প্রারম্ভিক শৈশবকালে শিশু পরিচালনার ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানীদের নির্দেশিকা কোনটি?
A
ইতিবাচক নির্দেশ প্রদান করা
B
অন্যের সাথে প্রতিযোগিতায় নামানো
C
কাজে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করা
D
শিশুর পছন্দের বিষয়কে সর্বোচ্চ প্রধান্য দেয়া
উত্তরের বিবরণ
প্রারম্ভিক শৈশবকাল সাধারণত ১৮ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে শিশুর মানসিক, সামাজিক ও শারীরিক বিকাশ দ্রুত ঘটে। মনোবিজ্ঞানী এরিক এরিকসনের মনোসামাজিক বিকাশ তত্ত্ব অনুযায়ী, এটি “autonomy vs. shame and doubt” পর্যায়, যেখানে শিশুর মধ্যে স্বনির্ভরতা (autonomy) গড়ে ওঠে। এই পর্যায়ে অভিভাবকরা যদি শিশুকে নিজে খাওয়া, পোশাক পরা বা খেলার সুযোগ দেয়, তবে তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং লজ্জা বা সন্দেহ কমে।
১. এই সময়ে শিশু বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করে, যা তার ভবিষ্যৎ বিকাশে ভূমিকা রাখে।
২. শৈশবে নতুন সামাজিক প্রত্যাশা উদ্ভব হয়, যা শিশুর আগ্রহ, মূল্যবোধ ও আচরণে পরিবর্তন আনে।
৩. শিশুর মধ্যে সমাজ ও পরিবেশ সম্পর্কে মৌলিক ধারণা গঠিত হয়।
৪. সে ন্যায়-অন্যায়ের বোধ সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করে এবং আচরণে এর প্রতিফলন দেখা যায়।
৫. এই পর্যায়ের মূল কার্যাবলী হলো—
-
শক্ত খাবার খেতে শেখা
-
হাঁটতে শেখা
-
কথা বলতে শেখা
-
মূলমূত্র নিয়ন্ত্রণ করা শেখা
-
লেখাপড়া শুরু করার জন্য প্রস্তুত হওয়া

0
Updated: 1 day ago
আসবাব নির্বাচনে প্রথম বিবেচ্য বিষয় কোনটি?
Created: 2 days ago
A
আসবারের স্থায়িত্ব
B
নিজ পেশা
C
কক্ষের অন্যান্য আসবাবের সাথে সামঞ্জস্য
D
দেশের কালচারের সাথে সামঞ্জস্য
আসবাবপত্র নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহস্থালি সিদ্ধান্ত, যা শুধু সৌন্দর্যের বিষয় নয় বরং ব্যবহারিক প্রয়োজন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের সঙ্গেও সম্পর্কিত। স্থায়িত্ব (Durability) এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ—আসবাব সাধারণত দীর্ঘদিন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কেনা হয়, এবং টেকসই না হলে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি ঘটে যা অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আসবাবপত্র নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন—
-
পরিবারের আয় অনুযায়ী ব্যয় নির্ধারণ করা উচিত।
-
মূল্য যেন মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
-
উপযোগিতা অর্থাৎ নির্দিষ্ট প্রয়োজন পূরণে আসবাবের সক্ষমতা থাকতে হবে।
-
প্রয়োজনীয়তা বিচার করে অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়ানো উচিত।
-
আরামদায়কতা ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
-
নমনীয়তা বা ব্যবহারভেদে স্থানান্তরের সুবিধা থাকা ভালো।
-
স্থায়িত্ব অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্যতা অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
-
নির্মাণ উপকরণ যেমন কাঠ, ধাতু, বা প্লাস্টিক—গুণমানের দিক থেকে বিবেচনা করা জরুরি।
-
রুচি বা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন বেছে নিতে হবে।
-
নকশা ঘরের সজ্জা ও ব্যবহারিক দিকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া দরকার।
-
পরিবারের আকার ও কাঠামো অনুযায়ী আসবাবের পরিমাণ ও আকার নির্ধারণ করতে হবে।
-
চাকরির প্রকৃতি যেমন স্থানান্তরযোগ্য পেশা হলে হালকা ও সহজে বহনযোগ্য আসবাব উত্তম।
-
যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়া প্রয়োজন যাতে দীর্ঘস্থায়িত্ব বজায় থাকে।
-
কক্ষের আকার ও আয়তন অনুযায়ী উপযুক্ত মাপের আসবাব বেছে নেওয়া উচিত।
-
শিল্পনীতি ও উপাদান বিবেচনায় দেশীয় উৎপাদন ও মানসম্পন্ন উপকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া ভালো।

0
Updated: 2 days ago
কোন পদ্ধতিকে বন্ত্র রং করলে সব ক্ষেত্রেই সৃজনশীল নকশা পাওয়া যায়?
