এডিমা হলে পথ্য পরিকল্পনায় কোন উপাদানটি নিয়ন্ত্রন করতে হবে?
A
সোডিয়াম
B
ক্যালসিয়াম
C
আয়রণ
D
আয়োডিন
উত্তরের বিবরণ
এডিমা (Edema) এমন এক শারীরিক অবস্থা যেখানে শরীরের কোষের মধ্যবর্তী স্থান বা গহ্বরে অতিরিক্ত তরল জমা হয়ে ফোলাভাব সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত শরীরের জলের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফল, এবং এ অবস্থায় খাদ্যতালিকায় সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
জল ধারণ প্রক্রিয়া: সোডিয়াম শরীরের জল নিয়ন্ত্রণের মূল উপাদান, যা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে প্ররোচিত করে।
-
কিডনীর ভূমিকা: সুস্থ কিডনী সোডিয়াম ও জলের মাত্রা সঠিক রাখে, কিন্তু হার্ট ফেইলিউর বা কিডনী রোগের মতো অবস্থায় শরীর অতিরিক্ত সোডিয়াম ও জল বের করতে পারে না, ফলে ফোলাভাব বাড়ে।
-
সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণের প্রভাব: খাদ্যে সোডিয়াম বা লবণ কমালে শরীর অতিরিক্ত জল নির্গমন করতে সক্ষম হয়, এতে ফোলাভাব বা এডিমা কমে যায়।
-
খাদ্যাভ্যাস: এ অবস্থায় রোগীকে লো-সোডিয়াম ডায়েট অনুসরণে উৎসাহিত করা হয়; অর্থাৎ লবণ, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও সয়া সসের মতো সোডিয়ামসমৃদ্ধ উপাদান সীমিত রাখতে বলা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: এডিমার কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকরা প্রায়ই রক্তচাপ, কিডনী ফাংশন ও হরমোনের ভারসাম্য পরীক্ষা করেন। তাছাড়া, শরীরের তরল ভারসাম্য ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম ও প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণও সহায়ক হতে পারে, যদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া হয়।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি শিল্পকলার নীতি?
Created: 1 day ago
A
বিন্দু
B
ছন্দ
C
রং
D
রেখা
শিল্পকলার নীতি বা নকশার নীতি (Principles of Design) হলো এমন কিছু মৌলিক নির্দেশনা, যা শিল্পকর্মে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর বিন্যাস, ভারসাম্য ও সৌন্দর্য নির্ধারণ করে। এগুলোর মাধ্যমে একটি শিল্পকর্মে শৃঙ্খলা, সামঞ্জস্য ও দৃষ্টিনন্দনতা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, শিল্পকলার উপাদান (Elements of Art) হলো সেই মৌলিক উপকরণ, যেগুলোর মাধ্যমে শিল্পকর্ম গঠিত হয়।
-
শিল্পকলার নীতি:
-
ছন্দ (Rhythm): শিল্পকর্মে পুনরাবৃত্তি ও গতির অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
ভারসাম্য (Balance): উপাদানগুলির ওজন ও অবস্থান সুষমভাবে বণ্টন করা হয়, যাতে স্থিতি বজায় থাকে।
-
ঐক্য (Unity): সব উপাদান পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থেকে একসঙ্গে সম্পূর্ণ রূপ দেয়।
-
জোর (Emphasis): কোনো নির্দিষ্ট অংশকে গুরুত্ব দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
-
সাদৃশ্য (Harmony): রং, রেখা ও আকৃতির মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে মনোমুগ্ধকর প্রভাব সৃষ্টি করা হয়।
-
বৈসাদৃশ্য (Contrast): ভিন্ন উপাদানের পার্থক্যের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ ও বৈচিত্র্য সৃষ্টি করা হয়।
-
-
শিল্পকলার উপাদান:
-
বিন্দু (Point): শিল্পের ক্ষুদ্রতম একক, যা থেকে রেখা ও আকৃতি গঠিত হয়।
-
রেখা (Line): দিক, গতি ও সীমারেখা প্রকাশ করে।
-
আকৃতি (Shape): রেখা দ্বারা বেষ্টিত এলাকা বা গঠন।
-
রং (Color): দৃশ্যমান সৌন্দর্য ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটায়।
-
মান (Value): রঙের উজ্জ্বলতা বা গাঢ়তার মাত্রা, যা গভীরতা তৈরি করে।
-
বুনট (Texture): বস্তুটির স্পর্শগত বা দৃষ্টিগত গঠন।
-
পরিসর (Space): শিল্পকর্মে ফাঁকা বা পূর্ণ স্থান, যা গভীরতা ও ভারসাম্য তৈরি করে।
-
এই নীতি ও উপাদান একসঙ্গে কাজ করে একটি শিল্পকর্মকে সুষম, অর্থবহ ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি শুদ্ধভাষা শিখার সঠিক কৌশল?
