ে
নকশা বা সাজসজ্জার ক্ষেত্রে প্রাধান্য (Emphasis) এমন একটি নকশা নীতি যা দর্শকের দৃষ্টি একটি নির্দিষ্ট অংশে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে। এটি মূলত শিল্পকলার বিভিন্ন নীতির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যাতে কোনো নির্দিষ্ট উপাদানকে কেন্দ্রবিন্দু বা ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে ফুটিয়ে তোলা যায়।
-
বৈসাদৃশ্য (Contrast): বড় ও উজ্জ্বল রঙের বস্তুর পাশে ছোট বা অনুজ্জ্বল বস্তু রাখলে দৃষ্টি স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল অংশে পড়ে।
-
আকার ও স্থান (Size and Space): অস্বাভাবিক বা বড় আকারের বস্তু ব্যবহার করলে তা দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্রবিন্দু তৈরি করে।
-
স্থানিক অবস্থান (Placement): কোনো বস্তুকে এমন স্থানে স্থাপন করা হয় যেখানে আলো, দৃষ্টি বা রেখার গতি এসে মিলিত হয়, ফলে সেটি চোখে পড়ে।
-
ছন্দ ও পুনরাবৃত্তি ভাঙা: নকশার চলমান ছন্দ হঠাৎ ভেঙে দিয়ে ভিন্ন কোনো উপাদান যুক্ত করলে তা তাৎক্ষণিকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করে।
-
রঙ ও টেক্সচার: গাঢ়, উজ্জ্বল বা বিপরীতধর্মী রঙ এবং ভিন্ন টেক্সচার ব্যবহার করলেও প্রাধান্য সহজে সৃষ্টি হয়।
-
সমন্বিত ভারসাম্য: প্রাধান্য যেন নকশার অন্য উপাদানগুলিকে ছাপিয়ে না যায়, বরং সামগ্রিক সৌন্দর্য বজায় রাখে—এ দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি গৃহ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব?
Created: 1 day ago
A
অধিকাংশ কাজ নিজে করা
B
গৃহ সম্পদের সীমিত ব্যবহার করা
C
গৃহে সদস্যদের পারস্পিরিক সম্ভাব বজায় রাখা
D
স্বল্প মূল্যের পণ্য ক্রয় করা
গৃহ ব্যবস্থাপকের (Home Manager) মূল দায়িত্ব হলো পরিবারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং পরিবারে একটি শান্তিপূর্ণ, সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখা। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা এই ভূমিকার একটি অপরিহার্য দিক, যা গৃহ ব্যবস্থাপনার সামাজিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
-
পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ, সহযোগিতা ও বোঝাপড়া বজায় রাখা গৃহ ব্যবস্থাপনার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এতে সদস্যদের মধ্যে সংঘাত কমে এবং সবাই পারিবারিক লক্ষ্যে একসাথে কাজ করতে উৎসাহিত হয়।
-
ব্যবস্থাপনার ধাপের সঙ্গে সম্পর্ক: এই দায়িত্ব সংগঠন ও নিয়ন্ত্রণ—দুই ধাপের সাথেই সম্পর্কিত, কারণ সুসম্পর্ক থাকলে কাজের বণ্টন ও পর্যবেক্ষণ সহজ হয়।
-
ভুল ধারণাগুলোর ব্যাখ্যা:
-
ক) অধিকাংশ কাজ নিজে করা: ভালো ব্যবস্থাপক সব কাজ নিজে করেন না; বরং সঠিকভাবে দায়িত্ব বণ্টন করে পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ত করেন।
-
খ) গৃহ সম্পদের সীমিত ব্যবহার করা: গৃহ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য সীমিত ব্যবহার নয়, বরং সম্পদের সর্বোচ্চ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
ঘ) স্বল্প মূল্যের পণ্য ক্রয় করা: সর্বদা কম দামে কেনা নয়, বরং গুণগত মান বজায় রেখে অর্থের সর্বোচ্চ মূল্য (Value for Money) নিশ্চিত করাই প্রকৃত দক্ষ ব্যবস্থাপনার অংশ।
-
-
অতিরিক্ত তথ্য: সফল গৃহ ব্যবস্থাপক পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে যোগাযোগ, পরিকল্পনা ও ভারসাম্য বজায় রাখেন, যা কেবল সম্পদ নয়, বরং সময়, শ্রম ও আবেগের সঠিক ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত করে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি শুদ্ধভাষা শিখার সঠিক কৌশল?
Created: 1 day ago
A
অতি ধীরে স্পষ্টভাবে কথা কলা
B
খুব সহজ শব্দ ব্যবহার করা
C
অপরিচিত শব্দের পরিচিত বিকল্প না দেয়া
D
কথায় পুনরাবৃত্তি করা
অতি ধীরে ও স্পষ্টভাবে কথা বলা শুদ্ধ ভাষা শেখা ও শেখানোর একটি কার্যকর কৌশল, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের সঠিক উচ্চারণ, শব্দবিন্যাস ও শ্রবণ-অনুধাবন ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করে।
-
স্পষ্ট উচ্চারণ ও বোধগম্যতা: ধীরে কথা বললে শ্রোতা প্রতিটি শব্দের ধ্বনি, উচ্চারণ ও অর্থ স্পষ্টভাবে শুনতে ও বুঝতে পারে, ফলে ভাষার ধ্বনিগত উপাদান (Phonetics) সঠিকভাবে আয়ত্ত করা সহজ হয়।
-
অনুকরণের সুবিধা: শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে, তাই ধীর ও স্পষ্ট উচ্চারণে বলা কথা তারা সহজেই স্বরক্ষেপণ (Intonation), শব্দপ্রবাহ ও বাক্যগঠন অনুকরণ করতে পারে।
-
ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ধীরে বলা শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পর্যাপ্ত সময় দেয়, ফলে তারা নতুন শব্দ ও ভাষা কাঠামো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ধারণ করতে সক্ষম হয়।
-
যোগাযোগের মানোন্নয়ন: স্পষ্টভাবে কথা বলার অভ্যাস ভাষার বোধগম্যতা ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা শেখা ও শেখানোর উভয় প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago