A
বাদী
B
সভানেত্রী
C
জেলেনি
D
পেত্নী
উত্তরের বিবরণ
জেলেনি শব্দটি নি প্রত্যয়যোগে গঠিত একটি স্ত্রীবাচক শব্দ। এখানে: জেলে (মূল শব্দ) + নি (স্ত্রীবাচক প্রত্যয়) = জেলেনি। এই শব্দটি জেলে পেশায় নিযুক্ত নারীদের বোঝাতে ব্যবহার হয়।

0
Updated: 2 days ago
'মেছো' শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় কী?
Created: 1 week ago
A
মাছ + ও
B
মেছ + ও
C
মাছি + উয়া > ও
D
মাছ + উয়া > ও
মাছ + উয়া > ও = মাছুয়া > মেছো।
• তদ্ধিত প্রত্যয়ের নিয়ম:
(উয়া > ও) তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দগুলো হলো:
- গাছ + উয়া = গাছুয়া > গেছো;
- গাঁ + উয়া = গাঁউয়া > গেঁয়ো;
- ঝড় + উয়া = ঝড়ুয়া > ঝড়ো;
- বন + উয়া = বনুয়া > বউন্যা > বুনো;
- টাক + উয়া = টাকুয়া > টেকো;
- মাছ + উয়া = মাছুয়া > মেছো।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 week ago
কোন শব্দে ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
ঠগী
B
পানাস
C
পাঠক
D
সেলামী
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ নবম-দশম শ্রেণি ২০১৯ সংস্করণ অনুসারে,
• √পাঠ্ + অক = পাঠক, পাঠ ধাতুর সাথে 'অক' কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
• পাঠক (বিশেষ্য)
- এটি সংস্কৃত শব্দ,
- পাঠক শব্দের যথার্থ প্রকৃতি-প্রত্যয় = √পাঠি+অক;
অর্থ: পাঠকারী, ছাত্র, কথক, শিক্ষক।
সুতরাং অপশন অনুসারে, সঠিক উত্তর অপশন ‘খ’।

0
Updated: 2 months ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 1 month ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশে
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পেছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ
উপসর্গ হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা অন্য শব্দের শুরুর দিকে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে। নিজের কোনো স্বাধীন অর্থ না থাকলেও, উপসর্গ নতুন শব্দ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উদাহরণ:
-
অ + জানা = অজানা
-
অভি + যোগ = অভিযোগ
-
বে + তার = বেতার
এখানে “অ”, “অভি”, “বে” – এগুলো উপসর্গ।
বৈশিষ্ট্য:
-
উপসর্গ শব্দের আগে বসে।
-
এগুলোর নিজস্ব অর্থ নেই, তবে এগুলো অর্থ সৃষ্টি করে এমন শব্দ গঠনে সাহায্য করে।
-
বাংলা ভাষায় প্রায় ৫০টির মতো উপসর্গ ব্যবহার হয়।
ধরন:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলো তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
-
বিদেশি উপসর্গ
প্রত্যয়
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
বাঘ + আ = বাঘা
-
দিন + ইক = দৈনিক
বৈশিষ্ট্য:
-
প্রত্যয় শেষে বসে।
-
এগুলো স্বাধীন অর্থ বহন করে না তবে শব্দের রূপ ও অর্থ পরিবর্তনে সাহায্য করে।
প্রকারভেদ:
প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার:
১. কৃৎ প্রত্যয়
-
যে প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।
উদাহরণ: -
চল (ধাতু) + অন্ত = চলন্ত
-
কৃ (ধাতু) + তব্য = কর্তব্য
👉 কৃৎ প্রত্যয় হতে পারে:
-
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
-
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
২. তদ্ধিত প্রত্যয়
-
যে প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।
উদাহরণ: -
চোর + আ = চোরা
-
কেষ্ট + আ = কেষ্টা
-
ডিঙি + আ = ডিঙা
-
বাঘ্ + আ = বাঘা
-
হাত্ + আ = হাতা
তথ্যসূত্র:
"বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি" – নবম-দশম শ্রেণি, ২০২২ সংস্করণ।

0
Updated: 1 month ago