প্রারিম্ভিক শৈশবকালে আক্রমনাত্মক আচরণ প্রবনতা দূরীকরনে কোনটি করণীয়?
A
সমবয়সীদের সাথে মিশতে না দেয়া
B
বিষয়টিকে কম গুরুত্ব দেয়া
C
ব্যক্তি স্বাতন্ত্র অনুযায়ী সমঝোতায় আসা
D
তার খারাপ দিকগুলো স্বরণ করিয়ে দেয়া
উত্তরের বিবরণ
শৈশবের আক্রমণাত্মক আচরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ব্যক্তি স্বাতন্ত্র অনুযায়ী সমঝোতায় আসা, অর্থাৎ প্রতিটি শিশুর আচরণের কারণ ও মানসিক প্রয়োজন আলাদা হওয়ায় তাকে সেই অনুযায়ী বোঝা ও সহায়তা করা। এটি শিশুর মানসিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং দীর্ঘস্থায়ী আচরণগত পরিবর্তন আনে।
-
কারণ শনাক্তকরণ: প্রতিটি শিশুর আক্রমণাত্মক আচরণের পেছনে ভিন্ন কারণ থাকতে পারে—যেমন অতিরিক্ত উত্তেজনা, পর্যাপ্ত মনোযোগ না পাওয়া, হতাশা, বা ভাষাগত সীমাবদ্ধতা।
-
বোঝাপড়া ও সংলাপ: শিশুর আচরণের কারণ বুঝে আলোচনা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে তাকে বোঝানো হয় যে আক্রমণাত্মক হওয়া চাহিদা প্রকাশের সঠিক উপায় নয়।
-
বিকল্প আচরণ শেখানো: শিশুকে ইতিবাচক ও গ্রহণযোগ্য উপায়ে নিজেকে প্রকাশ করতে শেখানো হয়, যেমন কথা বলে সমস্যা জানানো বা সাহায্য চাওয়া।
-
গঠনমূলক ফলাফল: এই প্রক্রিয়া শিশুর মধ্যে সহানুভূতি, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক দক্ষতা গড়ে তোলে, যা ভবিষ্যতে সংঘাত মোকাবিলায় সহায়ক হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: গবেষণায় দেখা গেছে, শাস্তির পরিবর্তে সমঝোতা, সহানুভূতি ও ইতিবাচক উৎসাহ ব্যবহার করলে শিশুর আক্রমণাত্মক প্রবণতা ধীরে ধীরে কমে এবং সে আবেগ নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী হয়ে ওঠে।

0
Updated: 1 day ago
চুল, নখ গঠনকারী প্রোটিন কোনটি?
Created: 1 day ago
A
কলাজেন
B
কেরাটিন
C
ইলষ্টিন
D
ফিব্রিনোজেন
কেরাটিন একটি তন্তুযুক্ত কাঠামোগত প্রোটিন যা মূলত চুল ও নখের প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি এই অঙ্গগুলোর দৃঢ়তা, স্থায়িত্ব এবং সুরক্ষা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
কেরাটিন (Keratin): এটি চুল ও নখকে শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং পরিবেশগত ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। কেরাটিন জল-অদ্রবণীয় এবং রাসায়নিকভাবে প্রতিরোধী, ফলে এটি চুল ও নখকে ভাঙন ও ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
-
কোলাজেন (Collagen): শরীরের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকা প্রোটিন। এটি ত্বক, হাড়, টেন্ডন ও লিগামেন্টসের সংযোজক কলা তৈরি করে এবং শরীরকে কাঠামোগত স্থায়িত্ব দেয়।
-
ইলাস্টিন (Elastin): এটি ত্বক, ধমনী ও ফুসফুসে পাওয়া যায় এবং এই অঙ্গগুলোকে নমনীয়তা ও প্রসারণযোগ্যতা দেয়, যাতে তারা প্রসারিত হয়ে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
-
ফাইব্রিনোজেন (Fibrinogen): এটি রক্তে উপস্থিত একটি প্রোটিন, যা রক্ত জমাট বাঁধা বা তঞ্চন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago
লাই পরীক্ষায় তন্তু দুটি সম্পূর্ণভাবে দ্রবীভূত হয়ে যাবে?
