খিলাফতের প্রাথমিক পর্যায়ে কয়জন ভন্ড নবীর আবির্ভাব ঘটে?
A
৪জন
B
৫জন
C
৬জন
D
৭জন
উত্তরের বিবরণ
খিলাফতের প্রাথমিক পর্যায়ে, ইসলামের শত্রুরা ধর্ম ও রাজনৈতিক ঐক্য ভাঙার উদ্দেশ্যে নিজেদের ভণ্ড নবী হিসেবে ঘোষণা করে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনা ইসলামী ইতিহাসে “ভণ্ড নবীদের আবির্ভাব” নামে পরিচিত।
-
এ সময় একাধিক ব্যক্তি মিথ্যা নবুওতের দাবি করে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
-
তোলায়হা আল-আসদী
-
সাজাহ বিনতে হারিস
-
মুসায়লামা কায্জাব
-
আসওয়াদ আল-আনসি
-
-
এরা বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের অনুসারী তৈরি করে ইসলামী ঐক্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংগঠিত করে।
-
পরবর্তীতে খলিফা আবু বকর (রা.)-এর দৃঢ় নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এই ভণ্ড নবীদের বিদ্রোহ সম্পূর্ণভাবে দমন করেন।

0
Updated: 16 hours ago
গজনীতে নির্মিত 'স্বর্গীয় বন্ধু' কী?
Created: 58 minutes ago
A
একটি মানু মন্দির
B
একটি সুন্দর মসজিদ
C
একটি বিশাল অট্টালিকা
D
কোনটিই নয়
গজনীর সুলতান মাহমুদ ছিলেন শুধু একজন যোদ্ধা নন, বরং শিল্প, স্থাপত্য ও সংস্কৃতির এক মহান পৃষ্ঠপোষকও। তাঁর আমলে গজনী ছিল ইসলামী শিল্প ও জ্ঞানচর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
-
প্রশ্নে উল্লিখিত মসজিদটি হলো ‘স্বর্গীয় বধূ’ মসজিদ, যার ফারসি নাম ‘আরায়িশ-ই-ফালক’।
-
কিছু উৎসে একে ‘স্বর্গীয় বন্ধু’ বলে উল্লেখ করা হলেও, ইতিহাস অনুযায়ী এর সঠিক নাম ‘স্বর্গীয় বধূ’ মসজিদ।
-
এই মনোরম ও নান্দনিক স্থাপত্যটি সুলতান মাহমুদ নিজেই গজনীতে নির্মাণ করেছিলেন।
-
মসজিদটি তার অলংকৃত নকশা, স্থাপত্যশৈলী ও শৌন্দর্যের জন্য সমসাময়িক বিশ্বে ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেছিল।

0
Updated: 58 minutes ago
মহাগ্রন্থ আল কোরআনের প্রমিত সংকলন চূড়ান্ত করা হয়-
Created: 1 day ago
A
প্রথম খলিফার আমলে
B
দ্বিতীয় খলিফার আমলে
C
তৃতীয় খলিফার আমলে
D
চতুর্থ খলিফার আমলে
হযরত ওমর (রা.) এর খিলাফতের সময় ইসলাম দ্রুত বিভিন্ন অনারব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে কুরআনের উচ্চারণ ও পাঠভেদে পার্থক্য দেখা দেয়। এ বিভ্রান্তি দূর করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে, হযরত ওসমান (রা.) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেন যা ইসলামের ইতিহাসে এক বিশাল অবদান হিসেবে স্বীকৃত।
-
৬৫১ খ্রিস্টাব্দে, তিনি হযরত যায়েদ বিন সাবিত (রা.)-এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেন।
-
কমিটি রাসূল (সা.)-এর স্ত্রী ও হযরত ওমর (রা.)-এর কন্যা বিবি হাফসা (রা.)-এর নিকট সংরক্ষিত মূল কুরআনের পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করে তা থেকে একাধিক অনুলিপি প্রস্তুত করে।
-
এসব অনুলিপি বিভিন্ন ইসলামিক অঞ্চলে পাঠানো হয়, যাতে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে একক মানের পাঠ প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
বিভ্রান্তি রোধে তিনি পুরনো ও ভিন্ন পাঠের কপি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
-
কুরআনকে একত্রিত ও সংরক্ষণের এই মহান উদ্যোগের জন্য হযরত ওসমান (রা.) ‘জামিউল কুরআন’ অর্থাৎ “কুরআন সংকলনকারী” উপাধিতে ভূষিত হন।

0
Updated: 1 day ago
আরব সীজার' কোন্ মুসলিম শাসককে আখ্যায়িত করা হয়?
Created: 5 days ago
A
হযরত উমর (রাঃ)
B
হযরত ওসমান (রাঃ)
C
হযরত মোয়াবিয়া (রাঃ)
D
হযরত উমর ইবনে আবদুল আজিজ
৬৬১ খ্রিস্টাব্দে মুয়াবিয়া (রা.) ক্ষমতা গ্রহণ করে উমাইয়া খেলাফতের সূচনা করেন। তাঁর শাসনামলে ইসলামী সাম্রাজ্য নতুন সীমানা অতিক্রম করে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মুয়াবিয়া ক্ষমতা দখলের পর উত্তর আফ্রিকা, ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চলসহ বহু এলাকা বিজয় করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও সেনাপতি।
-
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শাসক হিসেবে তিনি কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তানবুল) অবরোধ করেন, যা ইসলামী সাম্রাজ্যের শক্তি ও প্রভাব বিস্তারের প্রতীক ছিল।
-
তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও সামরিক কৌশল তাঁকে ইতিহাসে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।
-
এজন্যই তাঁকে বলা হয় “আরবদের জুলিয়াস সিজার”, কারণ তাঁর নেতৃত্বে আরবরা রোমানদের মতোই শক্তিশালী সাম্রাজ্য গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল।

0
Updated: 5 days ago