আল-ফে কী?
A
বাণিজ্য কর
B
ভুমি কর
C
রাষ্ট্রের খাস জমির আয়
D
নিরাপত্তা কর
উত্তরের বিবরণ
খলিফাদের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল আল-ফাই। এটি এমন জমি ও সম্পদের ওপর ভিত্তি করে গঠিত ছিল, যা ব্যক্তিগত মালিকানার বাইরে থেকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আসত।
-
আল-ফাই বলতে বোঝানো হতো দাবিদারহীন খাস জমি, অনাবাদী ও অরণ্যভূমি, এবং বিদ্রোহী বা রাষ্ট্রদ্রোহীদের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি।
-
এসব জমি রাষ্ট্রের অধীনে চলে আসত এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত আয় সরকারী কোষাগারে জমা হতো।
-
এই জমি বা সম্পদ থেকে সংগৃহীত রাজস্বকে বলা হতো “আল-ফাই রাজস্ব”।
-
এই আয় মূলত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম, সেনাবাহিনী রক্ষণাবেক্ষণ ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হতো।

0
Updated: 16 hours ago
মুর্শিদাবাদের কাকে 'ব্যাংক অব ইংল্যান্ড'এর সাথে তুলনা করা হয়েছে?
Created: 16 hours ago
A
মীর জাফর
B
মীর মদন
C
মোহন লাল
D
জগতশেঠ
জগৎ শেঠ ছিলেন মুর্শিদাবাদের অন্যতম ধনী, প্রভাবশালী ও প্রখ্যাত বণিক ও ব্যাংকার, যিনি ১৮শ শতাব্দীর বাংলার অর্থনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর অর্থনৈতিক প্রভাব নবাব প্রশাসনসহ ইউরোপীয় বাণিজ্য সংস্থাগুলোকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
-
তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাংলার নবাবদের প্রধান অর্থদাতা ও আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করত।
-
তিনি নবাবদের রাজকোষ পরিচালনা, ঋণ প্রদান এবং ইংরেজসহ অন্যান্য ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকেও অর্থনৈতিক সহায়তা দিতেন।
-
তাঁর আর্থিক সামর্থ্য ও প্রভাব এতটাই বিস্তৃত ছিল যে সমসাময়িক ইতিহাসবিদরা তাঁকে “Bank of England of Bengal” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
-
ফলে জগৎ শেঠকে বাংলার আর্থিক শক্তির প্রতীক ও উপমহাদেশের প্রাথমিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 16 hours ago
মুসলিম লীগ গঠনের প্রস্তাব শাহবাগ সম্মেলনে কে উপস্থাপন করেন?
Created: 16 hours ago
A
সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী
B
নবাব স্যার সলিমুল্লাহ
C
এ. কে. ফজলুল হক
D
শিবলী নোমানী
১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের মুসলমানদের রাজনৈতিক ঐক্য ও স্বার্থরক্ষার লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, যা পরবর্তীতে উপমহাদেশের ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলে।
-
ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ প্রথমে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম কনফেডারেসি’ নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের প্রস্তাব দেন।
-
এর পরপরই ১৯০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত হয় ‘মোহামেডান এডুকেশনাল কনফারেন্স’-এর বার্ষিক অধিবেশন।
-
এই সম্মেলনের শেষ দিন ৩০ ডিসেম্বর ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিরা ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এই দলের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতীয় মুসলমানদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও সংগঠিত আন্দোলনের সূচনা ঘটে।

0
Updated: 16 hours ago
কোন্ যুদ্ধকে 'সম্মিলিত শক্তিসমুহের যুদ্ধ' বলাখন্দকের যুদ্ধ হয়?
Created: 21 hours ago
A
খন্দকের যুদ্ধ
B
ওহুদের যুদ্ধ
C
নামারকের যুদ্ধ
D
কাদেসিয়ার যুদ্ধ
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ, ইসলামের শত্রু কুরাইশ, বেদুইন ও ইহুদিরা সম্মিলিতভাবে মদিনা আক্রমণ করে। এটি ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে পরিচালিত অন্যতম বৃহৎ অভিযান, যেখানে মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস ও কৌশলিক প্রজ্ঞার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
-
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পারস্যের সাহাবী সালমান ফারসি (রা.)-এর পরামর্শে মদিনার চারপাশে পরিখা খনন করার নির্দেশ দেন, যা ছিল সেই সময়ের এক নতুন ও কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশল।
-
এই যুদ্ধটি ইতিহাসে পরিখা বা খন্দকের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
পবিত্র কুরআনে এ যুদ্ধকে “আহযাবের যুদ্ধ” বলা হয়েছে, যার অর্থ “সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধ”।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা অসীম ধৈর্য, ঐক্য ও ঈমানের শক্তি প্রদর্শন করে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।

0
Updated: 21 hours ago