দ্বীন-ই-ইলাহী' ধর্মমতের সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল?
A
১৭ জন
B
১৮ জন
C
২৭ জন
D
৩১ জন
উত্তরের বিবরণ
১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর ভারতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ দূর করে সৌহার্দ্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রবর্তন করেন, যা ইতিহাসে দ্বীন-ই-ইলাহি নামে পরিচিত।
-
এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ধর্মের উত্তম গুণাবলি একত্রিত করে একটি সার্বজনীন নীতিতে পরিণত করা।
-
দ্বীন-ই-ইলাহি অনুসারীদেরকে তাদের ধন, জীবন, সম্মান ও ধর্ম—এই চারটি বিষয় সম্রাট ও ধর্মের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হতো।
-
এই ধর্মমত সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেনি; ইতিহাসে জানা যায়, মাত্র ১৮ জন ব্যক্তি, যার মধ্যে হিন্দু রাজা বীরবল অন্যতম, এই ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
-
আকবরের এই উদ্যোগ ছিল ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবিক ঐক্যের প্রতীক, যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

0
Updated: 16 hours ago
'সিয়ামত নামা' গ্রন্থের লেখক কে ছিলেন?
Created: 21 hours ago
A
উমর ইবনে আবদুল আজিজ
B
আল মামুন
C
নিজামুল মূলক্ তুসী
D
তুঘ্রিল বেগ
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও প্রশাসক নিযাম-উল-মুলক ইসলামী ইতিহাসে জ্ঞান, প্রশাসন ও শিক্ষাব্যবস্থার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতিশাস্ত্র বিষয়ে অমূল্য অবদান রেখে গেছেন।
-
তিনি ‘সিয়াসত নামা’ (বা সিয়ামত নামা) নামে একটি ফার্সি ভাষার গ্রন্থ রচনা করেন, যেখানে রাজ্যশাসন, প্রশাসনিক নীতি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
-
১০৬৫-১০৬৭ খ্রিস্টাব্দে, তিনি বাগদাদে ‘নিযামিয়া মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ইসলামী বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পায়।
-
তাঁর এই উদ্যোগ পরবর্তীকালে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার বিস্তারে গভীর প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 21 hours ago
কোন্ যুদ্ধকে 'সম্মিলিত শক্তিসমুহের যুদ্ধ' বলাখন্দকের যুদ্ধ হয়?
Created: 21 hours ago
A
খন্দকের যুদ্ধ
B
ওহুদের যুদ্ধ
C
নামারকের যুদ্ধ
D
কাদেসিয়ার যুদ্ধ
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ, ইসলামের শত্রু কুরাইশ, বেদুইন ও ইহুদিরা সম্মিলিতভাবে মদিনা আক্রমণ করে। এটি ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে পরিচালিত অন্যতম বৃহৎ অভিযান, যেখানে মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস ও কৌশলিক প্রজ্ঞার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
-
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পারস্যের সাহাবী সালমান ফারসি (রা.)-এর পরামর্শে মদিনার চারপাশে পরিখা খনন করার নির্দেশ দেন, যা ছিল সেই সময়ের এক নতুন ও কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশল।
-
এই যুদ্ধটি ইতিহাসে পরিখা বা খন্দকের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
পবিত্র কুরআনে এ যুদ্ধকে “আহযাবের যুদ্ধ” বলা হয়েছে, যার অর্থ “সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধ”।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা অসীম ধৈর্য, ঐক্য ও ঈমানের শক্তি প্রদর্শন করে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।

0
Updated: 21 hours ago
কোন্ মুঘল সম্রাট জিজিয়া কর রহিত করেন?
Created: 57 minutes ago
A
সম্রাট আকবর
B
সম্রাট জাহাঙ্গীর
C
সম্রাট শাহজাহান
D
সম্রাট
সম্রাট আকবর ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও সহনশীল নীতির জন্য প্রসিদ্ধ মুঘল শাসক, যিনি হিন্দু-মুসলমান ঐক্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনামলে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক সংস্কারের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
-
তিনি হিন্দুদের তীর্থকর (তীর্থযাত্রা কর) ও জিজিয়া কর সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করেন, যাতে অমুসলিম প্রজারা সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে।
-
আকবর নিয়মিতভাবে হিন্দু মেলা ও মন্দির পরিদর্শন করতেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নিতেন।
-
তাঁর এই নীতি ও কর্মকাণ্ড ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মীয় সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 57 minutes ago