Created: 2 days ago
A
স্ক্রিন
B
টাই
C
ব্লক
D
রোলার
বিভিন্ন প্রিন্টিং পদ্ধতির মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরির কৌশল ভিন্ন হয়। প্রতিটি পদ্ধতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকলেও, সৃজনশীলতার পরিমাণ সব ক্ষেত্রে সমান নয়। নিচে প্রতিটি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ও সৃজনশীলতার মাত্রা তুলে ধরা হলো।
১. স্ফিন (Screen Printing) – নির্দিষ্ট ছাঁচ বা স্ক্রিনের মাধ্যমে আগে থেকে তৈরি নকশা কাপড়ে ছাপানো হয়। প্রতিবার একই স্ক্রিন ব্যবহৃত হওয়ায় নকশা একরূপ থাকে এবং নতুন সৃষ্টির সুযোগ কম।
২. টাই অ্যান্ড ডাই (Tie and Dye) – কাপড়ের অংশবিশেষ বেঁধে রং দেওয়ায় প্রতিবার রঙের ছড়ানো ভিন্নভাবে ঘটে। ফলে প্রতিবার নতুন ও অভিনব নকশা সৃষ্টি হয়, যা এই পদ্ধতিকে অত্যন্ত সৃজনশীল করে তোলে।
৩. ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing) – কাঠ বা ধাতুর ব্লক দিয়ে নকশা ছাপানো হয়। একই ব্লক ব্যবহারে নকশা পুনরাবৃত্তি হয়, তাই এতে সৃজনশীলতা সীমিত থাকে।
৪. রোলার প্রিন্টিং (Roller Printing) – বৃহৎ যন্ত্র বা রোলারের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে একই নকশা ব্যাপকভাবে ছাপানো হয়। এটি মূলত শিল্পোৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত, ফলে নকশায় বৈচিত্র্য বা নতুনত্বের সুযোগ কম।
এই তুলনায় দেখা যায়, টাই অ্যান্ড ডাই পদ্ধতিই একমাত্র এমন প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন নকশা সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 2 days ago
গৃহ সম্পদের বৈশিষ্ট কোনটি?
Created: 1 day ago
A
সম্পদের আয়ত্বাধীনতা
B
পরস্পর নির্ভরশীলতা
C
ব্যবহারের অফুরন্ত সুযোগ
D
সম্পদের অসীমতা
গৃহ সম্পদের বৈশিষ্ট্যগুলো এমন কিছু গুণ যা পরিবারকে তার চাহিদা পূরণ ও লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। প্রতিটি সম্পদের নির্দিষ্ট কার্যকারিতা, ব্যবহারযোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো সম্ভব।
-
উপযোগী (Utility): সম্পদের মূল গুণ হলো এটি মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানির উপযোগিতা বেশি, কারণ তখন তা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন পূরণ করে।
-
আয়ত্তাধীন (Accessibility): কোনো সম্পদ ব্যবহারের জন্য সেটি পরিবারের নিয়ন্ত্রণ বা মালিকানার আওতায় থাকা জরুরি। যেমন—নিজস্ব জমি, বাড়ি বা অর্থ কেবল তখনই কাজে লাগানো যায় যখন তা পরিবারের আওতায় থাকে।
-
সীমাবদ্ধতা (Limitation): সব সম্পদই পরিমাণ ও গুণগত দিক থেকে সীমিত। যেমন—সময়, শক্তি ও অর্থ সবসময় পর্যাপ্ত নয়, তাই এগুলোর সঠিক পরিকল্পনা ও বণ্টন প্রয়োজন।
-
পরস্পর পরিবর্তনশীল (Inter-changeability): সম্পদকে প্রয়োজনে বিকল্প কাজে ব্যবহার বা রূপান্তর করা যায়। যেমন—পুরনো জামা দিয়ে কাঁথা বা ব্যাগ তৈরি করা সম্পদের সৃজনশীল ব্যবহার নির্দেশ করে।
-
পরিচালনা যোগ্যতা (Manageability): সম্পদের পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা করলে পারিবারিক লক্ষ্য সহজে অর্জন করা যায়। কার্যকর ব্যবস্থাপনা পরিবারে অর্থনৈতিক স্থিতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
-
অতিরিক্ত তথ্য: গৃহ সম্পদের মধ্যে সময়, শ্রম, অর্থ, দক্ষতা ও সামগ্রী—সবই পরস্পর নির্ভরশীল। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এগুলো পরিবারের কল্যাণ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 1 day ago