'টি স্কোয়ার' পোশাকের জন্য কিসের সরঞ্জাম?
A
কাটার
B
দাগ দেয়ার
C
মাপ নেয়ার
D
সেলাই করার
উত্তরের বিবরণ
ঘরে পোশাক তৈরি করা অনেকের কাছে সুবিধাজনক, কারণ এতে নিজের পছন্দ, প্রয়োজন ও মাপ অনুযায়ী পোশাক তৈরি করা যায় এবং অর্থের সাশ্রয়ও হয়। এই কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণের প্রয়োজন হয়, যেগুলো নির্দিষ্টভাবে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়।
১. মাপ নেওয়ার সরঞ্জাম: মানানসই ও আকর্ষণীয় পোশাক তৈরির জন্য সঠিকভাবে দেহের মাপ নেওয়া অপরিহার্য। এই মাপের ভিত্তিতেই পোশাকের নকশা আঁকা হয়। নির্দিষ্ট নকশা অনুযায়ী দেহের বিভিন্ন অংশের প্রয়োজনীয় মাপ গ্রহণ করা হয়।
২. এই কাজে ব্যবহৃত প্রধান সরঞ্জামগুলো হলো—
-
মাপের ফিতা: দেহের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাপার জন্য অপরিহার্য।
-
স্কেল: সেলাইয়ের অংশে সোজা লাইন টানতে ব্যবহৃত হয়।
-
টি-স্কোয়ার: সঠিক কোণ নির্ধারণে সাহায্য করে।
-
শেইপ কাঠ ও ফ্রেঞ্চ কার্ভ: গোলাকার বা বক্র অংশের মাপ ও নকশা নির্ধারণে সহায়ক।
-
গজ কাঠি: নির্দিষ্ট পরিমাপে মাপ নিতে ব্যবহৃত হয়।
৩. মাপ নেওয়ার গুরুত্ব: সঠিক মাপ ছাড়া পোশাক কখনো ফিটিং হয় না; তাই পোশাকের সৌন্দর্য ও আরামের জন্য মাপ নেওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
কোন দিক দিয়ে কাপড় কাটলে বেশী টেকসই হয়?
Created: 1 day ago
A
পড়েন সুতার
B
টানা সুতার
C
আড় সুতার
D
তেরছা সুতার
পোশাক তৈরির কাজ শুরু হওয়ার আগে কাপড়কে উপযুক্ত অবস্থায় আনা খুবই জরুরি। এতে কাপড়ের মাপ, আকৃতি এবং গুণগত মান বজায় থাকে এবং চূড়ান্ত পোশাক নিখুঁতভাবে তৈরি হয়।
১. চূড়ান্ত প্যাটার্ন তৈরি: দেহের মাপ অনুযায়ী বাদামি কাগজে প্যাটার্ন তৈরি করা হয় এবং সেই অনুসারে কাপড় কাটা হয়।
২. পানিতে ডুবানো: কাটার আগে কাপড় ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিতে হয়। ধোয়ার পর কাপড় থেকে পানি নিংড়ে ঝুলিয়ে শুকাতে হয়। এতে কাপড়ের বুনন সংকুচিত হয় এবং মাড় বা রাসায়নিক পদার্থ দূর হয়, ফলে পরে সংকোচনের ঝুঁকি থাকে না।
৩. ধার সোজা করা: কাপড়ের ধার সোজা না থাকলে কাটা সঠিক হয় না। তাই হালকা ভেজা অবস্থায় কাপড় টেনে ইস্ত্রি করে ধার সোজা করা হয় যাতে সেলাইয়ের সময় কাপড় বেঁকে না যায়।
৪. ইস্ত্রি করা: ধোয়ার পর কাপড়ে কুঁচকানো ভাব দূর করতে ইস্ত্রি করা প্রয়োজন। এতে কাপড় সমতল হয় এবং প্যাটার্ন বসিয়ে নিখুঁতভাবে কাটা যায়।
৫. গ্রেন লাইন ঠিক রাখা: কাপড়ের টানা (লম্বা) ও পড়েন (আড়া) সুতার দিক অনুযায়ী কাটাই গুরুত্বপূর্ণ। টানা সুতার দিকে কাটলে কাপড় বেশি টেকসই হয়, তবে বিশেষ নকশা বা গলার অংশে তেরছাভাবে কাটা প্রয়োজন হয় যাতে কাঙ্ক্ষিত আকৃতি পাওয়া যায়।
৬. কাপড় কাটা ও সেলাই: সব প্রস্তুতি শেষে প্যাটার্ন অনুযায়ী কাপড় কেটে সেলাই করা হয়, যা পোশাক তৈরির চূড়ান্ত ধাপ।

0
Updated: 1 day ago
মোম প্রয়োগ করে কাপড়ে রং লাগানোকে কি বলে?
Created: 2 days ago
A
টাই ডাই
B
ব্লক
C
বাটিক
D
স্ক্রিন
কাপড়ে মোম প্রয়োগ করে রং করার পদ্ধতিকে বাটিক (Batik) বলা হয়, যা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পরীতি। এতে মোম ব্যবহারের মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরি করে রং প্রতিরোধ করা হয়, ফলে নকশার অংশটি রঙিন না হয়ে আলাদা ভাবে ফুটে ওঠে।
-
বাটিক প্রক্রিয়ায় প্রথমে কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশে গলিত মোম দিয়ে নকশা আঁকা হয়।
-
মোমটি রং প্রতিরোধক (Resist Agent) হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ মোম দেওয়া স্থানে রং লাগে না।
-
এরপর কাপড়টি রঙের দ্রবণে ডুবিয়ে রঞ্জিত করা হয়।
-
রং শুকিয়ে গেলে মোম তুলে ফেললে কাপড়ের সেই অংশটি সাদা বা আসল রঙে থেকে যায়, যা নকশাকে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি বস্ত্রের নকশাগুলো সাধারণত অতি সূক্ষ্ম ও বহুস্তর রঙিন হয়, যা শিল্পগুণে ভরপুর।
-
বাটিক শিল্পের উদ্ভব ইন্দোনেশিয়ায় হলেও এটি পরবর্তীতে ভারত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয়তা লাভ করে।
-
অনুরূপ অন্যান্য পদ্ধতি হলো—
-
টাই-ডাই (Tie-Dye): কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশ দড়ি বা সুতা দিয়ে বেঁধে রেখে রং করা হয়, ফলে বেঁধে রাখা অংশে রং লাগে না।
-
ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing): কাঠ বা ধাতুর ছাঁচ (Block) ব্যবহার করে কাপড়ে রং ছাপানো হয়।
-
স্ক্রিন প্রিন্টিং (Screen Printing): একটি সূক্ষ্ম জাল (Screen) এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট নকশা অনুসারে কাপড়ে রং ছড়ানো হয়।
-

0
Updated: 2 days ago
কোনাট শিশুর শৃংখলাবোধ গঠনে সহায়ক?
Created: 1 day ago
A
স্নেহ ও ভালবাসা
B
প্রশংসা ও শাস্তি
C
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
D
চাহিদা ও প্রত্যাশা
শিশুর শৃঙ্খলাবোধ বা আত্মনিয়ন্ত্রণ (Discipline/Self-Control) বিকাশের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এটি শিশুকে শুধু নিয়ম মানতে নয়, বরং নিজের আচরণ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করতেও সহায়তা করে।
-
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অর্থ: এর মাধ্যমে শিশুকে সমাজে গ্রহণযোগ্য নিয়ম-কানুন, নৈতিক মূল্যবোধ ও সামাজিক আচরণবিধি সম্পর্কে শেখানো হয়। শিক্ষার লক্ষ্য শুধু জ্ঞানার্জন নয়, বরং সঠিক আচরণ গড়ে তোলা।
-
আচরণ নিয়ন্ত্রণ: প্রশিক্ষণ শিশুকে শেখায় কখন, কেন ও কীভাবে নিজের আবেগ, রাগ, বা অপ্রত্যাশিত আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এর ফলে শিশুর মধ্যে ধৈর্য, দায়িত্ববোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
-
দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব: এই প্রক্রিয়া শিশুর মধ্যে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাবোধ তৈরি করে, যা বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে নিজস্ব বিবেক ও উপলব্ধি দ্বারা পরিচালিত হয়। সময়ের সঙ্গে এটি শিশুর চরিত্রগঠন, আত্মসম্মান ও সামাজিক দায়িত্ববোধের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago