মুসলিম লীগ গঠনের প্রস্তাব শাহবাগ সম্মেলনে কে উপস্থাপন করেন?
A
সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী
B
নবাব স্যার সলিমুল্লাহ
C
এ. কে. ফজলুল হক
D
শিবলী নোমানী
উত্তরের বিবরণ
১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের মুসলমানদের রাজনৈতিক ঐক্য ও স্বার্থরক্ষার লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, যা পরবর্তীতে উপমহাদেশের ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলে।
-
ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ প্রথমে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম কনফেডারেসি’ নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের প্রস্তাব দেন।
-
এর পরপরই ১৯০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত হয় ‘মোহামেডান এডুকেশনাল কনফারেন্স’-এর বার্ষিক অধিবেশন।
-
এই সম্মেলনের শেষ দিন ৩০ ডিসেম্বর ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিরা ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এই দলের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতীয় মুসলমানদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও সংগঠিত আন্দোলনের সূচনা ঘটে।

0
Updated: 16 hours ago
মুর্শিদাবাদের কাকে 'ব্যাংক অব ইংল্যান্ড'এর সাথে তুলনা করা হয়েছে?
Created: 16 hours ago
A
মীর জাফর
B
মীর মদন
C
মোহন লাল
D
জগতশেঠ
জগৎ শেঠ ছিলেন মুর্শিদাবাদের অন্যতম ধনী, প্রভাবশালী ও প্রখ্যাত বণিক ও ব্যাংকার, যিনি ১৮শ শতাব্দীর বাংলার অর্থনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর অর্থনৈতিক প্রভাব নবাব প্রশাসনসহ ইউরোপীয় বাণিজ্য সংস্থাগুলোকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
-
তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাংলার নবাবদের প্রধান অর্থদাতা ও আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করত।
-
তিনি নবাবদের রাজকোষ পরিচালনা, ঋণ প্রদান এবং ইংরেজসহ অন্যান্য ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকেও অর্থনৈতিক সহায়তা দিতেন।
-
তাঁর আর্থিক সামর্থ্য ও প্রভাব এতটাই বিস্তৃত ছিল যে সমসাময়িক ইতিহাসবিদরা তাঁকে “Bank of England of Bengal” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
-
ফলে জগৎ শেঠকে বাংলার আর্থিক শক্তির প্রতীক ও উপমহাদেশের প্রাথমিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 16 hours ago
খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় রাজস্ব প্রশাসন (Revenue Administration) এর আয়ের উৎস কয়টি ছিল?
Created: 16 hours ago
A
৫টি
B
৬টি
C
৭টি
D
৮টি
খুলাফায়ে রাশিদীনের আমলে ইসলামী রাষ্ট্রে রাজস্ব আদায়ের জন্য একটি সুশৃঙ্খল ও ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। রাষ্ট্রীয় আয় মূলত ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক নীতির ওপর ভিত্তি করে সংগৃহীত হতো।
রাজস্ব আদায়ের প্রধান উৎসগুলো ছিল নিম্নরূপঃ
১. যাকাত (Zakat): মুসলমানদের সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ, যা গরিব ও অভাবগ্রস্তদের জন্য আদায় করা হতো।
২. জিযিয়া (Jizyah): অমুসলিম প্রজাদের থেকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিনিময়ে আদায়কৃত কর।
৩. খুম্স (Khums): যুদ্ধলব্ধ সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ, যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হতো।
৪. ওশর (Ushr): মুসলমান কৃষকদের কৃষিজ উৎপাদনের ওপর ধার্য কর।
৫. খারাজ (Kharaj): বিজিত অঞ্চলের অমুসলিম ভূমির ওপর আরোপিত ভূমি কর।
৬. আল-ফাই (Al-Fai): দাবিদারহীন, অনাবাদী বা বিদ্রোহীদের বাজেয়াপ্ত জমি থেকে প্রাপ্ত আয়।
৭. উশর (Usher): বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি-রপ্তানির ওপর ধার্যকৃত কর।
এই করব্যবস্থা ইসলামী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক কল্যাণ ও ন্যায়ভিত্তিক সম্পদ বণ্টন নিশ্চিত করেছিল।

0
Updated: 16 hours ago
সংস্কৃত ভাষায় লিখিত জ্যোতির্বিদ্যা গ্রন্থ 'সিদ্ধান্ত'-কে ইবনে মুকাফফাআরবীতে অনুবাদ করেন?
Created: 1 day ago
A
ইবনে মুকাফফা
B
মুহাম্মদ বিন আবদুর রহমান
C
ইয়াহইয়া ইবন খালিদ
D
মুহাম্মদ বিন ইব্রাহীম আল-ফাজারী
আবু জাফর আল-মনসুর এর শাসনামলে প্রথমবারের মতো গ্রীক ও সংস্কৃত ভাষার পুস্তকসমূহকে আরবি ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে খলীফা হারুন-অর-রশীদের সময় ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। এই সময় থেকেই ইসলামী বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞান, দর্শন ও জ্যোতির্বিদ্যার অনুবাদ আন্দোলনের সূচনা ঘটে।
-
আবু জাফর আল-মনসুরের আমলেই ইসলামের প্রথম জ্যোতির্বিদ হিসেবে পরিচিত মুহাম্মদ বিন ইব্রাহীম আল-ফাজারী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
তিনি সংস্কৃত ভাষায় রচিত জ্যোতির্বিদ্যা গ্রন্থ ‘সিদ্ধান্ত’-কে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
এই অনুবাদের মাধ্যমে ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যা জ্ঞান ইসলামী বিশ্বে প্রবেশ করে, যা পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যার উন্নয়নে গভীর প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 1 day ago