Created: 1 day ago
A
রেশম ও পশম
B
নাইলন ও রেশম
C
তুলা ও লিনেন
D
পশম ও ফ্ল্যাক্স
লাই পরীক্ষা হলো এমন একটি রাসায়নিক পরীক্ষা, যেখানে তন্তুগুলোকে শক্ত ক্ষার (strong alkali) দ্রবণে রেখে তাদের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মাধ্যমে তন্তুর প্রকারভেদ নির্ণয় করা যায়, কারণ বিভিন্ন তন্তু ক্ষারের সঙ্গে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে।
-
প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যেমন রেশম (Silk) ও পশম (Wool) ক্ষার দ্রবণে দ্রুত দ্রবীভূত হয়ে যায়, কারণ এদের গঠন প্রোটিনভিত্তিক এবং ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ভেঙে যায়।
-
নাইলন (Nylon) একটি সিনথেটিক পলিমার, যা ক্ষারের সঙ্গে খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া করে না, ফলে এটি সহজে দ্রবীভূত হয় না।
-
তুলা (Cotton) ও লিনেন (Linen) হলো সেলুলোজ তন্তু, যা ক্ষারে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয় না।
-
পশম ও ফ্ল্যাক্স (Flax) তুলনা করলে দেখা যায়, ফ্ল্যাক্স ধীরে ক্ষারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু এটি দ্রবীভূত হয় না, যেখানে পশম সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয়।
-
এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়, তন্তুর রাসায়নিক গঠনই ক্ষারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার ধরন নির্ধারণ করে, ফলে এটি বস্ত্র শিল্পে তন্তু শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago
বর্ণ আভা কোনটি?
Created: 1 day ago
A
লাল+নীল=বেগুনী
B
লাল+কালো+মেরুন
C
লাল+হলুদ=কমলা
D
লাল+সাদা=গোলাপী
রঙের জগতে মৌলিক, গৌণ, প্রান্তিক ও শেড–টিন্টের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোর মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের রঙ তৈরি ও চিত্রকলায় ব্যবহার করা সম্ভব হয়। প্রতিটি রঙের ধরন নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং শিল্প, নকশা বা পোশাক নির্মাণে তা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১. মৌলিক রং: লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটি মৌলিক রং অন্য কোনো রঙের সংমিশ্রণে তৈরি করা যায় না। এদের মাধ্যমেই অন্যান্য সব রঙের জন্ম হয়।
২. গৌণ বা মিশ্র রং: দুটি মৌলিক রং সমপরিমাণে মিশিয়ে গৌণ বা মাধ্যমিক রং তৈরি করা হয়। উদাহরণ—
-
লাল + হলুদ = কমলা
-
নীল + হলুদ = সবুজ
-
লাল + নীল = বেগুনি
৩. প্রান্তিক রং: একটি মৌলিক রং ও একটি মাধ্যমিক রং মিশিয়ে প্রান্তিক রং তৈরি হয়। উদাহরণ— -
লাল + বেগুনি = লালচে বেগুনি
-
হলুদ + কমলা = হলুদাভ কমলা
-
নীল + সবুজ = নীলাভ সবুজ
৪. শেড (Shade): কোনো রঙের সঙ্গে কালো মেশালে যে গাঢ় রং তৈরি হয়, তাকে শেড বলা হয়। যেমন—লাল + কালো = মেরুন।
৫. টিন্ট (Tint) বা বর্ণ আভা: কোনো রঙের সঙ্গে সাদা মেশালে যে হালকা রং সৃষ্টি হয়, তাকে টিন্ট বলা হয়। যেমন—লাল + সাদা = গোলাপী।
৬. রঙের ভারসাম্য ও সৃজনশীলতা: এই মৌলিক নীতিগুলির সাহায্যে অসংখ্য নতুন রঙের সংমিশ্রণ তৈরি করা যায়, যা চিত্রকলা, পোশাক নকশা ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ দেয়।

0
Updated: 1 day ago