Created: 1 day ago
A
অতি ধীরে স্পষ্টভাবে কথা কলা
B
খুব সহজ শব্দ ব্যবহার করা
C
অপরিচিত শব্দের পরিচিত বিকল্প না দেয়া
D
কথায় পুনরাবৃত্তি করা
অতি ধীরে ও স্পষ্টভাবে কথা বলা শুদ্ধ ভাষা শেখা ও শেখানোর একটি কার্যকর কৌশল, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের সঠিক উচ্চারণ, শব্দবিন্যাস ও শ্রবণ-অনুধাবন ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করে।
-
স্পষ্ট উচ্চারণ ও বোধগম্যতা: ধীরে কথা বললে শ্রোতা প্রতিটি শব্দের ধ্বনি, উচ্চারণ ও অর্থ স্পষ্টভাবে শুনতে ও বুঝতে পারে, ফলে ভাষার ধ্বনিগত উপাদান (Phonetics) সঠিকভাবে আয়ত্ত করা সহজ হয়।
-
অনুকরণের সুবিধা: শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে, তাই ধীর ও স্পষ্ট উচ্চারণে বলা কথা তারা সহজেই স্বরক্ষেপণ (Intonation), শব্দপ্রবাহ ও বাক্যগঠন অনুকরণ করতে পারে।
-
ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ধীরে বলা শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পর্যাপ্ত সময় দেয়, ফলে তারা নতুন শব্দ ও ভাষা কাঠামো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ধারণ করতে সক্ষম হয়।
-
যোগাযোগের মানোন্নয়ন: স্পষ্টভাবে কথা বলার অভ্যাস ভাষার বোধগম্যতা ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা শেখা ও শেখানোর উভয় প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ পরীক্ষা দ্বারা অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ চিহ্ন শনাক্ত করা হয়?
Created: 1 day ago
A
এনথ্রোপোমেট্রি
B
ডাক্তারী পরীক্ষা
C
প্ৰাণ রাসায়নিক
D
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান
ডাক্তারী পরীক্ষা বা চিকিৎসাগত পরীক্ষা হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ ও চিহ্ন শনাক্ত করা যায়। এটি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা সম্পন্ন হয়, যেখানে রোগীর দেহের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয় করা হয়।
-
পরীক্ষার ধরণ: এই পরীক্ষায় চিকিৎসক রোগীর চুল, ত্বক, চোখ, মুখ, মাড়ি ও নখ পর্যবেক্ষণ করেন।
-
চুল: সহজে উঠে যাওয়া বা রঙ পরিবর্তন প্রোটিনের অভাব নির্দেশ করে।
-
ত্বক: শুষ্ক, আঁশযুক্ত বা ফাটা ত্বক ভিটামিন এ বা বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি বোঝায়।
-
চোখ: রাতকানা বা কনজাংটিভার শুষ্কতা ভিটামিন এ-এর অভাবের লক্ষণ।
-
অ্যানিমিয়া: চোখ ও নখের নিচের অংশ ফ্যাকাশে হওয়া লোহিত রক্তকণিকার অভাব বা লোহের ঘাটতির কারণে হয়।
-
ইডিমা (Edema): পা ফুলে যাওয়া মারাত্মক প্রোটিনের অভাবজনিত, যা কোয়াশিয়রকর রোগের ইঙ্গিত দেয়।
-
এনথ্রোপোমেট্রি (Anthropometry): এতে ওজন, উচ্চতা ও বাহুর পরিধি পরিমাপ করা হয়, যা খর্বতা ও কৃশতা নির্ধারণে সহায়ক, তবে এটি শারীরিক চিহ্ন শনাক্ত করে না।
-
প্রাণ রাসায়নিক (Biochemical) পরীক্ষা: রক্ত, প্রস্রাব বা টিস্যুর নমুনা বিশ্লেষণ করে পুষ্টি উপাদানের স্তর যেমন হিমোগ্লোবিন বা ভিটামিন ডি-এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
-
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান (Vital Statistics): এতে জন্মহার, মৃত্যুহার ও অসুস্থতার হার সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়, যা জনসংখ্যার পুষ্টিগত চিত্র বোঝাতে সাহায্য করে, যদিও এটি ব্যক্তিগত পুষ্টি অবস্থা সরাসরি নির্ধারণ করে না।
-
ডাক্তারী পরীক্ষা হলো অপুষ্টি নির্ণয়ের প্রাথমিক ও দ্রুততম পদ্ধতি, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষার পূর্বাভাস হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 1 day ago