কার শাসনামলকে 'অগস্টান যুগ' বলা হয়?
A
হারুন-অর-রশীদ
B
আল্ আমীন
C
আল মামুন
D
খালেদ বার্মাকী
উত্তরের বিবরণ
খলীফা আল-মামুন এর শাসনকাল ইসলামী ইতিহাসে জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের বিকাশের এক অতুলনীয় স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর সময়েই ইসলামি সভ্যতা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
-
তাঁর শাসনামলকে মুসলিম ও ইসলামের ইতিহাসে “স্বর্ণযুগ” (The Golden Age of Islamic Civilization) বলা হয়।
-
এই সময়েই বাগদাদে বায়তুল হিকমা (House of Wisdom) প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে গ্রিক, ফারসি ও ভারতীয় পুস্তকসমূহের অনুবাদ ও গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞান, দর্শন ও চিকিৎসাবিদ্যা ব্যাপকভাবে উন্নত হয়।
-
ইতিহাসবিদরা আল-মামুনের যুগকে “Augustan Age of Islam” নামেও অভিহিত করেছেন, কারণ এই সময়ে ইসলামী সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা রোমান সাম্রাজ্যের অগাস্টান যুগের মতোই শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল।

0
Updated: 16 hours ago
দ্বীন-ই-ইলাহী' ধর্মমতের সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল?
Created: 16 hours ago
A
১৭ জন
B
১৮ জন
C
২৭ জন
D
৩১ জন
১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর ভারতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ দূর করে সৌহার্দ্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রবর্তন করেন, যা ইতিহাসে দ্বীন-ই-ইলাহি নামে পরিচিত।
-
এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ধর্মের উত্তম গুণাবলি একত্রিত করে একটি সার্বজনীন নীতিতে পরিণত করা।
-
দ্বীন-ই-ইলাহি অনুসারীদেরকে তাদের ধন, জীবন, সম্মান ও ধর্ম—এই চারটি বিষয় সম্রাট ও ধর্মের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হতো।
-
এই ধর্মমত সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেনি; ইতিহাসে জানা যায়, মাত্র ১৮ জন ব্যক্তি, যার মধ্যে হিন্দু রাজা বীরবল অন্যতম, এই ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
-
আকবরের এই উদ্যোগ ছিল ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবিক ঐক্যের প্রতীক, যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

0
Updated: 16 hours ago
কোথায় ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে মুসলিম বাহিনীর সকলেই নিহত হয়েছিল?
Created: 16 hours ago
A
মাররুম
B
নাখলা
C
মার-আস-সাহরান
D
বীর মাওনায়
৩ হিজরি (৬২৫ খ্রিস্টাব্দে) ইসলামী ইতিহাসে এক বেদনাদায়ক ঘটনা সংঘটিত হয়, যা বির মা‘উনা হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। এটি ছিল নবী করিম ﷺ–এর পাঠানো সাহাবিদের প্রতি এক ভয়াবহ বিশ্বাসঘাতকতা ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ।
-
নাজদ অঞ্চল থেকে কিছু লোক নবী করিম ﷺ–এর কাছে এসে ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষিত সাহাবিদের পাঠানোর অনুরোধ জানায়।
-
নবী করিম ﷺ তখন ৭০ জন কুরআন পাঠকারী সাহাবি (ক্বারী)-কে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন।
-
তারা যখন বির মা‘উনা নামক স্থানে পৌঁছান, তখন বানু আমির ও বানু সুলাইম গোত্রের কিছু সদস্য বিশ্বাসঘাতকতা করে হঠাৎ আক্রমণ চালায়।
-
এই আক্রমণে প্রায় সব সাহাবি শহীদ হন, শুধু আমর ইবনে উমাইয়া যমনি (রা.) অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরে আসেন।
-
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি মুসলিম সমাজে গভীর শোকের সৃষ্টি করে এবং ইসলাম প্রচারের ইতিহাসে ত্যাগ ও নিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।

0
Updated: 16 hours ago
'শহীদদের মঞ্চ' নামে খাত কোন্ যুদ্ধ?
Created: 5 days ago
A
ইয়ামামার যুদ্ধ
B
টুরসের যুদ্ধ
C
তোস্তার যুদ্ধ
D
ওয়াদিলাক্কোর যুদ্ধ
৭৩১ খ্রিস্টাব্দে, স্পেনে দীর্ঘ ছয় বছরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খলিফা হিশাম আব্দুর রহমান আল-গাফিকীকে স্পেনে প্রেরণ করেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
স্পেনের স্থানীয় শাসক ইউডিজ, ফ্রান্সের ফ্র্যাঙ্ক রাজা চার্লস মার্টেল-এর সহায়তা নিয়ে আব্দুর রহমানের অগ্রযাত্রা রোধের চেষ্টা করেন।
-
এর ফলেই ৭৩২ খ্রিস্টাব্দে টুরসের যুদ্ধ (Battle of Tours) সংঘটিত হয়।
-
এই যুদ্ধে আব্দুর রহমান আল-গাফিকী শহিদ হন, যদিও তাঁর নেতৃত্বে মুসলমানরা বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম চালায়।
-
ইসলামী ইতিহাসে এই যুদ্ধটি পরিচিত “বালাত উশ-শুহাদা” (Balat al-Shuhada) নামে, যার অর্থ “শহিদদের মঞ্চ”।
-
এই যুদ্ধ ইউরোপে ইসলামী অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago