মসলিন বস্ত্রের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণ কি?
A
আধুনিক নকশার প্রয়োগ
B
সুক্ষ্ম বয়ন বিন্যাস
C
তাপ সুপরিবাহী
D
সাধারণ তাঁতের ব্যবহার
উত্তরের বিবরণ
মসলিন বস্ত্রের বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জনের মূল কারণ ছিল এর অবিশ্বাস্য সূক্ষ্মতা ও অতুলনীয় গুণগত মান। এটি এমন এক শিল্পকর্ম ছিল যা প্রাচীন বাংলার তাঁতশিল্পীদের নিপুণতা, ধৈর্য এবং দক্ষতার প্রতিফলন বহন করত।
-
সূক্ষ্মতা (Fineness): মসলিন তৈরি করা হতো এক বিশেষ প্রজাতির তুলা ফুটি কার্পাস (Phuti Karpass) থেকে, যা বিশ্বের অন্যতম সূক্ষ্ম তুলা হিসেবে পরিচিত। এই তুলা থেকে চরকা ও তাঁতের সাহায্যে এমন সূক্ষ্ম ও কোমল সুতা প্রস্তুত করা হতো, যার সঙ্গে অন্য কোনো সুতার তুলনা করা যেত না। এর গঠন ছিল এতটাই হালকা ও মোলায়েম যে সূর্যালোকের নিচে এটি প্রায় অদৃশ্য মনে হতো।
-
বয়ন বিন্যাস (Weaving Structure): এই সূক্ষ্ম সুতা হাতে বোনা হতো অভূতপূর্ব নিপুণতায়। তাঁতীরা এমনভাবে বুনন করতেন যে কাপড়টি হতো অত্যন্ত হালকা, প্রায় স্বচ্ছ ও বাতাসের মতো কোমল, যা ‘woven air’ নামেও পরিচিত ছিল। এই সূক্ষ্মতার কারণে একটি সম্পূর্ণ মসলিন শাড়ি একটি আংটির ভেতর দিয়ে টেনে বের করা যেত, যা এর সৌন্দর্য ও খ্যাতিকে আরও অনন্য করে তুলেছিল।
-
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা: মসলিনের গুণমান ও সৌন্দর্য ইউরোপসহ সারা বিশ্বে অভিজাত সমাজের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এটি কেবল বস্ত্র নয়, বরং এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী শিল্পসৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো।

0
Updated: 1 day ago
প্রকৃত আয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মাসিক বেতন
B
বাড়িভাড়া
C
ছাদ কৃষি
D
সঞ্চয়ের মুনাফা
গৃহ ব্যবস্থাপনায় আয় (Income) বলতে পরিবারের অর্থনৈতিক ও মানসিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের সম্পদ বা সুবিধাকে বোঝায়। এটি কেবল অর্থে সীমাবদ্ধ নয়, বরং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার সব উপায়কেই অন্তর্ভুক্ত করে। সাধারণভাবে গৃহ আয়কে তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
আর্থিক আয় (Money Income): এটি হলো সেই আয়, যা সরাসরি হাতে আসে বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। উদাহরণ হিসেবে মাসিক বেতন, সঞ্চয় বা বিনিয়োগের মুনাফা, ভাড়ার টাকা ইত্যাদি উল্লেখ করা যায়। এই আয় পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও পরিকল্পিত ব্যয় পরিচালনার মূল ভিত্তি।
-
প্রকৃত আয় (Real Income): এটি হলো পণ্য ও সেবার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুবিধা, যা অর্থ ব্যয় ছাড়াই জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।
-
প্রত্যক্ষ প্রকৃত আয়: যে জিনিস বা সেবা নিজের মালিকানাধীন অথবা বিনা খরচে পাওয়া যায়, যেমন নিজের বাড়িতে বসবাস, ছাদ কৃষি থেকে সবজি পাওয়া, আত্মীয়ের সাহায্যে বিনা খরচে কাজ সম্পন্ন করা।
-
পরোক্ষ প্রকৃত আয়: অর্থ ব্যয় করে কোনো পণ্য বা সেবা অর্জন করা, যেমন বেতন দিয়ে কেনা খাবার, পোশাক বা গৃহস্থালি সামগ্রী। এটি অর্থ আয়কে বাস্তব জীবনের সুবিধায় রূপান্তর করে।
-
-
মানসিক আয় (Psychic Income): এটি হলো তৃপ্তি, আনন্দ, নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তির অনুভূতি, যা অর্থমূল্যে পরিমাপযোগ্য নয়। যেমন চাকরির স্থায়িত্ব থেকে পাওয়া নিশ্চিন্ততা, নিজের ঘরের আরাম, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দ ইত্যাদি।
-
গৃহ ব্যবস্থাপনায় এই তিন ধরনের আয় একে অপরের পরিপূরক; আর্থিক আয় জীবনধারণে সহায়তা করে, প্রকৃত আয় জীবনমান উন্নত করে, আর মানসিক আয় জীবনকে পরিপূর্ণতা দেয়।

0
Updated: 1 day ago
পারিবারিক বন্ধন মজবুত হলে কোন বৈশিষ্ট্যটি লক্ষ্য করা যায়?
