কোনাট শিশুর শৃংখলাবোধ গঠনে সহায়ক?
A
স্নেহ ও ভালবাসা
B
প্রশংসা ও শাস্তি
C
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
D
চাহিদা ও প্রত্যাশা
উত্তরের বিবরণ
শিশুর শৃঙ্খলাবোধ বা আত্মনিয়ন্ত্রণ (Discipline/Self-Control) বিকাশের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এটি শিশুকে শুধু নিয়ম মানতে নয়, বরং নিজের আচরণ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করতেও সহায়তা করে।
-
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অর্থ: এর মাধ্যমে শিশুকে সমাজে গ্রহণযোগ্য নিয়ম-কানুন, নৈতিক মূল্যবোধ ও সামাজিক আচরণবিধি সম্পর্কে শেখানো হয়। শিক্ষার লক্ষ্য শুধু জ্ঞানার্জন নয়, বরং সঠিক আচরণ গড়ে তোলা।
-
আচরণ নিয়ন্ত্রণ: প্রশিক্ষণ শিশুকে শেখায় কখন, কেন ও কীভাবে নিজের আবেগ, রাগ, বা অপ্রত্যাশিত আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এর ফলে শিশুর মধ্যে ধৈর্য, দায়িত্ববোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
-
দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব: এই প্রক্রিয়া শিশুর মধ্যে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাবোধ তৈরি করে, যা বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে নিজস্ব বিবেক ও উপলব্ধি দ্বারা পরিচালিত হয়। সময়ের সঙ্গে এটি শিশুর চরিত্রগঠন, আত্মসম্মান ও সামাজিক দায়িত্ববোধের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago
নমনীয় ও বহুমুখী আসবারের বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 1 day ago
A
সহজে স্থানান্তরযোগ্য
B
স্থান সংকটের সমাধান করে
C
তুলনামূলকভাবে সস্তা
D
সব ধরনের পরিবারের জন্য কার্যকর
নমনীয় ও বহুমুখী আসবাবপত্র (Flexible and Multifunctional Furniture) এমন ধরনের আসবাব, যা একই সঙ্গে একাধিক কাজে ব্যবহার করা যায় এবং প্রয়োজনে আকার বা রূপ পরিবর্তন করতে সক্ষম। আধুনিক জীবনযাপনে, বিশেষ করে ছোট অ্যাপার্টমেন্ট বা সীমিত পরিসরের বাসস্থানে, এই ধরনের আসবাবপত্র স্থান সাশ্রয় ও ব্যবহারিক সুবিধা নিশ্চিত করে।
১. স্থান সাশ্রয়: এই আসবাবপত্র ঘরের অপ্রয়োজনীয় ভিড় কমিয়ে কার্যকরভাবে স্থান ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
২. বহুমুখী ব্যবহার: একটিমাত্র আসবাব একাধিক কাজে ব্যবহার করা যায়, যেমন—সোফা কাম বেড, ফোল্ডিং টেবিল, বা মডুলার ক্যাবিনেট।
৩. রূপ পরিবর্তনের সুবিধা: প্রয়োজনে এগুলো ভাঁজ করা, প্রসারিত করা বা স্থানান্তর করা যায়, যা ঘরের বিন্যাস পরিবর্তনে সুবিধা দেয়।
৪. কার্যকারিতা: বসা, শোয়া, কাজ করা বা জিনিস সংরক্ষণের মতো বিভিন্ন কাজ একই আসবাব দিয়ে করা সম্ভব।
৫. সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা: এই আসবাবপত্র ঘরকে সুবিন্যস্ত (Organized) ও প্রশস্ত (Spacious) দেখাতে সহায়তা করে, যা আধুনিক ও নান্দনিক গৃহসজ্জার একটি অপরিহার্য অংশ।

0
Updated: 1 day ago
গৃহ সম্পদের বৈশিষ্ট কোনটি?
Created: 1 day ago
A
সম্পদের আয়ত্বাধীনতা
B
পরস্পর নির্ভরশীলতা
C
ব্যবহারের অফুরন্ত সুযোগ
D
সম্পদের অসীমতা
গৃহ সম্পদের বৈশিষ্ট্যগুলো এমন কিছু গুণ যা পরিবারকে তার চাহিদা পূরণ ও লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। প্রতিটি সম্পদের নির্দিষ্ট কার্যকারিতা, ব্যবহারযোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো সম্ভব।
-
উপযোগী (Utility): সম্পদের মূল গুণ হলো এটি মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানির উপযোগিতা বেশি, কারণ তখন তা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন পূরণ করে।
-
আয়ত্তাধীন (Accessibility): কোনো সম্পদ ব্যবহারের জন্য সেটি পরিবারের নিয়ন্ত্রণ বা মালিকানার আওতায় থাকা জরুরি। যেমন—নিজস্ব জমি, বাড়ি বা অর্থ কেবল তখনই কাজে লাগানো যায় যখন তা পরিবারের আওতায় থাকে।
-
সীমাবদ্ধতা (Limitation): সব সম্পদই পরিমাণ ও গুণগত দিক থেকে সীমিত। যেমন—সময়, শক্তি ও অর্থ সবসময় পর্যাপ্ত নয়, তাই এগুলোর সঠিক পরিকল্পনা ও বণ্টন প্রয়োজন।
-
পরস্পর পরিবর্তনশীল (Inter-changeability): সম্পদকে প্রয়োজনে বিকল্প কাজে ব্যবহার বা রূপান্তর করা যায়। যেমন—পুরনো জামা দিয়ে কাঁথা বা ব্যাগ তৈরি করা সম্পদের সৃজনশীল ব্যবহার নির্দেশ করে।
-
পরিচালনা যোগ্যতা (Manageability): সম্পদের পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা করলে পারিবারিক লক্ষ্য সহজে অর্জন করা যায়। কার্যকর ব্যবস্থাপনা পরিবারে অর্থনৈতিক স্থিতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
-
অতিরিক্ত তথ্য: গৃহ সম্পদের মধ্যে সময়, শ্রম, অর্থ, দক্ষতা ও সামগ্রী—সবই পরস্পর নির্ভরশীল। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এগুলো পরিবারের কল্যাণ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 1 day ago
একজন রি-অ্যাকটিভ তরুণের মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্যটি দেখা যায়?
Created: 1 day ago
A
ধৈর্যশীল
B
আবেগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা
C
হঠাৎ রেগে যাওয়া
D
অসামাজিক আচরণ
রি-অ্যাকটিভ তরুণ এমন ব্যক্তি, যিনি বাইরের পরিস্থিতি বা ঘটনার প্রতি দ্রুত আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা সাধারণত চিন্তা-ভাবনা না করে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়, যার ফলে তাদের আচরণ প্রায়ই অস্থির ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ওঠে।
১. পরিস্থিতিনির্ভর প্রতিক্রিয়া: রি-অ্যাকটিভ তরুণ নিজের চিন্তা বা যুক্তির চেয়ে বাইরের ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়; অর্থাৎ পরিস্থিতিই তাদের আচরণ নির্ধারণ করে।
২. আবেগপ্রবণতা: তারা হঠাৎ রেগে যায় বা মনোভাব পরিবর্তন করে ফেলে। তাদের সিদ্ধান্ত ও আচরণ আবেগের বশে ঘটে, ফলে তারা পরবর্তীতে অনুতপ্ত হতে পারে।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব: তারা আবেগ ও রাগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বল, যার ফলে সম্পর্ক ও সামাজিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
৪. তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া: চিন্তা বা বিশ্লেষণের সময় না নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো তাদের স্বভাবের অংশ।
৫. ব্যক্তিত্বগত প্রভাব: এই ধরনের আচরণ আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, মানসিক চাপ, বা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
৬. সামাজিক ও মানসিক ফলাফল: রি-অ্যাকটিভ আচরণের ফলে ব্যক্তি প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মানসিক অস্থিরতার শিকার হয়।

0
Updated: 1 day ago