খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় রাজস্ব প্রশাসন (Revenue Administration) এর আয়ের উৎস কয়টি ছিল?
A
৫টি
B
৬টি
C
৭টি
D
৮টি
উত্তরের বিবরণ
খুলাফায়ে রাশিদীনের আমলে ইসলামী রাষ্ট্রে রাজস্ব আদায়ের জন্য একটি সুশৃঙ্খল ও ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। রাষ্ট্রীয় আয় মূলত ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক নীতির ওপর ভিত্তি করে সংগৃহীত হতো।
রাজস্ব আদায়ের প্রধান উৎসগুলো ছিল নিম্নরূপঃ
১. যাকাত (Zakat): মুসলমানদের সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ, যা গরিব ও অভাবগ্রস্তদের জন্য আদায় করা হতো।
২. জিযিয়া (Jizyah): অমুসলিম প্রজাদের থেকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিনিময়ে আদায়কৃত কর।
৩. খুম্স (Khums): যুদ্ধলব্ধ সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ, যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হতো।
৪. ওশর (Ushr): মুসলমান কৃষকদের কৃষিজ উৎপাদনের ওপর ধার্য কর।
৫. খারাজ (Kharaj): বিজিত অঞ্চলের অমুসলিম ভূমির ওপর আরোপিত ভূমি কর।
৬. আল-ফাই (Al-Fai): দাবিদারহীন, অনাবাদী বা বিদ্রোহীদের বাজেয়াপ্ত জমি থেকে প্রাপ্ত আয়।
৭. উশর (Usher): বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি-রপ্তানির ওপর ধার্যকৃত কর।
এই করব্যবস্থা ইসলামী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক কল্যাণ ও ন্যায়ভিত্তিক সম্পদ বণ্টন নিশ্চিত করেছিল।

0
Updated: 16 hours ago
হজরত আবু বকর (রাঃ)- রিদ্দার যুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুসলিম বাহিনীকে কতটি দলে বিভক্ত করেন?
Created: 5 days ago
A
৮টি
B
৯টি
C
১১টি
D
১৫টি
‘রিদ্দা’ (Ridda) একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ প্রত্যাবর্তন, পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া বা স্বধর্মত্যাগ। ইসলামের ইতিহাসে এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় সেই সময়ের জন্য, যখন কিছু গোত্র ইসলাম ত্যাগ করে বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছিল।
মূল ধারণাসমূহ—
-
রিদ্দার অর্থ: স্বধর্মত্যাগ বা ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়া।
-
নবী মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যুর পর বিভিন্ন আরব গোত্রের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
-
তারা যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়, মদীনা রাষ্ট্রের প্রাধান্য অস্বীকার করে, এবং মিথ্যা নবী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন—তোলায়হা, সাজাহ, মুসায়লামা ও আসওয়াদ আল-আনসি—উদ্ভূত হন।
-
এ অবস্থায় খলিফা আবু বকর (রা.) সকল স্বধর্মত্যাগীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, যা ইতিহাসে “রিদ্দার যুদ্ধ” (৬৩২–৬৩৩ খ্রি.) নামে পরিচিত।
-
তিনি সেনাবাহিনীকে ১১টি দলে বিভক্ত করে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করেন।
-
এই যুদ্ধে প্রধান মুসলিম সেনাপতিরা ছিলেন: খালিদ বিন ওয়ালিদ, ইকরামা, শুরাহবিল এবং মুহাজির বিন আবি উমাইয়া।

0
Updated: 5 days ago
'আইন-ই-আকবরী' মূলতঃ কে রচনা করেন?
Created: 57 minutes ago
A
সম্রাট আকবর
B
গুলবদন বেগম
C
আবুল ফজল
D
আবদুল কাদির বাদাউনী
মুঘল সম্রাট আকবরের প্রধানমন্ত্রী ও নবরত্নদের অন্যতম আবুল ফজল ছিলেন এক মহান ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো মুঘল প্রশাসন, সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অমূল্য তথ্য প্রদান করে।
-
তিনি মূলত ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থটি রচনা করেন, যা ছিল তাঁর বৃহৎ ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘আকবরনামা’-এর তৃতীয় ও শেষ খণ্ড।
-
গ্রন্থটি ১৬শ শতাব্দীতে ফারসি ভাষায় রচিত হয়।
-
এতে আকবরের রাজ্যব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো, রাজস্বনীতি, সেনাবাহিনী, শিক্ষা, ধর্ম, সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি—সবকিছুর বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
-
‘আইন-ই-আকবরী’ শুধু ইতিহাস নয়, বরং এটি মুঘল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ দলিল হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 57 minutes ago
আব্বাসীয় কোন্ খলিফার শাসনামলে চিকিৎসকদের পেশাগত যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষা শুরু হয়?
Created: 21 hours ago
A
আল-মামুন
B
আবু জাফর আল মানসুর
C
আল মুতাওাক্কিল
D
আল মুক্তাদির
আব্বাসীয় খলিফা আল-মুকতাদির-এর শাসনামলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা ইসলামী চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।
-
৯৩১ খ্রিস্টাব্দে, তাঁর আমলে চিকিৎসকদের জন্য পেশাগত যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষা প্রবর্তন করা হয়।
-
এই পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকদের জ্ঞান, দক্ষতা ও চিকিৎসা নীতিমালা সম্পর্কে পারদর্শিতা যাচাই করা হতো।
-
পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকেই চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো।
-
এই ব্যবস্থা চিকিৎসাবিদ্যায় মান নিয়ন্ত্রণ ও রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইসলামী সভ্যতায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 21 hours ago