কোথায় ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে মুসলিম বাহিনীর সকলেই নিহত হয়েছিল?
A
মাররুম
B
নাখলা
C
মার-আস-সাহরান
D
বীর মাওনায়
উত্তরের বিবরণ
৩ হিজরি (৬২৫ খ্রিস্টাব্দে) ইসলামী ইতিহাসে এক বেদনাদায়ক ঘটনা সংঘটিত হয়, যা বির মা‘উনা হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। এটি ছিল নবী করিম ﷺ–এর পাঠানো সাহাবিদের প্রতি এক ভয়াবহ বিশ্বাসঘাতকতা ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ।
-
নাজদ অঞ্চল থেকে কিছু লোক নবী করিম ﷺ–এর কাছে এসে ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষিত সাহাবিদের পাঠানোর অনুরোধ জানায়।
-
নবী করিম ﷺ তখন ৭০ জন কুরআন পাঠকারী সাহাবি (ক্বারী)-কে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন।
-
তারা যখন বির মা‘উনা নামক স্থানে পৌঁছান, তখন বানু আমির ও বানু সুলাইম গোত্রের কিছু সদস্য বিশ্বাসঘাতকতা করে হঠাৎ আক্রমণ চালায়।
-
এই আক্রমণে প্রায় সব সাহাবি শহীদ হন, শুধু আমর ইবনে উমাইয়া যমনি (রা.) অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরে আসেন।
-
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি মুসলিম সমাজে গভীর শোকের সৃষ্টি করে এবং ইসলাম প্রচারের ইতিহাসে ত্যাগ ও নিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।

0
Updated: 16 hours ago
কোন্ সময় হতে আরব জাতির প্রকৃত ইতিহাস শুরু হয়?
Created: 59 minutes ago
A
বাসুসের যুদ্ধের পর
B
কাহতান বংশের উত্থানের পর
C
বুয়াসের যুদ্ধের পর
D
মিনাইয়ান রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর
কাহতান বংশের উত্থান আরব জাতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হিসেবে বিবেচিত। এই বংশের আবির্ভাবের পর থেকেই আরবদের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিকাশের প্রকৃত ধারার সূচনা হয়।
-
কাহতান বংশের উত্থানের পর থেকেই আরব জাতির প্রকৃত ইতিহাস শুরু হয় বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।
-
এই বংশের বংশধরদের বলা হয় আরবে আরিবা, যার অর্থ প্রকৃত আরব।
-
তারা মূলত দক্ষিণ আরবের ইয়েমেন অঞ্চলে বসবাস করত এবং ভাষা, সংস্কৃতি ও বংশগৌরবে নিজেদেরকে প্রাচীন আরব জাতির প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত করত।

0
Updated: 59 minutes ago
কার শাসনামলকে 'অগস্টান যুগ' বলা হয়?
Created: 16 hours ago
A
হারুন-অর-রশীদ
B
আল্ আমীন
C
আল মামুন
D
খালেদ বার্মাকী
খলীফা আল-মামুন এর শাসনকাল ইসলামী ইতিহাসে জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের বিকাশের এক অতুলনীয় স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর সময়েই ইসলামি সভ্যতা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
-
তাঁর শাসনামলকে মুসলিম ও ইসলামের ইতিহাসে “স্বর্ণযুগ” (The Golden Age of Islamic Civilization) বলা হয়।
-
এই সময়েই বাগদাদে বায়তুল হিকমা (House of Wisdom) প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে গ্রিক, ফারসি ও ভারতীয় পুস্তকসমূহের অনুবাদ ও গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞান, দর্শন ও চিকিৎসাবিদ্যা ব্যাপকভাবে উন্নত হয়।
-
ইতিহাসবিদরা আল-মামুনের যুগকে “Augustan Age of Islam” নামেও অভিহিত করেছেন, কারণ এই সময়ে ইসলামী সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা রোমান সাম্রাজ্যের অগাস্টান যুগের মতোই শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল।

0
Updated: 16 hours ago
দ্বীন-ই-ইলাহী' ধর্মমতের সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল?
Created: 16 hours ago
A
১৭ জন
B
১৮ জন
C
২৭ জন
D
৩১ জন
১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর ভারতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ দূর করে সৌহার্দ্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রবর্তন করেন, যা ইতিহাসে দ্বীন-ই-ইলাহি নামে পরিচিত।
-
এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ধর্মের উত্তম গুণাবলি একত্রিত করে একটি সার্বজনীন নীতিতে পরিণত করা।
-
দ্বীন-ই-ইলাহি অনুসারীদেরকে তাদের ধন, জীবন, সম্মান ও ধর্ম—এই চারটি বিষয় সম্রাট ও ধর্মের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হতো।
-
এই ধর্মমত সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেনি; ইতিহাসে জানা যায়, মাত্র ১৮ জন ব্যক্তি, যার মধ্যে হিন্দু রাজা বীরবল অন্যতম, এই ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
-
আকবরের এই উদ্যোগ ছিল ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবিক ঐক্যের প্রতীক, যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

0
Updated: 16 hours ago