Created: 1 day ago
A
আত্মবিশ্বাসী ও সহসী
B
মেধাবী ও বুদ্ধিমান
C
আত্মবিশ্বাসী ও স্বার্থপর
D
সৃজনশীল মনোভাব ও ভীতু
যখন একটি পরিবারের বন্ধন দৃঢ় হয়, তখন শিশুরা নিরাপত্তা, ভালোবাসা ও মানসিক সমর্থন পায়, যা তাদের মানসিক বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলে। এই পরিবেশে শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও সাহসের মতো ইতিবাচক গুণাবলি গড়ে ওঠে।
-
আত্মবিশ্বাসী হওয়া: পরিবারের সমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতা শিশুদের মধ্যে নিজের মূল্যবোধ তৈরি করে এবং নতুন কিছু চেষ্টা করার সাহস ও আত্মবিশ্বাস জাগায়।
-
সাহসী হওয়া: তারা জানে, ব্যর্থ হলেও পরিবার পাশে থাকবে। এই মানসিক নিরাপত্তা ঝুঁকি নেওয়া ও সমস্যার মোকাবিলা করার সাহস বাড়ায়।
-
স্বার্থপরতা নয়: পারিবারিক বন্ধন শিশুদের সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও পরোপকারিতা শেখায়, তাই এটি স্বার্থপরতা জন্ম দেয় না।
-
মেধা ও সৃজনশীলতার প্রভাব: পরিবারিক বন্ধন পরোক্ষভাবে মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশে সহায়তা করতে পারে, তবে আত্মবিশ্বাস ও সাহস সরাসরি এই বন্ধনের ফল।
-
ভীতু নয়: একটি মজবুত পরিবার শিশুকে ভয় কাটিয়ে উঠতে ও মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে, ফলে তারা ভীতু না হয়ে আরও দৃঢ় ও স্থিতিশীল হয়।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তির কারণ?
Created: 1 day ago
A
দেহে ল্যাকটিক এসিড উৎপাদন
B
দেহ ভঙ্গিমার সঠিক ব্যবহার না করা
C
মধ্যাকর্ষণ বলের বিরুদ্ধে কাজ করা
D
কাজের প্রশংসীত না হওয়া
ক্লান্তি হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিকভাবে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। এটি মূলত শরীর ও মনের অতিরিক্ত চাপের ফল। ক্লান্তিকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়—শারীরিক ক্লান্তি (Physiological Fatigue) এবং মানসিক বা নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তি (Psychological/Frustration Fatigue)।
-
শারীরিক ক্লান্তি: এটি অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা কর্মচাপের কারণে ঘটে। এর প্রধান কারণ হলো পেশীতে ল্যাকটিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি, যা রক্তপ্রবাহে জমে শরীরে ব্যথা, অবসাদ ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই অবস্থায় শরীরের শক্তি কমে যায় এবং বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে কাজ করা, ভারী ওজন তোলা বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এই ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
-
নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তি (Psychological Fatigue): এটি মানসিক চাপে উৎপন্ন ক্লান্তি, যেখানে মানুষের আগ্রহ, প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস হ্রাস পায়। এর পেছনে একঘেয়েমি, মানসিক চাপ, কাজের স্বীকৃতি না পাওয়া, বা পর্যাপ্ত উৎসাহের অভাব ভূমিকা রাখে। এই ক্লান্তিতে শারীরিক কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন না ঘটলেও ব্যক্তি মনোবল হারিয়ে ফেলে এবং কাজের প্রতি অনীহা অনুভব করে।
-
এই দুই ধরনের ক্লান্তি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ মানসিক অবসাদ শারীরিক কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে, আর দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ক্লান্তি মানসিক নৈরাশ্যের কারণ হতে পারে।
-
ক্লান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মানসিক প্রশান্তি, স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান, এবং নিয়মিত জীবনধারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago