কোনটি প্রাণীজ তন্ত্রু?
A
র্যামি
B
আলপাকা
C
ক্যাপক
D
লিনেন
উত্তরের বিবরণ
আলপাকা (Alpaca) একটি প্রাণীজ তন্তু যা উচ্চমানের পোশাক ও বিলাসবহুল বস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত দক্ষিণ আমেরিকার উটজাতীয় প্রাণী আলপাকা-র লোম থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং গঠনে এটি উলের মতোই প্রোটিনভিত্তিক (কেরাটিন) তন্তু।
-
উৎস: আলপাকা তন্তু দক্ষিণ আমেরিকার পার্বত্য অঞ্চলে পালিত আলপাকা প্রাণীর লোম থেকে পাওয়া যায়।
-
প্রকৃতি: এটি প্রাণীজ তন্তু (Animal Fiber), যার গঠন প্রোটিনজাত।
-
বৈশিষ্ট্য: আলপাকা তন্তু নরম, হালকা, উষ্ণ ও উজ্জ্বল দীপ্তিযুক্ত। এটি সাধারণ উলের তুলনায় বেশি টেকসই ও অ্যালার্জি-মুক্ত।
-
ব্যবহার: উন্নতমানের সোয়েটার, শাল, কোট, ও কার্পেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
র্যামি (Ramie): এটি একটি উদ্ভিজ্জ তন্তু (Vegetable Fiber), যা রামি গাছের কাণ্ড থেকে পাওয়া যায়।
-
ক্যাপক (Kapok): এটিও উদ্ভিজ্জ তন্তু, যা গাছের বীজ বা ফলের ভিতরের অংশ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং সাধারণত বালিশ, কুশন ও লাইফজ্যাকেটে ব্যবহৃত হয়।
-
লিনেন (Linen): এটি শণ বা ফ্ল্যাক্স (Flax) গাছের কাণ্ড থেকে প্রাপ্ত একধরনের উদ্ভিজ্জ তন্তু, যা শক্ত, শোষণক্ষম এবং ঠান্ডা অনুভূতিদায়ক কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 day ago
কাপড়ের শুষ্ক ধৌতকরণ পদ্ধতিতে কোন নিয়মটি পালন করতে হবে?
Created: 2 days ago
A
কাছাকাছি আগুন না রাখা
B
আবন্ধ স্থানে ধৌত করা
C
অধিক পানি ব্যবহার করা
D
রোদ্রের উপস্থিতিতে ধৌত করা
শুষ্ক ধৌতকরণ একটি বিশেষ ধরণের পরিস্কার পদ্ধতি, যেখানে পানির পরিবর্তে জৈব দ্রাবক (organic solvent) ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কাপড়ের গঠন অক্ষুণ্ণ রেখে ময়লা ও তেলজাত দাগ কার্যকরভাবে দূর করা যায়, তবে এতে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বিদ্যমান।
১. শুষ্ক ধৌতকরণে সাধারণত পারক্লোরোইথিলিন (Perchloroethylene) বা অনুরূপ জৈব দ্রাবক ব্যবহৃত হয়, যা কাপড়ের আঁশে পানি শোষণের ঝুঁকি কমায়।
২. এই দ্রাবকগুলো অত্যন্ত দাহ্য (Highly Flammable), ফলে অল্প তাপ বা স্পার্ক পেলেও সহজেই আগুন ধরে যেতে পারে।
৩. দ্রাবকের বাষ্প বিস্ফোরণযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে পারে, তাই শুষ্ক ধৌতকরণ কক্ষে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
৪. নিরাপত্তার জন্য কাজের স্থানের আশেপাশে আগুন, ধূমপান, বৈদ্যুতিক স্পার্ক বা উচ্চ তাপের উৎস রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৫. শ্রমিকদের প্রতিরক্ষামূলক পোশাক, গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করা উচিত, যাতে দ্রাবকের সংস্পর্শে শ্বাসযন্ত্র বা ত্বকের ক্ষতি না হয়।
৬. ব্যবহৃত দ্রাবক পুনঃব্যবহারের আগে বিশুদ্ধকরণ (Distillation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিল্টার করা প্রয়োজন, যাতে পরিবেশ দূষণ কমে এবং দ্রাবকের কার্যকারিতা বজায় থাকে।
এইভাবে শুষ্ক ধৌতকরণ পদ্ধতি কার্যকর হলেও সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ না করলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি নবজাতকের আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া?
Created: 2 days ago
A
ঠোঁট স্পর্শ করা মাত্র হা করা
B
মুখের কাজে জিনিস নিলেই চুষতে চাওয়া
C
চোখের পাতা খোলা ও বন্ধ করা
D
পায়ে স্পর্শ করলে আঙুল সম্প্রসারণ করে
আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Primitive Reflex) হলো এমন কিছু স্বতঃস্ফূর্ত শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা নবজাতকের জন্মের পরপরই দেখা যায় এবং শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন শিশু দৈহিক ও স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জন করে, তখন এই প্রতিক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়াগুলো মস্তিষ্কের নিম্নস্তরের স্নায়ুকেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
এগুলো শিশুর বেঁচে থাকা, সুরক্ষা এবং প্রাথমিক মোটর বিকাশে সহায়তা করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, পায়ের আঙুল সম্প্রসারণ বা ব্যাবিনস্কি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Babinski Reflex)—যখন নবজাতকের পায়ের গোড়ালিতে বা তলায় আলতোভাবে স্পর্শ করা হয়, তখন পায়ের আঙুলগুলো প্রসারিত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়া সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বিলুপ্ত হয়, যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্র পরিপক্বতার ইঙ্গিত দেয়।
-
যদি এই ক্রিয়া অতিরিক্ত সময় ধরে থাকে, তবে তা স্নায়বিক সমস্যা বা মস্তিষ্কের বিকাশজনিত বিলম্বের লক্ষণ হতে পারে।

0
Updated: 2 days ago
ফুড গাইড পিরামিডের কার্বোহাইড্রেট সবার নীচে থাকে কেন?
Created: 2 days ago
A
দেহ গঠনে তেমন ভূমিকা রাখে না
B
পরিমানগত চাহিদা বেশী
C
দামে সবচাইতে সন্তা
D
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই
খাদ্য পিরামিড এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি স্পষ্টভাবে দেখায় কোন খাদ্য উপাদান দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। পিরামিডের গঠন অনুযায়ী নিচের স্তর সবচেয়ে প্রশস্ত, যা অধিক প্রয়োজনীয় খাদ্য নির্দেশ করে, আর উপরের স্তর অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় উপাদানকে নির্দেশ করে।
-
পিরামিডের ভিত্তি (Base) সবচেয়ে চওড়া অংশ, যেখানে থাকে শস্যজাতীয় খাদ্য যেমন ভাত, রুটি, পাউরুটি, আলু, ভুট্টা ইত্যাদি। এগুলো দৈনন্দিন খাদ্যের প্রধান অংশ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
-
এই স্তরের খাদ্যগুলোতে প্রচুর শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা দেহের প্রধান শক্তির উৎস (Primary source of energy) হিসেবে কাজ করে।
-
কার্বোহাইড্রেট দেহকে দৈনন্দিন কাজ, শারীরিক পরিশ্রম ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে শক্তি প্রদান করে।
-
পিরামিডের উপরের স্তরগুলোতে থাকে কম পরিমাণে প্রয়োজনীয় উপাদান, যেমন প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ, যেগুলো শক্তি ছাড়াও শরীরের বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে।
-
খাদ্য পিরামিডের এই বিন্যাস আমাদের শেখায় সুষম খাদ্যের অনুপাত, অর্থাৎ কোন খাদ্য বেশি ও কোন খাদ্য কম খাওয়া উচিত তা বোঝার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রদান করে।
-
এর মাধ্যমে বোঝা যায়, যেসব খাদ্যের চাহিদা শরীরে বেশি, তারা পিরামিডের নিচের স্তরে থাকে, আর যেগুলোর প্রয়োজন কম, তারা উপরের দিকে অবস্থান করে।

0
Updated: 2 days ago