কোনটি শিশুর পরিক্কতা ও শিক্ষণের আন্তঃপ্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে?
A
পরিবেশ
B
অনুশীলন
C
উদ্দীপনা
D
উপরের সবকটি সঠিক
উত্তরের বিবরণ
শিশুর পরিপক্বতা ও শিক্ষণ একে অপরের পরিপূরক, এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রভাব সৃষ্টি করে। এই আন্তঃপ্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এমন উপাদানগুলো শিশুর মানসিক, শারীরিক ও বৌদ্ধিক বিকাশে গভীর ভূমিকা রাখে।
-
পরিবেশ (Environment): শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পরিবেশ একটি মূল উপাদান। সুষম পুষ্টি, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন বাসস্থান, মানসিকভাবে উদ্দীপক পারিপার্শ্বিকতা শিশুর বিকাশের গতি ও গুণমান নির্ধারণ করে। সামাজিক সম্পর্ক, পরিবার ও বিদ্যালয়ের পরিবেশও শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
-
অনুশীলন (Practice/Exercise): অনুশীলনের মাধ্যমে শেখা বিষয়গুলো স্থায়ী হয় এবং দক্ষতা বিকশিত হয়। একটি কাজ বারবার করলে স্নায়ুতন্ত্রের সংযোগ দৃঢ় হয়, ফলে প্রতিক্রিয়া দ্রুত ও নিখুঁত হয়। এটি শেখার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং আত্মবিশ্বাস গঠনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
-
উদ্দীপনা (Stimulation): বিভিন্ন দৃশ্য, শব্দ, স্পর্শ, ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্দীপনা শিশুর মস্তিষ্কের সংযোগকে সক্রিয় ও শক্তিশালী করে। পর্যাপ্ত উদ্দীপনার অভাব শিশুর মানসিক, জ্ঞানীয় ও স্নায়বিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, ইতিবাচক উদ্দীপনা শিশুর কৌতূহল, সৃজনশীলতা ও শেখার আগ্রহ বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 1 day ago
শিশুটি কথা বলতে শিখেছে কোন পরিবর্তনের কারণে?
Created: 1 day ago
A
বর্ধন
B
বিকাশ
C
হরমোনজনিত
D
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ
শিশুর কথা বলতে শেখা হলো বিকাশ (Development) নামক প্রক্রিয়ার ফল, যা মানসিক, ভাষাগত ও স্নায়ুবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘটে। এটি কেবল শারীরিক বৃদ্ধি নয়, বরং শিশুর জ্ঞান ও দক্ষতার গুণগত উন্নতির প্রকাশ।
-
বিকাশ (Development): বিকাশ হলো এমন একটি গুণগত পরিবর্তন যা সময়ের সাথে সাথে ব্যক্তির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং নতুন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করে। শিশুর কথা বলা শেখা একটি ভাষা ও স্নায়ুবিক দক্ষতা, যা মস্তিষ্কের পরিপক্কতা এবং পারিপার্শ্বিক মিথস্ক্রিয়া—যেমন শুনে শেখা, অনুকরণ ও যোগাযোগ—এর মাধ্যমে অর্জিত হয়। এটি শিশুর জ্ঞানীয় (Cognitive) ও ভাষাগত (Linguistic) বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-
বর্ধন (Growth): বর্ধন বলতে বোঝায় শরীরের পরিমাণগত পরিবর্তন, যেমন উচ্চতা, ওজন বা হাড়ের আকার বৃদ্ধি। এটি শারীরিক বৃদ্ধির সূচক, তবে কথা বলার মতো মানসিক ও ভাষাগত দক্ষতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।
-
সার্বিক তাৎপর্য: বিকাশ শিশুর চিন্তা, বোঝাপড়া ও যোগাযোগ দক্ষতা গঠনে ভূমিকা রাখে, যেখানে বর্ধন শুধুমাত্র দেহগত পরিবর্তনের সীমিত প্রক্রিয়া।

0
Updated: 1 day ago
প্রারম্ভিক শৈশবকালে শিশু পরিচালনার ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানীদের নির্দেশিকা কোনটি?
Created: 1 day ago
A
ইতিবাচক নির্দেশ প্রদান করা
B
অন্যের সাথে প্রতিযোগিতায় নামানো
C
কাজে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করা
D
শিশুর পছন্দের বিষয়কে সর্বোচ্চ প্রধান্য দেয়া
প্রারম্ভিক শৈশবকাল সাধারণত ১৮ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে শিশুর মানসিক, সামাজিক ও শারীরিক বিকাশ দ্রুত ঘটে। মনোবিজ্ঞানী এরিক এরিকসনের মনোসামাজিক বিকাশ তত্ত্ব অনুযায়ী, এটি “autonomy vs. shame and doubt” পর্যায়, যেখানে শিশুর মধ্যে স্বনির্ভরতা (autonomy) গড়ে ওঠে। এই পর্যায়ে অভিভাবকরা যদি শিশুকে নিজে খাওয়া, পোশাক পরা বা খেলার সুযোগ দেয়, তবে তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং লজ্জা বা সন্দেহ কমে।
১. এই সময়ে শিশু বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করে, যা তার ভবিষ্যৎ বিকাশে ভূমিকা রাখে।
২. শৈশবে নতুন সামাজিক প্রত্যাশা উদ্ভব হয়, যা শিশুর আগ্রহ, মূল্যবোধ ও আচরণে পরিবর্তন আনে।
৩. শিশুর মধ্যে সমাজ ও পরিবেশ সম্পর্কে মৌলিক ধারণা গঠিত হয়।
৪. সে ন্যায়-অন্যায়ের বোধ সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করে এবং আচরণে এর প্রতিফলন দেখা যায়।
৫. এই পর্যায়ের মূল কার্যাবলী হলো—
-
শক্ত খাবার খেতে শেখা
-
হাঁটতে শেখা
-
কথা বলতে শেখা
-
মূলমূত্র নিয়ন্ত্রণ করা শেখা
-
লেখাপড়া শুরু করার জন্য প্রস্তুত হওয়া

0
Updated: 1 day ago
কোন কারনে শিশু মারাত্মক রক্তশূণ্যতা ও জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারে?
Created: 1 day ago
A
তেজস্ক্রিয়া
B
শব্দদূষণ
C
রক্তের Rh উপাদান
D
মায়ের মাদকাসক্তি
শিশুর মারাত্মক রক্তশূন্যতা (Severe Anemia) ও জন্ডিস (Jaundice)-এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো মায়ের ও শিশুর রক্তের Rh উপাদানের অসামঞ্জস্যতা (Rh Incompatibility)। এটি মূলত এক ধরনের ইমিউনোলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া, যা মায়ের শরীরে শিশুর রক্তকণিকার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে শিশুর রক্তকণিকা ধ্বংস ঘটায়।
-
Rh অসামঞ্জস্যতার কারণ: যখন মায়ের রক্ত Rh− (নেগেটিভ) এবং গর্ভস্থ শিশুর রক্ত Rh+ (পজিটিভ) হয়, তখন শিশুর রক্তকণিকা মায়ের রক্তে প্রবেশ করলে মা সেটিকে বহিরাগত মনে করে তার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
-
শারীরিক প্রক্রিয়া: প্রথম গর্ভাবস্থায় সাধারণত বড় কোনো ক্ষতি হয় না, কিন্তু পরবর্তী গর্ভাবস্থায় এই অ্যান্টিবডিগুলি প্লাসেন্টা (Placenta) অতিক্রম করে শিশুর রক্তে প্রবেশ করে এবং তার লোহিত রক্তকণিকা (RBC) ধ্বংস করে দেয়। এই প্রক্রিয়াকে হিমোলাইসিস (Hemolysis) বলা হয়।
-
ফলাফল:
-
রক্তশূন্যতা: RBC ধ্বংসের ফলে শিশুর দেহে অক্সিজেন পরিবহন ব্যাহত হয়, ফলে তীব্র রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
-
জন্ডিস: RBC ভাঙলে বিলিরুবিন (Bilirubin) নামক হলুদ বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়, যা শিশুর শরীরে জমে মারাত্মক জন্ডিস সৃষ্টি করে।
-
-
অবস্থা: এই জটিল অবস্থাকে এরিথ্রোব্লাস্টোসিস ফিটালিস (Erythroblastosis Fetalis) বলা হয়, যা শিশুর জীবনহানির ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
-
প্রতিরোধ: গর্ভবতী Rh− মাকে সাধারণত Rh ইমিউনোগ্লোবুলিন (RhIg বা Anti-D Injection) দেওয়া হয়, যা অ্যান্টিবডি তৈরি রোধ করে এবং পরবর্তী গর্ভধারণে জটিলতা কমায়।

0
Updated: 1 day ago