গৃহ ব্যবস্থাপনা পরিবারের কোন দিকটি নির্দেশ করে?
A
আর্থিক
B
প্রশাসনিক
C
সামাজিক
D
আর্থ সামাজিক
উত্তরের বিবরণ
গৃহ ব্যবস্থাপনা হলো পরিবারের প্রশাসনিক দিক, যা পরিবারকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি পরিবারের লক্ষ্য পূরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে।
১. পরিকল্পনা (Planning): পরিবারের লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী কার্যপন্থা ও সময়সূচি তৈরি করা হয়।
২. সংগঠন (Organizing): পরিবারের সদস্য ও সম্পদকে দক্ষভাবে ভাগ করে কাজের মধ্যে সমন্বয় আনা হয়।
৩. নিয়ন্ত্রণ (Controlling): গৃহস্থালির কাজের অগ্রগতি ও ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয় যাতে কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।
৪. মূল্যায়ন (Evaluating): সম্পন্ন কাজের ফলাফল পর্যালোচনা করে ভুলত্রুটি সংশোধন ও ভবিষ্যতের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়।
৫. সারমর্ম: গৃহ ব্যবস্থাপনা একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা পরিবারের সময়, অর্থ, পরিশ্রম ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে সুখী ও সুশৃঙ্খল পারিবারিক জীবন গঠনে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago
শিশুর জন্য দুধ খাওয়া অত্যাবশ্যক কেন?
Created: 2 days ago
A
হাঁড় ও দাঁতের গঠনের জন্য
B
মেধাবিকাশের জন্য
C
রোগমুক্ত থাকার জন্য
D
সহজপাচ্য ও দ্রুত খাওয়া যায়
দুধ শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও হাড়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ এতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি উভয়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। এই দুই পুষ্টি উপাদান একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে তোলে।
-
ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠন, দৃঢ়তা ও সঠিক বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
-
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না পেলে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে অস্টিওপরোসিস (Osteoporosis) নামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
-
ভিটামিন ডি দেহে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, অর্থাৎ এটি ক্যালসিয়ামকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
-
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ক্যালসিয়াম যথাযথভাবে শোষিত হয় না, ফলে হাড় নরম বা দুর্বল হতে পারে, যা রিকেটস (Rickets) নামক রোগের কারণ হতে পারে।
-
দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি একত্রে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
-
এই কারণে দুধকে শিশু ও কিশোরদের জন্য সুষম খাদ্যের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

0
Updated: 2 days ago
শিশুর কোন্ ধরনের বিকাশ পরিমাপযোগ্য?
Created: 1 day ago
A
ভাষাগত
B
বুদ্ধিগত
C
মানসিক
D
নৈতিক
শিশুর বিকাশ সাধারণত চারটি প্রধান ক্ষেত্রে বিভক্ত—শারীরিক, মানসিক (বুদ্ধিগত/জ্ঞানীয়), সামাজিক ও আবেগিক বিকাশ। এর মধ্যে বুদ্ধিগত বা জ্ঞানীয় বিকাশ সবচেয়ে পরিমাপযোগ্য, কারণ এটি শিশুর চিন্তা, শেখা, বোঝা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই বিকাশ শিশুর বয়স ও পরিবেশ অনুযায়ী ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পায়।
১. বুদ্ধিগত বিকাশ পরিমাপের জন্য স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট ব্যবহার করা হয়, যেমন IQ পরীক্ষা, যা শিশুর মানসিক সক্ষমতার একটি সংখ্যাগত মান প্রদান করে।
২. জঁ পিয়াজের (Jean Piaget) তত্ত্ব অনুযায়ী, শিশু বুদ্ধিগত বিকাশের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে—যেমন Sensory-Motor Stage, Pre-Operational Stage, ইত্যাদি।
৩. শিশুর problem-solving skills, memory development, language understanding, ও logical reasoning এর মাধ্যমে তার জ্ঞানীয় অগ্রগতি মূল্যায়ন করা যায়।
৪. এই বিকাশ শিশুর শেখার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা এবং বাস্তব জীবনে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতার ভিত্তি তৈরি করে।

0
Updated: 1 day ago
মাতৃগর্ভে শিশুর কোন অঙ্গের বিকাশ সবচেয়ে বেশি হয়?
Created: 1 day ago
A
হৃদপিন্ড
B
মস্তিক
C
যকৃত
D
ফুসফুস
মাতৃগর্ভে মস্তিষ্কের বিকাশ মানব শরীরের সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলোর একটি। এটি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও জ্ঞানীয় বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে এবং জীবনের পরবর্তী সব আচরণ ও সক্ষমতার মূল নির্ধারক হিসেবে কাজ করে।
১. প্রারম্ভিক বিকাশ: নিষিক্তকরণের মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ শুরু হয়, যেখানে মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কাণ্ডের গঠন ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রূপ নিতে থাকে।
২. দ্রুত কোষ বিভাজন: গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মস্তিষ্ক কোষ বা নিউরন অবিশ্বাস্য গতিতে বিভাজিত হয়। প্রতি মিনিটে লক্ষ লক্ষ নতুন কোষ তৈরি হয়ে স্নায়ু সংযোগ স্থাপন করে।
৩. সংযোগ স্থাপন ও স্নায়ু নেটওয়ার্ক: এই সময়ে নিউরনগুলোর মধ্যে জটিল সংযোগ তৈরি হয়, যা শিশুর ভবিষ্যৎ শেখার ক্ষমতা, স্মৃতি ও সংবেদনশীলতার ভিত্তি স্থাপন করে।
৪. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে মস্তিষ্ক: মস্তিষ্ক দেহের সব অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে—হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তসঞ্চালন, হরমোন নিঃসরণ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশ তার নির্দেশে পরিচালিত হয়।
৫. গর্ভাবস্থার পুষ্টি ও যত্নের গুরুত্ব: মস্তিষ্কের এই দ্রুত বিকাশ পর্যায়ে মাতৃপুষ্টি, অক্সিজেন সরবরাহ এবং মানসিক প্রশান্তি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ এসব উপাদানই স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকর গঠন ও কার্যকারিতাকে নিশ্চিত করে।
৬. ভবিষ্যৎ বিকাশের ভিত্তি: গর্ভকালীন মস্তিষ্কের বিকাশ শিশুর জন্মোত্তর চিন্তা, আবেগ, শেখা ও আচরণের সক্ষমতা নির্ধারণ করে, যা সুস্থ জীবনযাপনের মূল চাবিকাঠি।

0
Updated: 1 day ago